Showing posts with label সমগ্র বাংলাদেশ. Show all posts
Showing posts with label সমগ্র বাংলাদেশ. Show all posts

Saturday, May 15

তারুণ্যের প্রতীক রোকন উদ দৌলা অনলাইনে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন


তারুণ্যের প্রতীক রোকন উদ দৌলা অনলাইনে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন

সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম কমান্ড এর কেন্দ্রীয় কমিটির নব নির্বাচিত "সাংগঠনিক সম্পাদক" নির্বাচিত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অনলাইনে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন, তাকে নানান শ্রেণীর মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারুণ্যের প্রতীক রোকন উদ দৌলা। তিনি দেশ জাতি বিশেষ করে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় সকলকে উদবুদ্ধ করে আসছেন। গরীব দুঃখী এবং পথ শিশুদের জীবন মানে উন্নয়নে অসহায় দরিদ্র মানুষের ও পথশিশুদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন। দুর্নীতি ও অপশক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান, সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আওয়াজ তুলেছেন। রোকন উদ দৌলা এক তারুণ্যের নাম তারুণ্যের আইডল। একজন পরিছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এই তরুণ নেতার স্বপ্ন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের সকলকে উদ্বুদ্ধ করা।

রাজিবপুর-রৌমারীতে ড্রেজার মেশিন ও ট্রাক্টরের মহা উৎসব


 রাজিবপুর-রৌমারীতে ড্রেজার মেশিন ও ট্রাক্টরের মহা উৎসব
কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে ট্রাক্টর দুর্ঘটনার সংখ্যা । এ বছরের শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই ৬ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । এছাড়া অনেকে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন । নদীর বিভিন্ন স্থান অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন কোনভাবেই যেন ঠেকানো যাচ্ছে না । একদিকে যেমন ট্রাক্টর এর মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে, ঠিক তেমনি ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অবৈধ মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে । অবৈধ ড্রেজার মেশিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও কোনোভাবেই তা থামানো যাচ্ছে না । অন্যদিকে ট্রাক্টর এর মাধ্যমে অবৈধ মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি । কিছুদিন আগে স্থানীয় সাংবাদিকরা এ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের নিউজ করতে থাকে । একপর্যায়ে ড্রেজার মেশিনের সংখ্যা কমে গেলেও অতঃপর পর্যায়ক্রমে এটি আগের চেয়েও বেড়ে যায় । একইভাবে বাড়তে থাকে ট্রাক্টর এর মাধ্যমে মাটি উত্তোলন । অনেকে তো সরকারি কাজের কথা বলে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করেই যাচ্ছে । প্রতিটি এলাকায় বেড়ে যায় ট্রাক্টরের সংখ্যা এবং অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের নিত্যনতুন পদ্ধতি । যা প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি । ট্রাক্টর গুলোর অধিকাংশ লাইসেন্স বিহীন এবং চালকরা প্রায় সকলেই অদক্ষ । সর্বশেষ গত ৯ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে রৌমারীর বন্দবের ইউনিয়নে ট্যাক্টর (কাকড়ার) দুর্ঘটনায় দুর্জয় হোসাইন নামের এই কিশোরের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় । এর পরেই শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা, সমালোচনা । এলাকাবাসীর প্রশ্ন, এমন অবস্থায় প্রশাসন কেন নীরবতা পালন করছে ? এতগুলো দুর্ঘটনা হওয়ার পরেও কেন কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না ? অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্ট করে বিষয়টি নিয়ে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে । দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ঘাতক ট্রাক্টর ড্রাইভার ও মালিকদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে । এ বিষয়ে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । প্রশাসন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাক্টর বন্ধের কথা বলা হলেও কয়েকদিনের মধ্যে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায় । ট্রাক্টর ও ড্রেজার মেশিনের বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।

তারুণ্যের প্রতীক রোকন উদ দৌলা অনলাইনে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন


সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম কমান্ড এর কেন্দ্রীয় কমিটির নব নির্বাচিত "সাংগঠনিক সম্পাদক" নির্বাচিত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অনলাইনে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন, তাকে নানান শ্রেণীর মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারুণ্যের প্রতীক রোকন উদ দৌলা। তিনি দেশ জাতি বিশেষ করে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় সকলকে উদবুদ্ধ করে আসছেন। গরীব দুঃখী এবং পথ শিশুদের জীবন মানে উন্নয়নে অসহায় দরিদ্র মানুষের ও পথশিশুদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন। দুর্নীতি ও অপশক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান, সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আওয়াজ তুলেছেন। রোকন উদ দৌলা এক তারুণ্যের নাম তারুণ্যের আইডল। একজন পরিছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এই তরুণ নেতার স্বপ্ন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের সকলকে উদ্বুদ্ধ করা।

Tuesday, January 5

অনলাইনে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তারুণ্যের প্রতীক রোকন উদ দৌলা

 

অনলাইনে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তারুণ্যের প্রতীক রোকন উদ দৌলা

সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম কমান্ড এর কেন্দ্রীয় কমিটির নব নির্বাচিত সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অনলাইনে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন, তাকে নানান শ্রেণীর মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনেকে তাকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন।

 ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি (ডুয়েট) 
 "এ কিউ জিলানী" 
একটি কবিতা লিখেছেন।

      "আদর্শের সৈনিক"

        এ কিউ জিলানী

হায়াতে হেফাজতে রাখো
তারে মাওলা 
তারুণ্যের প্রতীক এখন 
রোকন উদ দৌলা। 

সমাজনীতি বদলাতে ঝরায়
সে তার ঘাম 
যোগ্য বলে পেলো সে 
নৈতিকতার দাম।

সত্য ন্যায়ের মর্যাদা আছে 
সে-তো জানি
কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে 
গুণিজনের বাণী। 

মিথ্যা অন্যায় করে 
সে কোতল
নীতি আর আদর্শে পথ
চলে অটল। 

সমাজের সুপথ খোঁজ 
করে দৈনিক 
সত্য ন্যায়ের সংগ্রামে সে
নির্ভীক সৈনিক। 

সমাজের অনিয়ম করে 
সে ছিন্ন 
আছে মেধা আর শিক্ষায়
বলিষ্ঠ চিহ্ন। 

চলনে বলনে অভিজ্ঞতা
অর্জিত 
সে নম্র ভদ্র ব্যবহারটা
মার্জিত। 

যারা রাস্তায় ফুটপাতে রাত্রি 
করে যাপন 
অসহায় পথশিশুর করে
সে আপন। 

মানবতার ফেরিওয়ালা করে
সে আত্মত্যাগ 
দুঃখটাকে ছুঁড়ে ফেলে সুখটাকে
করে ভাগ। 

জনতার পক্ষে সে-তো ঘৃণা 
করে দুর্নীতি,
এই সমাজে করতে চায় সে 
পরিছন্ন রাজনীতি।


 তারুণ্যের প্রতীক রোকন উদ দৌলা  জামালপুরের সন্তান। তিনি দেশ জাতি  বিশেষ করে মুক্তি  যুদ্ধের চেতনায় সকলকে উদবুদ্ধ করে আসছেন।  গরীব দুঃখী এবং পথ শিশুদের জীবন মানে উন্নয়নে অসহায় দরিদ্র মানুষের ও পথশিশুদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন।
 দুর্নীতি ও অপশক্তির বিরুদ্ধে  ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান,
 সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আওয়াজ তুলেছেন। 
রোকন উদ দৌলা এক তারুণ্যের নাম তারুণ্যের আইডল। 
একজন পরিছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। 

