Thursday, June 3

বীর প্রতীক তারামন বিবি পাঠাগার ও মুক্তিযোদ্ধার চেতনা বিকাশ কেন্দ্রীকে আনসার ক্যাম্প করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

 

আজ বৃহস্পতিবার (০৩/২১ইং) সকাল ১০:৩০ মিনিটে রাজিবপুর সুপার মার্কেট এর সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি করা হয়। বীরপ্রতীক তারামন বিবির নিজ হাতে গড়া সংগঠন " বীরপ্রতীক তারামন বিবি স্টুডেন্টস ফাউন্ডেশনের " উদ্যোগে উক্ত মানববন্ধন এর আয়োজন করা হয় । বাংলাদেশের গর্ব বীর প্রতীক তারামন বিবির স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত  রাজিবপুরে একমাত্র পাঠাগার বীর প্রতীক তারামন বিবি পাঠাগার ও মুক্তিযোদ্ধার চেতনা বিকাশ কেন্দ্রীকে আনসার ক্যাম্প করার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন টির আয়োজন করা হয় । ২০০৯ সালে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেখানে বই পড়া এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিলো । কিন্তু কিছুদিন আগে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নবীরুল ইসলামের দেহরক্ষী আনসার বাহিনীদের থাকার জন্য বীর প্রতীক তারামন বিবি পাঠাগার কে আশ্রয় কেন্দ্র বানিয়েছেন। তারামন বিবির নামে করা পাঠাগার আবার পুনরায় চালুর করার দাবি জানাচ্ছে এলাকার সচেতন মহল সহ বিভিন্ন সংগঠন এবং এলাকার বিশেষ ব্যক্তিবর্গরা ।


উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, শেখ মিশু, রোস্তম মাহমুদ,আব্দুর রহমান সাইদুর,বাদল,কাউসার ও বীর প্রতীক তারামন বিবি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ আরও অনেকে ।
বক্তরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বীর প্রতীক তারামন বিবির সম্মান নষ্ট করেছেন রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নবীরুল ইসলাম, অতিদ্রুত আমাদের পাঠাগার পুনরায় ফিরে দেওয়া হোক। সেই সাথে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশ ঘটাতে পাঠাগার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু বর্তমানে এ পাঠাগারে বই পড়া হচ্ছে না ।
থাকতে দেওয়া হচ্ছে আনসার বাহিনীদের।

রাজিবপুর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার, মোঃ আব্দুল হাই সরকার বলেন , বীরপ্রতীক তারামন বিবির নামে রাজিবপুরে একটিই মাত্র প্রতিষ্ঠান সেই প্রতিষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার দেহরক্ষীদের শয়নকক্ষ বানিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে ।

বীর প্রতীক তারামন বিবি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক অধ্যাপক সবুর ফারুকীর কাছে জানতে চাইলে বলেন , শুধুমাত্র মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানালে সমস্যার সমাধান হবে না । এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সমন্বয়ে র মাধ্যমে কার্যক্রম করার উপদেশ প্রদান করেন । 

বীর প্রতীক তারামন বিবি পাঠাগার ও মুক্তিযোদ্ধার চেতনা বিকাশ কেন্দ্রীকে আনসার ক্যাম্প করার বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মোঃ নবীরুল ইসলাম সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।

Thursday, May 20

খেলাধুলার মাধ্যমে মাদক মুক্ত সমাজ তৈরি করা সম্ভব

 

কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার মন্ডলপাড়ার এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ব্যতিক্রম ধর্মী ফুটবল খেলার আয়োজন করে প্রতিবছরই এলাকাবাসীরা খেলার আয়োজন করে থাকে ঈদের দ্বিতীয়/তৃতীয় দিন এবারে সপ্তম আসর খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন এর ফলে এলাকাতে মাদক নির্মূল করা গেছে বলে সবাই দাবি করে অতীতে এই মন্ডল পাড়াতে ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে অনেকে মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল কিন্তু সামাজিক কাজগুলো মধ্যে সবাইকে যুক্ত করা এবং ব্যতিক্রমধর্মী খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে দেখা গেছে মাদক থেকে এখানকার শিশুরা এবং ছাত্ররা অনেক দূরে সরে গেছে এখন এলাকাটি মাদকমুক্ত হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত সময় উপস্থিত ছিলেন বেলাল সরকার, ডেপুটি কমান্ডার এবং বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা আয়োজনটির উদ্যোক্তা হিসেবে প্রথম থেকে কাজ করে আসছেন মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু , এবারের আয়োজন শেষে তিনি বলেন "খেলাধুলার মাধ্যমে একজন মানুষ নিজেকে জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করতে পারে মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। " এছাড়াও আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন খেলায় বিবাহিত দলকে - হারিয়ে অবিবাহিত একাদশ বিজয়ী হয় শেষে অতিথি বৃন্দ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলেদেন এরপর সকলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে