Showing posts with label বিনোদন. Show all posts
Showing posts with label বিনোদন. Show all posts

Sunday, May 21

যৌথ প্রযোজনায় সুন্দরী প্রতিযোগিতা

ডেস্ক: দুই বাংলায় জোয়ার উঠেছে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণের। এ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও চলছে পাল্লা দিয়ে।
এবার সেই সূত্রে বেশ বড়সড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই বাংলার আয়োজক প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রযোজনায় সুন্দরী প্রতিযোগিতা। নাম ‘বর্ষাসুন্দরী ২০১৭’। আর এই আসরে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের তিন তারকা মৌসুমী, ফেরদৌস ও পূর্ণিমা।
এই তিন বিচারকের সঙ্গে আরও থাকছেন ভারতের উঠতি মডেল-অভিনেত্রী রেচেল হোয়াইট।
আয়োজকরা জানান, ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ল্ড ও ঈশান মাল্টিমিডিয়ার আয়োজনে ২২ মে সন্ধা ৭টায় হোটেল লা ভিঞ্চিতে এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মৌসুমী, ফেরদৌস, রেচেল হোয়াইট ও দুই আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
পূর্ণিমা দেশের বাইরে থাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
বরাবরের মতো এবারও সারা দেশ থেকে বেছে নেওয়া হবে প্রতিযোগীদের। এরপর বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে নির্বাচিত হবেন সেরা সুন্দরী। আয়োজনটির চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে কলকাতায়।

Saturday, April 29

চিত্রনায়ক শাকিব খান অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ

 


গণমাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিল্পীদের নিয়ে মন্তব্য করায় ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। এ নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কের সন্তোষজনক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পরিচালক সমিতির কেউ শাকিব খানকে নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকল কুশলীদের সংগঠনের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে সমিতির আদেশ অমান্য করে শাকিব খানকে নিয়ে সিনেমার কাজ চালিয়ে যাওয়ায় 'রংবাজ' সিনেমার পরিচালক শামীম আহমেদ রনির সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শাকিব খান কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, 'এখন যেহেতু বেশি সিনেমা নির্মিত হচ্ছে না, তাই বেকার লোকের সংখ্যাও একটু বেশি। পরিচালক সমিতির তালিকায় দেখবেন অনেক পরিচালক। তারা বিএফডিসিতে আড্ডাও মারছেন, কিন্তু কাজ করছেন কতজন?' 'প্রযোজকের ক্ষেত্রেও দেখবেন একই অবস্থা। শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তা-ই। অনেক শিল্পী তো নিবন্ধিত আছেন, কাজ করছেন কতজন?' যোগ করেন তিনি। এরপর শাকিবের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে পরিচালক সমিতি অবস্থান নেয়। গত মঙ্গলবার শাকিব কেন মন্তব্য করলেন সেটার কৈফিয়ত না দেয়া পর্যন্ত তাকে নিয়ে শুটিং বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ পাঠায় পরিচালক সমিতি। সর্বশেষ আজ শনিবার সমিতির সভায় শাকিব খানকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কঠিন সময় যাচ্ছে শাকিব খানের


 