তার সাথে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনও ১২ লক্ষ পথশিশু আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করে, তাদের পূর্ণবাসন করা জরুরি তারাও বাংলাদেশের নাগরিক তাদের সঠিক নাগরিক অধিকার এবং  তাদের সঠিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সুশিক্ষায়, সুনাগরিক এ পরিণত করা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা।
 বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলার বুকে কেউ না খেয়ে থাকবে না। কেউ না খেয়ে ঘুমাবে না।
 সঠিক নাগরিক অধিকার পাবে বৈষম্যমুক্ত সমাজ রাষ্ট্র তৈরি হবে সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া আমার একমাত্র লক্ষ্য। 
এই তরুণ নেতার স্বপ্ন বাংলার আপামর সাধারণ মানুষের ও পথ শিশুদের জীবনমান উন্নয়ন হবে বলে আমরা আশা রাখি।

কমিটি না থাকা সত্যেও সোলায়মান এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে কোনাবাড়ী থানা ছাত্রলীগ ।

 

কমিটি না থাকা সত্যেও সোলায়মান এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে কোনাবাড়ী থানা ছাত্রলীগ ।

সুজন মাহমুদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ । সারা দেশের ন্যায় গাজীপুরের কোনাবাড়ীতেও যাগ যমক করে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে কোনাবাড়ী থানা ছাত্রলীগ । সকাল ৯ টার দিকে পতাকা উত্তোলন করা হয়, এরপর একটি আনন্দ রেলি বের করে শহরের মেইন পয়েন্ট গুলোতে প্রদক্ষিণ করে কোনাবাড়ী বাস স্টোপে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন ।কোনাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের কমিটি না থাকা সত্যেও এতো সুন্দর ভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে যেটা সত্যি প্রশংসার দাবি দার যারা এর পিছনে প্ররিশ্রম করেছে এমনটিই বলে প্রশংসা করেছেন আওয়ামিলীগের নেতা কর্মীরা। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামিলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জনাব আক্কাছ আলী, সদস্য খলিলুর রহমান আরো উপস্থিত ছিলেন কোনাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী জনাব সোলায়মান হোসাইন ও শেখ জাহাঙ্গীর সহ আরো অনেকেই । উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সোলায়মান হোসাইন। এছাড়াও অঙ্গসংগঠনের বিশেষ ব্যক্তিরা ছাড়াও আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সারাদেশের ন্যায় রাজিবপুর উপজেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন



সারাদেশের ন্যায় রাজিবপুর উপজেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
মোঃ জাহিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ । সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের রাজিবপুরেও সুষ্ঠ স্বাভাবিক ভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে রাজিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ । সকাল ৯ টার দিকে পতাকা উত্তোলন করা হয়, এরপর একটি আনন্দ রেলি বের করে উপজেলা শহর প্রদর্শন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন । প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা করা হয় । প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা জনাব আব্দুল হাই কমান্ডার । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শফিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক, রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ । উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মোঃ সাইদুল রহমান, সভাপতি, মোঃ মেহেদী হাসান তারেক, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজিবপুর উপজেলা শাখা । আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুর রহমান সাইদুর , সভাপতি ও মোঃ জুয়েল রানা , সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজিবপুর ইউনিয়ন শাখা । এছাড়াও অঙ্গসংগঠনের বিশেষ ব্যক্তিরা ছাড়াও আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন ।

Tuesday, February 5

মাদক জোয়া ও জঙ্গী মুক্ত এলাকা দাবী ও মিছিল জামালপুরে

মাদক জোয়া ও জঙ্গী মুক্ত এলাকা দাবী ও  মিছিল জামালপুরে

মাদক জোয়া ও  জঙ্গী মুক্ত সমাজ গড়ার লহ্মে অাজ সন্ধা ৭.৩০ মিনিটে জামালপুর বাঘার চরের সাধারন মানুষ মাদক জোয়া ও  জঙ্গী বিরোধী মিছিল করে বাঘার চরের সাধারন মানুষ। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা মাদক বিরোধী অান্দোলনের সাধারন সম্পাদক অধ্যহ্ম স্বপ্ন মিয়া, রোমান মেম্বার ইউ,পি ডাংধরা। রোকন উদ দৌলা মুখ পাত্র বাংলাদেশ এ্যাডিশন ফাউন্ডেশন। জালাল সাধারন সম্পাদক স্বেচ্ছাসেবক লীগ ডাংধরা ইউনিয়ন শাখা। হারুন বাংলাদেশ যুবলীগ। মাদকাসক্তি অামাদের সমাজের অভ্যাসগত চেতনা উদ্রেককারী দ্রব্যে। যা মানসিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে সমাজকে ধাবিত করে এবং সমাজে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অাসুন নেশাকে না বলি।

Wednesday, November 21

ঢাকা মহানগর মুক্তির ডাক বাংলাদেশ এর সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করায় রোকন উদ দৌলা কে অভিনন্দন



ঢাকা মহানগর মুক্তির ডাক বাংলাদেশ এর সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করায় রোকন উদ দৌলা ভাই অভিনন্দন












Tuesday, October 10

প্রিয় মুক্তাঞ্চলবাসির প্রতি ""খোলা চিঠি" | ইতিহাস বাচাও,মুক্তাঞ্চল বাচাও,নদী ভাঙন ঠেকাও, এই স্লোগানে আগুয়ান হও - Mnf Bitdut Sarkar

 


"সময় গেলে সাধন মিলবে না"
প্রিয় মুক্তাঞ্চলবাসির প্রতি ""খোলা চিঠি"
ইতিহাস বাচাও,মুক্তাঞ্চল বাচাও,নদী ভাঙন ঠেকাও, এই স্লোগানে আগুয়ান হও,
#চলো_চলো #ঢাকা_চলো ঠিকানা এবার মানবতার #মা

