Monday, April 24

উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।



 

উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে সংঘাত, সহিংসতা পরিহার করে দেশ গড়ার কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তানপন্থী রাজাকার মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা পাহাড়ি উপজাতি গোষ্ঠীর হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। 


প্রতিবেশী কিছু রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে হাজার হাজার উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দেয়া হয়, উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম দেয়া হয়। তারপর পার্বত্য চট্টগ্রামে লক্ষ-লক্ষ নিরীহ মানুষকে রাস্তাঘাট, হাট-বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘরবাড়িতে আগুন জালিয়ে দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করার নিয়ম চালু হলো। ভিটেমাটি, ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য উচ্ছেদ করা শুরু হয়
পরবর্তীতে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী তৎকালীন বিডিআর রা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে রক্ষায় শহীদী আত্মত্যাগ এবং দৃঢ় মনোবল দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনে। 



এখন উপজাতিদের ‘আদিবাসী’ পরিচয় দিয়ে কথিত জাতিসংঘের আইএলও সনদ ১৬৯ স্বাক্ষর করিয়ে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মতো করে বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা জুমল্যান্ড রাষ্ট্র করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
সুলতানা কামালের কেপেনহেগেনভত্তিক সিএইচটি কমিশন, ইউএনডিপি, আইএলও, দেবাশিষ চাকমার কাপেং ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্র এই ষড়যন্ত্রে সাথে সরাসরি জড়িত।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী গত কয়েক বছরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাবের বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত অভিযানে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবন জেলায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের থেকে- একে-৪৭, একে-৫৬, একে-২২, এম-১৬, মার্ক-২ রাইফেল, চায়না রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল, এসএলআর, এসএমজি, বিমান বিধ্বংসী রিমোর্ট কন্টোল বোমা, গ্রেনেড, রাইফেল গ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার এবং উপজাতি সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত এইসব উপজাতি সন্ত্রাসীদের দেয়া একাধিক তথ্য থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ভারত এবং মিয়ানমার উপজাতি সন্ত্রাসীদের দিচ্ছে বিশাল অস্ত্রের ভান্ডার এবং প্রশিক্ষণ।


বাংলাদেশের এক দশমাংশ এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম। পাহাড় অরণ্য সৌন্দর্য্য-মন্ডিত সবুজ সমারোহের প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই পাহাড়ি জনপদে উপজাতি সন্ত্রাসীরা অস্ত্রবাজী, চাঁদাবাজী, সম্ভ্রবহরণ, অপহরণ, খুন, চোরাচালানসহ বিভিন্ন প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। বাংলাদেশের অখ-তা রক্ষায় এবং উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রতিরোধ করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।
মূলত, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী হচ্ছে অত্যন্ত যোগাত্যসম্পন্ন, সৎসাহসী, নির্ভীক এবং কর্তব্যপরায়ণ। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে থাকুক- আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীমহল এবং পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীরা সেটা চায় না। আর এজন্যই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীমহল এবং পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সরকারকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের অখন্ডতার বিষয়ে আমরা কারো সাথে আপোস করবো না। আর এ জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী না কমিয়ে বরং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় নজরদারি বাড়াতে হবে।

No comments:

Post a Comment