Saturday, May 15

রাজিবপুর-রৌমারীতে ড্রেজার মেশিন ও ট্রাক্টরের মহা উৎসব


 রাজিবপুর-রৌমারীতে ড্রেজার মেশিন ও ট্রাক্টরের মহা উৎসব
কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে ট্রাক্টর দুর্ঘটনার সংখ্যা । এ বছরের শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই ৬ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । এছাড়া অনেকে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন । নদীর বিভিন্ন স্থান অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন কোনভাবেই যেন ঠেকানো যাচ্ছে না । একদিকে যেমন ট্রাক্টর এর মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে, ঠিক তেমনি ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অবৈধ মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে । অবৈধ ড্রেজার মেশিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও কোনোভাবেই তা থামানো যাচ্ছে না । অন্যদিকে ট্রাক্টর এর মাধ্যমে অবৈধ মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি । কিছুদিন আগে স্থানীয় সাংবাদিকরা এ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের নিউজ করতে থাকে । একপর্যায়ে ড্রেজার মেশিনের সংখ্যা কমে গেলেও অতঃপর পর্যায়ক্রমে এটি আগের চেয়েও বেড়ে যায় । একইভাবে বাড়তে থাকে ট্রাক্টর এর মাধ্যমে মাটি উত্তোলন । অনেকে তো সরকারি কাজের কথা বলে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করেই যাচ্ছে । প্রতিটি এলাকায় বেড়ে যায় ট্রাক্টরের সংখ্যা এবং অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের নিত্যনতুন পদ্ধতি । যা প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি । ট্রাক্টর গুলোর অধিকাংশ লাইসেন্স বিহীন এবং চালকরা প্রায় সকলেই অদক্ষ । সর্বশেষ গত ৯ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে রৌমারীর বন্দবের ইউনিয়নে ট্যাক্টর (কাকড়ার) দুর্ঘটনায় দুর্জয় হোসাইন নামের এই কিশোরের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় । এর পরেই শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা, সমালোচনা । এলাকাবাসীর প্রশ্ন, এমন অবস্থায় প্রশাসন কেন নীরবতা পালন করছে ? এতগুলো দুর্ঘটনা হওয়ার পরেও কেন কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না ? অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্ট করে বিষয়টি নিয়ে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে । দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ঘাতক ট্রাক্টর ড্রাইভার ও মালিকদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে । এ বিষয়ে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । প্রশাসন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাক্টর বন্ধের কথা বলা হলেও কয়েকদিনের মধ্যে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায় । ট্রাক্টর ও ড্রেজার মেশিনের বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।

No comments:

Post a Comment