সত্যি বলতে দেশ স্বাধীনতা লাভের পর যতো সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে সব আমলেই আমরা অধিকার বঞ্চিত হয়ে আসছি অঞ্চলের সুবিধা বাদি কিছু নেতার কারনে। আমাদের টাকায় আমাদের উন্নয়ন হয়নি,হয়েছে অন্য অঞ্চল বা ব্যক্তি বিশেষদের।রাজিবপুর,রৌমারী দেশের গরিব অঞ্চল।(দেওয়ানগঞ্জ বাজেট এর অন্তর্ভুক্ত) সব চেয়ে বড় সমস্যা নদী ভাঙন।আর এই সমস্যা এখন ব্যাবসায় পরিণত হয়েছে,নদী ভাঙন রোধ করার জন্য অতীতে যেঁ ছোট ছোট বাজেট সরকার দিয়েছিল ,সেই টাকার ভাগ নিয়ে নেতা কর্মীদের মারামারি অনেক হয়েছে।অনেক সার্কাস নাটক হয়েছে,নেতা কর্মীদের গরিবদের প্রতি মিথ্যা প্রেম দেখে,আমাদের চোখ এখন অশ্রু সিক্ত তাই কান্না বন্ধ করতে চাই,আসুন অশ্রু মুছে ফেলি।৭২৯ কোটি টাকার যেঁ বাজেট নদী ভাঙন রোধের জন্য হয়েছে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি,দ্রুত না করতে পারলে আমাদের দেশে ফাইলচাপার যেঁ অভিজ্ঞতা আমরা জানি, তাতে মনে হয় বাজেট বাস্তবায়নের আগে মুক্তাঞ্চল বিলিন হয়ে যাবে।তাই আর ভুল পথে নয়,কনো ভুল মানুষের কাছে নয়।আমি মনে করি সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।আমাদের তার শরণাপন্ন হতেই হবে স্বারকলীপির মাধ্যমে।। আমরা ঢাকাস্থ যারা আছি আসুন প্রেস ক্লাব এ একটি কর্মসূচির আয়োজন করে মানবতার মা কে বিষয় টি জানাই।তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের নদী ভাঙন রোধের কাজ দ্রুত শুরু করা সম্ভব বলে মনে করছি। আপনি????নিজের জন্য নিজেরা লড়ি,আসুন নিজের বুকের রক্ত ক্ষরণ নিজেরাই বন্ধ করি।সেই সাথে বর্তমান সরকার কে বাজেট ঘোষনার জন্য নিপিরিত নিষ্পেষিত ছিন্নমূল মানুষের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।আমাদের এই অস্তিত্ব রক্ষার দাবির সাথে স্থানীয় সকল নেতা কর্মী ও সকলের সাহায্য অনুপ্রেরণা কামনা করছি।।।প্রথমে এলাকায় টানা ১০ দিনের টানা বিভিন্ন কর্মসুচির পর ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করবো,মনে রাখবেন এই দাবি অস্তিত্ব রক্ষার দাবি।।মুক্তি হোক বিবেকের মুক্তি হোক মানবতার। আল্লাহ্‌ হাফেজ,,,,,
Mnf Bitdut Sarkar
#মুক্তিরডাক #বাংলাদেশ




