Showing posts with label চট্টগ্রাম-এর সাম্প্রতিক খবর. Show all posts
Showing posts with label চট্টগ্রাম-এর সাম্প্রতিক খবর. Show all posts

Monday, April 24

ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের শঙ্কা ঢাকাসহ ৬ বিভাগে

 

নিউজ ডেস্ক: বজ্রঝড়ের ঘনঘটা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবারের (২৪ এপ্রিল) মধ্যেই এই ভারী বৃষ্টি হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
অতি ভারী বর্ষণের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
সর্বশেষ আবহাওয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা


ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদী-বন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি. মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি. মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশে অবস্থান করছে, যার বধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু ’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সাথে বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।



 

উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে সংঘাত, সহিংসতা পরিহার করে দেশ গড়ার কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তানপন্থী রাজাকার মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা পাহাড়ি উপজাতি গোষ্ঠীর হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। 


প্রতিবেশী কিছু রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে হাজার হাজার উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দেয়া হয়, উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম দেয়া হয়। তারপর পার্বত্য চট্টগ্রামে লক্ষ-লক্ষ নিরীহ মানুষকে রাস্তাঘাট, হাট-বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘরবাড়িতে আগুন জালিয়ে দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করার নিয়ম চালু হলো। ভিটেমাটি, ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য উচ্ছেদ করা শুরু হয়
পরবর্তীতে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী তৎকালীন বিডিআর রা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে রক্ষায় শহীদী আত্মত্যাগ এবং দৃঢ় মনোবল দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনে। 



এখন উপজাতিদের ‘আদিবাসী’ পরিচয় দিয়ে কথিত জাতিসংঘের আইএলও সনদ ১৬৯ স্বাক্ষর করিয়ে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মতো করে বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা জুমল্যান্ড রাষ্ট্র করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
সুলতানা কামালের কেপেনহেগেনভত্তিক সিএইচটি কমিশন, ইউএনডিপি, আইএলও, দেবাশিষ চাকমার কাপেং ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্র এই ষড়যন্ত্রে সাথে সরাসরি জড়িত।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী গত কয়েক বছরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাবের বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত অভিযানে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবন জেলায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের থেকে- একে-৪৭, একে-৫৬, একে-২২, এম-১৬, মার্ক-২ রাইফেল, চায়না রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল, এসএলআর, এসএমজি, বিমান বিধ্বংসী রিমোর্ট কন্টোল বোমা, গ্রেনেড, রাইফেল গ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার এবং উপজাতি সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত এইসব উপজাতি সন্ত্রাসীদের দেয়া একাধিক তথ্য থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ভারত এবং মিয়ানমার উপজাতি সন্ত্রাসীদের দিচ্ছে বিশাল অস্ত্রের ভান্ডার এবং প্রশিক্ষণ।


বাংলাদেশের এক দশমাংশ এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম। পাহাড় অরণ্য সৌন্দর্য্য-মন্ডিত সবুজ সমারোহের প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই পাহাড়ি জনপদে উপজাতি সন্ত্রাসীরা অস্ত্রবাজী, চাঁদাবাজী, সম্ভ্রবহরণ, অপহরণ, খুন, চোরাচালানসহ বিভিন্ন প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। বাংলাদেশের অখ-তা রক্ষায় এবং উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রতিরোধ করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।
মূলত, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী হচ্ছে অত্যন্ত যোগাত্যসম্পন্ন, সৎসাহসী, নির্ভীক এবং কর্তব্যপরায়ণ। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে থাকুক- আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীমহল এবং পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীরা সেটা চায় না। আর এজন্যই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীমহল এবং পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সরকারকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের অখন্ডতার বিষয়ে আমরা কারো সাথে আপোস করবো না। আর এ জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী না কমিয়ে বরং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় নজরদারি বাড়াতে হবে।

Saturday, April 22

চট্টগ্রামে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু

 

শনিবার দিনের বিভিন্ন সময় সন্দ্বীপ ও ফটিকছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে সন্দ্বীপে নিহতরা হলেন- সানাউল্লাহ শামীম (৩৩) ও মো. দিদার (৪০)। এদের মধ্যে শামীম কালাপানিয়া ইউনিয়নের আবদুল বাতেনের ছেলে। আর দিদার একই ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
সন্দ্বীপ থানার ওসি মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভেড়া নিয়ে চর থেকে ফেরার সময় বজ্রপাতে দিদারের মৃত্যু হয়।
“অন্যদিকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরে গোয়ালঘরে বাঁধতে গিয়েছিলেন শামীম। এসময় বজ্রপাতে তিনি মারা যান, গরুটিরও মৃত্যু হয়।”
এদিকে বজ্রপাতে ফটিকছড়ি উপজেলায় মারা গেছেন এক গৃহবধূ।
নিহত নূর বানু (৪০) উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়নের আমতলি গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
ভুজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে ঘরের বাইরে উঠানেই ছিলেন নূর বানু। সেখানেই তিনি বজ্রাহত হন।
পরে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলেন জানান তিনি।