Monday, May 22

চিকিৎসা সেবা নাকি বাণিজ্য।


মানুষের প্রত্যাহিক জীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যে চিকিৎসা গ্রহন অতীব প্রয়োজন।বিজ্ঞানের উন্নতিসাধনের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তিত হচ্ছে চিকিৎসা পদ্ধতি তা হয়ে গেছে আরো সহজলভ্য,মানুষের খুব নিকটে পৌঁছেছে এর প্রভাব, আর তাই বহুদিনের কুসংস্কার ভুলে গিয়ে মানুষজন যে কোনো জটিল শারীরিক/মানসিক সমস্যার সমাধানে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন। এভাবেই আরোগ্য পেতে পেতে সে চিকিৎসকদের প্রতি মানুষের আস্থাশীলতা খুব রকম বেড়েছে।একজন রোগাক্রান্ত ব্যাক্তিকে বেঁচে থাকার আশা এবং বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা তা চিকিৎসকদের উপর বর্তায় কিন্তু আজ আমাদের দেখতে হয় এক ভিন্নমুখী আশাহীনতা সে চিকিৎসকদের প্রতিই। যাদের প্রতি আমরা আমাদের সর্বোচ্চ'র বিনিময়েও আস্থাভাজন থাকি আর তারাই বা কতটুকু আমাদের প্রতি দায়িত্বশীল বর্তমানকালীন প্রসঙ্গত তা পুরোতেই ভিন্ন।যদি আমরা এমতাবস্থায় চিকিৎসক আর চিকিৎসা সেবা নিয়ে একটু অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে তাকাই তবে এক নিধারুন সত্যের মুখোমুখি হতে হয়।প্রসঙ্গক্রমে,
নচিকেতার গানটা প্রায়ই শোনা হয়-ও ডাক্তার, তুমি কতশত পাস করে এসেছ বিলেত ঘুরে মানুষের যন্ত্রণা ভোগাতে! কি অদ্ভুতুড়ে মনে হয় যখন সুস্থ মস্তিষ্কে গানটা ভাবতে যাই,একজন ডাক্তার যিনি বিলেত হতে অনেক বড় বড় ডিগ্রী নিয়ে আসবেন চিকিৎসায় সেবায় উন্নতিসাধনের জন্যে,রাষ্ট্রের সাধারন জনগনদের জন্য উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে, রাষ্ট্রে বসবাসরত সাধারন নাগরিক কঠিন ব্যাধি থেকে মুক্তি পাবেন নিমিষেই,অথচ একজন শিল্পীমনা লোক যিনি বলছেন নাকি তিনি মানুষের যন্ত্রণা ভোগাতে বিলেতী ডিগ্রী নিয়ে আসেন,ভোলাতে নয়!প্রথমত মনে হতো গানটার মধ্য দিয়ে অসম্মানিত করা হয় মানুষের সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য পেশাটিকে,যারা নাকি মানুষদের সেবা দিয়ে জীবন ফিরিয়ে দিতে পারেন অতিবেশী অসুস্থতা থেকেও।আর এমনি এক পেশাধারীকে নিয়ে এমন গান তৈরী করা সম্পুর্ন অন্যায় আর মিথ্যাচার মনে করতাম।আবার ভাবনা হত শিল্প,সাহিত্য,সংস্কৃতি তাতো রাষ্ট্রের সময়কার অবস্থান নির্নয় করে তবে কি শিল্পীর ধারনাটাই সত্যি নয় নাকি! এই দুয়ে ব্যাপক সংশয় ছিলো,যদিও পর তা স্পষ্টত হয়। আজ আমাদের মস্তিষ্ক যখন সত্যিই অসুস্থ হয়ে পরেছে,এই অসুস্থতার গন্ডি পেরিয়ে যখন কোনোক্রমেই মুক্ত হতে পারছি না,চারদিকে শত বাধা,বিপত্তিকে সাথে বহেই চালিত করতে হয় জীবন তাই আজকের এই সমাজ ব্যাবস্থার প্রতিটা পদে পদে গানটা যে চরম সত্য তাই প্রতিনিয়ত প্রতিফলিত হয়।বস্তুত তাই হয় যে ডাক্তারের নামের পাশে এ টু যেড এর সবথেকে বেশী অক্ষর অপব্যায় হবে সেই ব্যাক্তিই হবে মানুষ হত্যার মহান কারিগর হওয়ার দৌড়ের তালিকায় সবথেকে সুযোগ্য ব্যাক্তি!আর এই অক্ষর অর্জনের মধ্য দিয়েই তারা তাদের ব্যাক্তিত্ব লড়াইয়ে নামে যার শেষ বলতে কিছু নেই,যাচ্ছেতাই রকম বেহায়াপনা করে চিকিৎসার নামে নিজেদের আখেড় গোছানো। যার নামের পাশে যত বেশী অক্ষরযুক্ত বর্তমান চিকিৎসার বাজারে তার মূল্য ততো বেশী আর কদর ও বেশী। তার এই বেশী অক্ষর সংগ্রহ করতেও তাকে বেশী টাকা ব্যায় করতে হয় কেননা শৈশব থেকেই চলমান রাষ্ট্র ব্যাবস্থা ব্যাক্তিকেন্দ্রিক আর স্বার্থপরতা শিখিয়ে রাখে সেহেতু সে তার নিজের ব্যাক্তিস্বার্থ অর্জনে প্রথম জীবনে চিকিৎসাবিদ্যা শেখার মধ্যে বিনিয়োগ করে পরে তা থেকে মূনাফামুখী হয়।এই প্রক্রিয়ার পিছনে ধাবিত হতে গিয়ে প্রথমত তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক খরচ করে তৈরী হতে হয় আর তৈরী হওয়ারপর ভাবনায় থাকে তারি খরচকৃত টাকা মূনাফাসহ অর্জন করার।এই স্বার্থপরতার বিপরীত ক্রিয়া ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে সমাজে বসবাসরত বাকি চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া নাগরিকদের জীবনে।চিকিৎসার নামে সেখানে বেচাকেনা হয়, বিরাটমূল্যের রমরমা বানিজ্য চলে।বানিজ্যে বরাবরের মতোন একপক্ষই লাভবান হয় আর অপরপক্ষ নিত্য শোষিত হয়ে আসে।একজন বাঁচতে গিয়ে চিকিৎসকের সরনাপন্ন হয়ে সব হারিয়ে নিঃশ্ব হয় আর আরেকজন জনগনের টাকা পকেটে নিয়ে আয়েশী ভঙগিমায় জীবন যাপন করে।
তেমনি কিছু চিত্র তুলে ধরা যেখানে উচ্চতর ডিগ্রী সমান সমান রোগীদের ভোগান্তি, যেমনঃকিছুদিন আগে শুনলাম চিকিৎসার নামে এক ন্যাক্কারজনক বেহায়াপনা, প্রসববেদনা বেড়ে যাওয়ায় সন্তানসম্ভবা মাকে নার্সিং হলে নিয়ে আসা হলো,পরিস্থিতি জননীর পক্ষেই ছিলো তার মানে কিছুসময়মাত্র অপেক্ষা,বাচ্চা প্রসব হবে আর তা স্বাভাবিকভাবে। নার্স দেখলেন,ফোনে কথা বললেন দায়িত্বে থাকা সিজারিয়ান ডাক্তারের সাথে,হুকুম এলো খুব দ্রুত ইনজেকশন দেবার যেনো স্বাভাবিক গর্ভপাত না হতে পারে,দশ মিনিটের মধ্যেই সিজারিয়ান ডাক্তার ছুটে এলেন কিন্তু দৃশ্যপট বদলে গেলো-বাচ্চা প্রসব হয়ে গেলো।এই দেখে ডাক্তার রেগে নার্সদের ধমকাতে লাগলেন।কেননা সিজারিয়ান ডাক্তারের উপর নির্ভর করে নার্সিংহোমের মালিকের লাভের পরিমান আর প্রচারমুখী বাজারের ঔষুধ ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান।নার্সিংহোম তৈরীর পর সেখানকার ডাক্তার দের কিনে নেয় ঔষুধ কোম্পানি যদি সিজার করা যেতো তবে সব দিকেই লাভবান হওয়া যেতো কিন্তু তা আর হতে পারলো না। হাঁ,এই হলো আমাদের বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা তবে স্বাস্থ্যসেবা নয় মোটেও পুরোতে স্বাস্থ্যসেবার নামে বানিজ্য। আর বানিজ্য ই বা হবে না কেনো ? বানিজ্যিক মেডিক্যাল কলেজ হতে ডাক্তারি পড়াশুনা সম্পূর্ন করতে তার যে লাখ লাখ টাকা খরচা হলো,কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের ঢালতে হয় বিশাল টাকা,আবার কাউকেতো জমানো সম্পদ বিক্রি করে পড়াশুনা শেষ করতে হয়,তারি ফলশ্রুতিতে তার আগে তো সে টাকা উঠানো চাই পরবর্তীতে লাভাংশ, এভাবেই না হয় একসময় স্বাস্থ্যসেবা হবে কিন্তু পূঁজিবাদের সমাজে একবার যখন পূঁজির সাধ পেয়ে যায় তবে সবাইকে পিছে ফেলে বড় হওয়ার তাগিদে তা সে চিরন্তন ধারায় মেনে নিয়ে চালিত হয় তার মানে যাকে আমরা স্বাস্থ্যসেবা বলবো তা হয়ে যায় বানিজ্যের তাগিদে সেবা। ফল এমনি,সে সেবা দিবো,তবে যে প্রক্রিয়ায় মূনাফা বেশী, আর এই বিশ্বাসের কবলে বলি হচ্ছি আমরা আর আমাদের প্রসববেদনায় ভোগায় সন্তানসম্ভবা জননীরা।রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা পর্যায়ে যখন ডাক্তারদের সরকারীকরন করা হয় তখন তাদের সরকারী হাসপাতালে গেলে কমই পাওয়া যায়,কারন সরকারী হাসপাতালে থাকলে আয়ের অংশ নির্দিষ্ট থেকে যায় কিন্তু প্রয়োজন যখন অনির্দিষ্টতার তবে সরকার

অনির্দিষ্টতার তবে সরকারীতে চাকুরীর পাশাপাশি বেসরকারি বানিজ্যে যোগে আয় কয়েকগুন বেড়ে যায় -বেসরকারিভাবে রোগী প্রতি হাজার কিংবা তারো অধিক করে নেওয়া যায় তাছাড়া ঔষুধ কোম্পানিদের দেওয়া মাসশেষের অংশ আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে প্রাপ্ত পার্সেন্টিজ সবমিলিয়ে আঙগুল ফুলে কলাগাছ দশা। এই ব্যাবস্থাকে চিকিৎসা সেবা বলা চলে না,বলা চলে স্বার্থ সেবা,ঔষুধ কোম্পানির সেবা আর বেসরকারি হাসপাতাল মালিকের সেবা।আরো উল্লেখ্য কিছু ঘটনা আছে যা না বললেই নয়,শরীয়তপুরে চিকিৎসকের ঘোষণামতে শিশু মাতৃগর্ভে মারা যায়, কর্তৃপক্ষ আল্ট্রাসনোগ্রাম করে নিশ্চিৎ হয়ে ঘোষণা দেয় পর যখন সন্তান সম্ভবা মাকে অস্ত্রপ্রচার করানো হয়,মৃত নয় এক জীবিত শিশু জন্ম দেন জননী!তারি কিছুদিন পর আরো একটি ঘটনা,চিকিৎসক নবজাতককে মৃত ঘোষণার ছয় ঘন্টা পর দাফনের সময় বেঁচে উঠে শিশু।এরকম আরো অনেক নেক্কারজনক ঘটনা ঘটছে চিকিৎসার নামে প্রতিনিয়ত, এসবের কিছু প্রযুক্তিবিদ্যার প্রসারতার ফলে প্রায়ই পত্রিকায় দেখতে পাই আবার এমনি অনেক সত্য চাপা পরে থাকে নিজস্ব ক্ষমতা বলে। আমরা আমাদের চিকিৎসা কে ফের সেবার মানসিকতায় পেতে চাই,চিকিৎসার মতো এমন গুরুত্ববহ পেশাটিকে যদি এভাবেই বানিজ্যিকীকরন করা হয় তবে আমাদের সমাজের চিকিৎসায় এক ভয়ানক,হৃদয়বিদারক পরিবর্তন আসবে আর সাধারন মানুষগুলো এর শিকার হয়ে চিরকাল ক্রমেক্রমে অবর্ননীয় দুর্দশায় ভুগতে থাকবে
সুবাস সরকার
শিক্ষক ও কবি গাজীপুর


Friday, May 5

কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ কর্মী খুন

কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ কর্মী খুন


কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান, কবির গাজী গ্রুপের সঙ্গে প্রতিপক্ষ গ্রুপের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। যা অসংখ্যবার সহিংসতায় রূপ নেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য পায়রা বন্দরের উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে এদের দ্বন্ধ আরও প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। অভি গাজী খুন হওয়ার ঘটনায় শহরজুড়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ টিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ কবির উদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী অভি গাজীকে (২৭) নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। মাদ্রাসা রোডের কালভার্ট এলাকায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় অভি গাজীর ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। এসময় অভি গাজী ছাড়াও তার সহযোগী কোয়েল (৩০), আহম্মদ উল্লাহ (৩০), দোকানি পপি (২৬) গুরুতর জখম হয়। পপি চলবিদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে পপিকে কলাপাড়া হাসপাতালে এবং অপর তিন জনকে বরিশাল শেবাচিমে প্রেরন করা হয়। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে অভি মারা যায়। নিহতের বাবা কবির গাজী জানান, সুমন গাজীসহ সাত/আট জনের একদল সন্ত্রাসী অভিসহ তার সহযোগীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। অভির শরীরে অন্তত ৩০টি কোপ দেয়া হয়েছে।

Saturday, April 29

কেমন বিকশিত হচ্ছে আমাদের শিশুরা

 


ছোটোবেলায় ঠাকুরমার মুখে কিংবা বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষদের মুখে অনেকেই ঈশপের ব্যাঙ আর একদল শিশুর গল্প শুনেছেন নিশ্চয়ই! আমার ও সোভাগ্য হয়েছিলো শুনার,ছোটোবেলায় আমরা এ ছাড়াও অনেক অনেক মজার গল্প শুনেছি-বিনিময়ে গল্প কথকের সমস্ত চাহিদা মিঠিয়ে দেবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থেকেছি।এবার গল্পে আসি -যেখানে শিশুরা মজার জন্যে ঢিল ছুঁড়তো আর ব্যাঙ আঘাত পেতো ঢিলে, এ ছিলো একদলের আনন্দ আর অন্যদলের বেদনার কারন। শিশুদের ঢিল যতো জোড়ে আঘাত করতো নিরীহ ব্যাঙকে,ব্যাঙ গুলো সমানভাবে চেচিয়ে উঠতো ব্যাথায়, ঠিক একি সমানে শিশুগুলো ততো আনন্দে নেচে উঠতো।এটা তাদের অজ্ঞাত মনের খেলা ছিলো। আজ হয়তো এসব গল্প আমাদের শিশুরা শুনতে পারেনা,গল্পগুলো ও বিলীন হওয়ার শেষ পর্যায়ে।তাছাড়া গল্প বলতেই যেনো শিশুদের খারাপ লাগা মনে হয়,তারা এখন মোবাইল ফোন হাতে পাওয়াকে সমস্ত শান্তি অর্জন মনে করে।আর তাই মোবাইল ফোনের ভিডিও গেমস কেড়ে নিয়েছে তাদের গল্পের ভাঁজে সত্য আর মানবিক হওয়ার চেতনা।এবার মূলে আসি-কিছুদিন পূর্বে যথারিতী বিকেলে টিউশনীর উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে দেখলাম আমাদেরি নতুন প্রজন্ম নতুন শিশু-কিশোরদের এক নতুন সম্পূর্ন ভিন্ন এক তাদের মতে খেলা নামক খেলা খেলতে দেখলাম,ঘটনার শুরতেই দেখলাম প্রথমত তারা সেখানকার কয়েকটি ছোটো ছোটো কুকুরের বাচ্চা নিলো,ওগুলোকে শক্ত করে বেঁধে রাখা হলো পাশ্ববর্তী গাছের সাথে,ওদের প্রত্যেকের হাতেই সিরিঞ্জ ছিলো। তারপর প্রত্যেকেই ইনজেকশনের সুইয়ের মাধ্যমে কুকুরছানাগুলোর শরীর থেকে রক্ত বের করছে আর ব্যাথায় কুকুরছানা গুলো গোঙাচ্ছে। তারপর তারা তাদের পরিকল্পনাবসত খেলা শুরু করলো-একে অপরের গায়ে রক্ত ছিঁটিয়ে আনন্দে মেতে উঠলো। কাছে গিয়ে যেইনা জিজ্ঞাসা করা হলো,প্রত্যেকেই সহাস্যে বলে উঠলো আমরা রক্ত রক্ত খেলছি ! রক্ত রক্ত খেলা-মানে বুঝুন,একটু ভাবুন তারা কি খেলছে আর কেনোই বা তারা এমন অমানুষিকতাকে খেলা বলে গ্রহন করলো? তাদের পরিবার! তাদের সমাজ! তাদের অভিভাবক কিংবা তাদের প্রতিবেশী-উনাদের প্রতি একটু নজর দিন,তারা তবে কেমন শিশু-কিশোর তৈরী করছে! আমরাওতো একদিন শিশু কিশোর ছিলাম তারা আজ শিশু কিশোর।প্রজন্ম কি এতো সহজেই পরিবর্তিত হয়ে গেলো! তবে এ আবার কেমন প্রজন্ম তৈরী হচ্ছে যারা নাকি এতটা ভয়ংকর কার্যকে খেলা বলে মনে করছে! প্রসঙ্গত না বললেই নয়,আমাদের গ্রামের বাড়িতে একটা কুকুর ছিলো,স্বাভাবিকতায় প্রত্যেক কুকুরই প্রভুভক্ত আমাদের কুকুরটার ক্ষেত্রেও তাই তবে তার পরিমাণ অনেক বেশীই ছিলো।তখন আমরা ছোটো ছিলাম,কুকুরটাকে যত্ন নিতাম আর কোথাও যদি যেতাম কুকুরটা সাথে যেতো। তারপর কুকুরটি যখন মরে গেলো,বাড়ির সবাইর মনে কেমন একটা বেদনাবোধ তৈরী হলো আর নিজ পরিবারের সদস্যের ন্যায় তাকে মাটিচাপা দেওয়া হলো।এই শিক্ষাস্বরুপ,তারপর গ্রামে গ্রামে ঘুরতাম কুকুরের বাচ্চা আনার জন্যে,এনে যত্নে খাওয়াতাম,নিয়মিত স্নান করিয়ে দিতাম আর শীতের রাতে থাকার জন্য খড়ের ঘর তৈরী করে দিতাম।এই ছিলো আমাদের তখনকার পারিবারিক /সামাজিক শিক্ষা যা আমাদের অবলা পশুর প্রতি ও দায়িত্ব কিংবা ভালোবাসতে শিখিয়েছে। কিন্ত যাদের নিয়ে বলছি তারাও শিশু তবে শিক্ষা/সমাজ /পরিবারের ধরনটা আলাদা। বরাবরের মতো আমি ওদের (নিষ্পাপ শিশুদের)দায় দিচ্ছিনা,ওরাতো শিখে যা আমরা বড়রা করি,যা সমাজ সমর্থন করে যা পরিবারে সংগঠিত হয় নিত্য। তবে আপনি কাকে দায় দিবেন! দায় দিতে হবেনা আর,ভাবুন,কাজে নামুন -শিশুদের মানষিকতার প্রতি নজর দিন,সমাজটাকে সদ্য কথা বলতে পারা শিশুর মতো নিষ্পাপ, ভালোবাসাময় গড়ে তুলুন। ওরাই একদিন পরিচালনা করবে সমাজ,রাষ্ট্র। নির্ধারন করবে আমাদের বলা না বলা,করা না করা তখন ওদের দায় দিয়ে বাঁচতে পারবেন না তাই সময় আজো আছে-ওদের সুষ্ঠ বিকাশে নজর দিন,ভালোবাসতে শেখান,মানবিক হতে শেখান। সুবাস সরকার লেখক ও শিক্ষক গাজীপুর ।

Wednesday, April 26

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করছে?


 

যারা গণপরিবহণে যাতায়াত করেন তাদের জন্য.....

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করছে?
স্টুডেন্ট ভাড়া নিচ্ছেনা, উল্টো খারাপ ব্যাবহার করছে?
'মহিলা সিট নাই' বলে মহিলাদের বাসে উঠতে দিচ্ছে না?
'সিটিংবাস' নাম ভাঙ্গিয়ে গাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না?
সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট বাসে দেখা যাচ্ছে না?
অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই?
লেগুনার পিছনে মানুষ ক্যাঙ্গারুর মতো ঝুলছে?
পুরনো লক্কড়ঝক্কড় মুড়িরটিন বাস রাস্তায় নামিয়েছে?

02-9568399 এই সরকারী হেল্পলাইন নম্বরটিতে ফোন করে তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানান।

দীর্ঘদিন যাবৎ গণপরিবহন খাতে যে সীমাহীন নৈরাজ্য চলছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন। সরকার একা কিছুই করতে পারবেনা, আপনারা যদি প্রতিবাদী না হোন! মাননীয় সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী Obaidul Quader Sir কে এমন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং এই খাতে নৈরাজ্য নির্মূলে সাহসী কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

রাজীবপুরে জীবন দিয়ে যৌতুকের প্রতিবাদ !

 


বিয়ে হয়েছে মাত্র ছয় মাস আগে। এখনও বিয়ের গন্ধ শরীর জুড়ে। বিয়ের পর থেকে প্রতিটি মুর্হুতেই যৌতুক হিসেবে শ্বশুর বাড়ি থেকে একটা মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার চাপ শুরু করে। মোটরসাইকেলের জন্য উঠতে বসতে স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাত শাহীন মিয়া নামের যৌতুকলেভি স্বামী। গত এক মাসে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়া হয় ভয়ঙ্কর রূপে। কিন্তু দেড় লাখ দিয়ে মোটরসাইকেল কিনে দেয়া নিহত নববধুর অভাবি বাবা মা’র কাছে পাহাড় সমান বিপদ হয়ে দেখা দেয়। এ অবস্থায় মোখলেছা খাতুন (১৯) নামের ওই বধু যৌতুকের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে আজ সোমবার দপুরের দিকে স্বামীর ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার মেম্বারপাড়া গ্রামের ঘটনা এটি। গ্রামবাসিদের কাছ থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন শাহীন মিয়া সকালেই মোটরসাইকেলের জন্য স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে বাড়ির বাইরে চলে যায়। যাওয়ার সময় স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে বলে যায়, ‘আজই বাবার বাড়িতে গিয়ে মোটরসাইকেলের দেড় লাখ টাকা নিয়ে আসতে। আর যদি বাড়ি ফিরে দেখি যে বাবার বাড়িতে যাওনি তাহলে নির্যাতন কাকে বলে টের পাবা। কোনো উপায় না পেয়ে মোখলেছা খাতুন স্বামীর ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।’ এমন তথ্য মেম্বারপাড়া গ্রামের অনেকেই জানিয়েছেন। একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবা ময়েজ উদ্দিন ও মা শুকুর জান বেগম মেয়ের জামাই বাড়িতে ছুটে আসে। এসময় ময়েজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ কামলা দিয়া খাই। তারপরও বিয়ের সময় জামাইর হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করার জন্য। বিয়ের এক মাস পর থেকেই জামাই বায়না ধরে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য। কিন্তু গাড়ি কেনার এত টাকা আমি কই পাই। এরপরও বেওয়াইকে কইছি (জামাইর বাবা) জামাই তো মোটরসাইকেল কিনে চাচ্ছে। আমি একা তো অত টাকা যোগার করবার পামু না। আপনিও কিছু দেন বাকী টাকা আমি দেই। কিন্তু তারা সেটা মানেন না। জামাইর মতো বেওয়াইও দাবি করতে থাকে। এ নিয়া মেয়েকে মারপিটও করে।’ মা শুকর জান বেগম বলেন, ‘মাইয়া আমার অনেক কষ্ট সহ্য কইরা ছিল। বলত আমার শ্বশুর শ্বাশুরিও নির্যাতন করার জন্য ছেলেকে উৎসাহ দিত। তারা আমার মাইয়াকে মাইরাফেলাইছে।’ উল্লেখ্য যে, চার মাস আগে পারিবারিক ভাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। নিহত মোখলেছুা খাতুনের বাবা ময়েজ উদ্দিন। রৌমারী উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামে তাদের বাড়ি। যোতুকলোপি স্বামী শাহীন মিয়ার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। রাজীবপুর উপজেলার মেম্বারপাড়া গ্রামে বসবাস করে। রাজীবপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে এসআই হাবিবুর রহমান জানান, লাশের শরীরে কোন আঘাতের কোন দাগ নেই। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বোঝা যাবে আসলে আত্মহত্যা না হত্যা। আপাতত ইউডি (অস্বাভাবিকমৃত্যু) মামলা করা হয়েছে।

Monday, April 24

ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের শঙ্কা ঢাকাসহ ৬ বিভাগে

 

নিউজ ডেস্ক: বজ্রঝড়ের ঘনঘটা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবারের (২৪ এপ্রিল) মধ্যেই এই ভারী বৃষ্টি হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
অতি ভারী বর্ষণের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
সর্বশেষ আবহাওয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা


ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদী-বন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি. মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি. মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশে অবস্থান করছে, যার বধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু ’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সাথে বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


এবার মালদ্বীপে খুন হলো মুক্তমনা ব্লগার রশিদ

 

সাজ্জাদুল হক : শুধু বাংলাদেশেই নয়। এবার মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ইয়ামিন রশিদ (২৯) নামের এক মুক্তমনা ব্লগারকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর বুকে ও ঘাড়ে মিলিয়ে মোট ১৬টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। রশিদ গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রোববার মালেতে গুরুতর আহত অবস্থায় তার অ্যাপার্টমেন্টের সিঁড়িতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গত পাঁচ বছরে এই নিয়ে তিন জন ব্লগার এমন হামলার স্বীকার হলেন। তারমধ্যে ২০১২ সালে ইসমাইল রশিদ নামে এক ব্যক্তির উপর হামলা চালানো হয়। ২০১৪-র আগস্টে মিনিভান নিউজের আহমেদ রিলওয়ান নামে এক সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়। তারপর থেকে আজও তাঁর খোঁজ মেলেনি।
রশিদের ব্লগের নাম ‘দ্য ডেইলি প্যানিক’। ব্লগে তাঁর পরিচয়, অবাধ্য লেখক। তিনি লিখেছেন, ‘‘খবর তো দেবই। আশা রাখি, তার সঙ্গে মলদ্বীপের কেঠো রাজনীতি নিয়ে বিদ্রুপাত্মক কিছু লেখার।’’
তিনি মুসলিমদের প্রতি আক্রমণাত্মক লেখা লিখতেন। তাছাড়া, সরকারের সমালোচনা তো থাকতই। ২০১৪-র অগস্ট থেকে নিখোঁজ হয় রশিদের আর এক বন্ধু সমালোচক ও ব্লগার আহমেদ রিলওয়ান। মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির দাবি, রিলওয়ানকে খুঁজে বার করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন রশিদ।
দেশের তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় পুলিশি তদন্তের খুঁটিনাটি জানার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন তিনি। রিলওয়ানের পরিবার ও রশিদ একসাথে মলদ্বীপের পুলিশের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। সরকার-বিরোধী প্রতিবাদে সামিল হওয়ায় ২০১৫-য় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রশিদ কয়েক বার প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছিলেন। গত ডিসেম্বরে পুলিশের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
রশিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী নেতা মহম্মদ নশিদ টুইটে লিখেছেন, এক সাহসী কণ্ঠকে নির্মম ভাবে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই প্রেসিডেন্ট স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডার দূতাবাস থেকেও এই হত্যার নিন্দা করা হয়েছে।
মুসলিম অধ্যুষিত মলদ্বীপে ধর্মের নামে গোঁড়ামি ও কট্টর ভাবধারার মূলে কুঠারাঘাত করাই ছিল রশিদের মতো ব্লগারদের উদ্দেশ্য। তাঁদের এমন পরিণতিতে চিন্তিত দেশের শিক্ষিত সাধারণ মানুষ।

উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।



 

উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে সংঘাত, সহিংসতা পরিহার করে দেশ গড়ার কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তানপন্থী রাজাকার মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা পাহাড়ি উপজাতি গোষ্ঠীর হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। 


প্রতিবেশী কিছু রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে হাজার হাজার উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দেয়া হয়, উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম দেয়া হয়। তারপর পার্বত্য চট্টগ্রামে লক্ষ-লক্ষ নিরীহ মানুষকে রাস্তাঘাট, হাট-বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘরবাড়িতে আগুন জালিয়ে দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করার নিয়ম চালু হলো। ভিটেমাটি, ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য উচ্ছেদ করা শুরু হয়
পরবর্তীতে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী তৎকালীন বিডিআর রা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে রক্ষায় শহীদী আত্মত্যাগ এবং দৃঢ় মনোবল দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনে। 



এখন উপজাতিদের ‘আদিবাসী’ পরিচয় দিয়ে কথিত জাতিসংঘের আইএলও সনদ ১৬৯ স্বাক্ষর করিয়ে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মতো করে বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা জুমল্যান্ড রাষ্ট্র করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
সুলতানা কামালের কেপেনহেগেনভত্তিক সিএইচটি কমিশন, ইউএনডিপি, আইএলও, দেবাশিষ চাকমার কাপেং ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্র এই ষড়যন্ত্রে সাথে সরাসরি জড়িত।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী গত কয়েক বছরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাবের বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত অভিযানে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবন জেলায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের থেকে- একে-৪৭, একে-৫৬, একে-২২, এম-১৬, মার্ক-২ রাইফেল, চায়না রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল, এসএলআর, এসএমজি, বিমান বিধ্বংসী রিমোর্ট কন্টোল বোমা, গ্রেনেড, রাইফেল গ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার এবং উপজাতি সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত এইসব উপজাতি সন্ত্রাসীদের দেয়া একাধিক তথ্য থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ভারত এবং মিয়ানমার উপজাতি সন্ত্রাসীদের দিচ্ছে বিশাল অস্ত্রের ভান্ডার এবং প্রশিক্ষণ।


বাংলাদেশের এক দশমাংশ এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম। পাহাড় অরণ্য সৌন্দর্য্য-মন্ডিত সবুজ সমারোহের প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই পাহাড়ি জনপদে উপজাতি সন্ত্রাসীরা অস্ত্রবাজী, চাঁদাবাজী, সম্ভ্রবহরণ, অপহরণ, খুন, চোরাচালানসহ বিভিন্ন প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। বাংলাদেশের অখ-তা রক্ষায় এবং উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রতিরোধ করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।
মূলত, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী হচ্ছে অত্যন্ত যোগাত্যসম্পন্ন, সৎসাহসী, নির্ভীক এবং কর্তব্যপরায়ণ। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে থাকুক- আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীমহল এবং পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীরা সেটা চায় না। আর এজন্যই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীমহল এবং পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সরকারকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের অখন্ডতার বিষয়ে আমরা কারো সাথে আপোস করবো না। আর এ জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী না কমিয়ে বরং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় নজরদারি বাড়াতে হবে।

হাওরে ১২৭৬ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট, হাঁস মরেছে ৩৮৪৪টি: মৎস্য সচিব

 


হাওরে ভেসে উঠছে মরা মাছ

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে হাওর প্লাবিত হওয়ায় মোট এক হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট হয়েছে এবং তিন হাজার ৮৪৪টি হাঁস মারা গেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান।

রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

সভা শেষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, ‘বন্যায় দুই লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। যেখান থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যেতো। তবে এতে আমাদের খাদ্য ঘাটতি হবে না। কারণ, দেশের অন্য অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন বেশি হয়েছে। এছাড়া আউশ এবং আমন চাষে আমরা কৃষকদের প্রণোদনা দেবো। ফলে দেশে খাদ্যে কোনও ঘাটতি থাকবে না।’
 
 

Vision ad on bangla Tribune
হাওরে ১২৭৬ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট, হাঁস মরেছে ৩৮৪৪টি: মৎস্য সচিব
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট১৪:৫৭, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
13.4K

হাওরে ভেসে উঠছে মরা মাছ

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে হাওর প্লাবিত হওয়ায় মোট এক হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট হয়েছে এবং তিন হাজার ৮৪৪টি হাঁস মারা গেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান।

রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

সভা শেষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, ‘বন্যায় দুই লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। যেখান থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যেতো। তবে এতে আমাদের খাদ্য ঘাটতি হবে না। কারণ, দেশের অন্য অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন বেশি হয়েছে। এছাড়া আউশ এবং আমন চাষে আমরা কৃষকদের প্রণোদনা দেবো। ফলে দেশে খাদ্যে কোনও ঘাটতি থাকবে না।’

হাওরে ভাসছে মরা মাছ

সভা শেষে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, ‘হাওর এলাকায় বিদ্যমান বাঁধগুলো ষাটের দশকের পরিকল্পনায় করা। এবারের বন্য জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয়েছে। এবারের ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নেবো বাঁধগুলো কী পরিমাণ উঁচু করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পগুলো উপজেলা পর্যায় থেকে বাস্তবায়ন করা হবে। যা বাস্তবায়ন করবে উপজেলা প্রশাসন।’

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বন্যকবলিত এলাকার মানুষদের সহায়তায় সোমবার থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। পরবর্তী একশ’ দিনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে মাসে ত্রিশ কেজি চাল এবং নগদ ৫শ’ টাকা দেওয়া হবে। তিনি এ অকাল বন্যায় হাওর এলাকার ৮৬ শতাংশ বোরো ধানই নষ্ট হয়েছে বলেও জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধা পাবেন তিন লাখ ত্রিশ হাজার পরিবার। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ কর্মসূচিতে সরকারের ৩০/৩৫ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন। তবে যারা ত্রাণ নেবেন না তাদের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে চাল ও ১০ টাকা কেজি দরে নায্যমূল্যে চাল বিক্রি অব্যাহত থাকবে।’


Taraman Bibi Bèer Protik



      

Taraman Bibi Bèer Protik : Rediscovering Taraman Bibi was a challenging task after a long spell of 25 years of Liberation War in 19 71 . A researcher Bimal Kanti Dey have taken all the troubles to trace out Taraman Bibi in her home in Rajivpur - Roumari area . Personally , I heard the story of a woman freedom fighter from Sabur Faruki , a college teacher of that area while compiling a news feature on the events of Liberation War in 19 71 . And I gave this information to the researcher Bimal Kanti Dey . He has brought Taraman Bibi into the spotlight of media as well as the state machinery . Congratulations Bimalda .

Sunday, April 23

রৌমারীতে বখাটের হামলায় বাবা মা খালা আহত






কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার গোয়াল গ্রামে ইভটিজিংয়ের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা-মা ও খালাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে বখাটেরা। শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে বাবা ও মায়ের অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাবা আবু তালেব (৪৮) ও মা হোসনে আরা বেগম (৪০) এবং খালা তাহমিনা খাতুন (৩৫) কুপিয়ে আহত করে বখাটেরা। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাত ৩টার দিকে ঘরে ঢুকে বখাটেরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে জাদুরচর উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অপরাধে বখাটে লুৎফর রহমান (১৮), রবিউল ইসলাম (১৭), বিপ্লব মিয়া (১৮) ও মাসুদ রানাকে (১৭) আটক করে এলাকাবাসী। পরে বখাটেদের অভিভাবকদের ডেকে স্থানীয়দের উপস্থিতে সালিশ ডাকা হয়। সালিশে তারা অপরাধ স্বীকার করলে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় গোয়াল গ্রামের ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন ও ইছাকুড়ি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম সাদা উপস্থিত ছিলেন। স্কুল ছাত্রীদের অভিভাবক অভিযোগ করে, চার বখাটেকে আটক করে বিচার-সালিশ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে। পরে পরিকল্পিতভাবে গভীর রাতে নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির লোকজনদের কুপিয়ে আহত করার পাশাপাশি ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর, কাগজপত্র তছনছ ও নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে বলে জানান তারা। তবে হামলাকারী মুখোশ পড়ে হামলা চালানোয় তাদের পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার পর শনিবার দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সালু ও এএসপি (সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম সাজেদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আসলে কি ঘটেছিল তা তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যমতে, বখাটেরাই ওই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বখাটেদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।