কঠিন সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছেন দেশিয়
চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান।
কিছুদিন আগে স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে
স্বীকৃতি দেওয়া না দেওয়া নিয়ে তুমুল
সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
অবশেষে ‘মেনে নেয়া’ বা ‘মনে নেয়া’
যাই হোক না কেনো শাকিব-অপু
দ্বন্দ্বের সাময়িক অবসান হয়েছে। ঠিক
এর পরপরই নায়ক ফের বিতর্কের মুখে
পড়েছেন একটি গণমাধ্যমে পরিচালক,
প্রযোজক ও শিল্পীদের অসম্মান করে
কথা বলায়। সাক্ষাৎকারে নায়ক
বলেছেন, ‘এখন যেহেতু বেশি সিনেমা
হচ্ছে না, তাই বেকার লোকের সংখ্যাও
একটু বেশি। পরিচালক সমিতির তালিকা
দেখবেন, অনেক পরিচালক। তারা
এফডিসিতে আড্ডাও মারছেন। কিন্তু
কাজ করছেন কতজন? প্রযোজকের
ক্ষেত্রেও দেখবেন একই অবস্থা।
শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তা-ই। অনেক
শিল্পী তো নিবন্ধিত আছেন, কাজ
করছেন কতজন?’ নায়কের এই বক্তব্যে
ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পরিচালক ও
প্রযোজকেরা। গত সোমবার এক লিগ্যাল
নোটিশে শাকিবকে নিয়ে ছবি নির্মাণ
না করতে পরিচালকদের আহ্বান
জানিয়েছে পরিচালকদের এই সমিতি।
এর মহাসচিব বদিউল আলম খোকন
স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়েছে-
‘সম্প্রতি শাকিব খান জাতীয় দৈনিক
পত্রিকা ও মিডিয়ায় চলচ্চিত্র
পরিচালকদের উদ্দেশ্য করে মানহানিকর
বক্তব্য দেয়ায় সমিতির ভাবমূর্তি ও
সম্মান রক্ষার্থে কার্যনির্বাহী
পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার
বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা
হয়েছে। এ বিষয়ে সম্মানজনক সুরাহা না
হওয়া পর্যন্ত তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র
নির্মাণ সংক্রান্ত সব কর্মকান্ড থেকে
বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার পরিচালক সমিতির উকিল
নোটিশ পাবনায় শাকিব অভিনীত
‘রংবাজ’ ছবির সেটে পৌঁছালে এর শুটিং
বন্ধ হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র
পরিচালক সমিতির যুগ্ম-মহাসচিব শাহীন
সুমন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগেই
পাবনায় ‘রংবাজ’ ছবির সেটে পরিচালক
সমিতি থেকে শাকিবকে নিয়ে শুটিং
বন্ধ রাখার নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শাকিব যতক্ষণ পর্যন্ত তার মনগড়া
মন্তব্যের যুক্তিযুক্ত জবাব না দেবে
ততক্ষণ শুটিং বন্ধ রাখতে হবে।’
এদিকে পরিচালক সমিতির এই পদক্ষেপ
প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘সমিতির
মহাসচিব তার ব্যক্তিস্বার্থে
ক্ষমতাবলে সমিতিকে ব্যবহার করছেন।
আমি যা বলেছি এ ধরনের কথা
হরহামেশা সবাই বলে থাকেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে এখন অনেকেই বেকার। এটা
সময়ের কারণে হয়। কাউকে হেয় করার
জন্য আমি কিছুই বলিনি। খোকন আমার
কাছে বছরখানেক আগে সিডিউল
চেয়েছিল। কিন্তু টাইট সিডিউল ও
ব্যস্ততার কারণে তাকে সিডিউল দিতে
পারিনি। এ কারণে বিষয়টিকে তিনি
ব্যক্তিগত শত্রুতা হিসেবে ধরে
নিয়েছেন এবং সমিতির প্রভাব খাটিয়ে
আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন। আমি
বলব, সমিতির এ ধরনের সিদ্ধান্ত বরং
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ক্ষতি করছে।
এমন সিদ্ধান্ত কখনই ইন্ডাস্ট্রির জন্য শুভ
হতে পারে না। আশা করব, পরিচালক
সমিতির নেতারা শিগগিরই তাদের ভুল
বুঝতে পারবেন। কারণ আমি জেনেছি,
বর্তমানে ব্যস্ত পরিচালকদের অনেকেই
সমিতির এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত
পোষণ করেননি।’ কালজয়ী চিত্রনায়ক
প্রয়াত সালমান শাহর প্রসঙ্গ টেনে
শাকিব খান আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৯
জুলাই প্রয়াত নায়ক সালমান শাহর
বিরুদ্ধে যেভাবে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল,
বর্তমানে আমার সঙ্গেও একই কাজ
হচ্ছে।’

Wednesday, April 26

অ্যাকশান ধাঁচে ‘বস-২’ প্রথম ঝলক


 


কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ এবার আসছেন নতুন সিনেমা নিয়ে। ‘বস-২’ চলচ্চিত্রে অ্যাকশান লুকে দেখা যাবে এই নায়ককে। ছবিটির প্রথম ঝলকে তো তাই দেখা গেলো। অ্যাকশান ধাঁচের ‘বস-২’ ছবির টিজার রোববার প্রকাশ হয়েছে। ৪১ সেকেন্ডের পুরো টিজার জুড়েই জিৎ’কে দেখা গেছে অ্যাকশান ধাঁচে। বাবা যাদব পরিচালিত এ ছবিতে জিৎ এর নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া ও শুভশ্রী। বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া ও জিৎ এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জিতস ফিল্ম ওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে ছবিটি। আসছে রোজার ঈদে ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি পাবে ছবিটি। ২০১৩ সালে কলকাতায় জিৎ ও শুভশ্রী অভিনীত 'বস' ছবিটি মুক্তি পায়। এটি তামিল ছবির রিমেক ছিল। জিৎ, ফারিয়া, শুভশ্রী ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, অমিত হাসান, সীমান্ত প্রমুখ।

Monday, April 24

গন্তব্য, কড়ই গাছ, ঘৃণা


 

★গন্তব্য, কড়ই গাছ, ঘৃণা★
.
উঁফ, কেন যে এই হাফ ভাড়া দেওয়ার জন্য
বিআরটিসির রিক্সা গুলায় চড়ি, একে তো
পা রাখার যায়গা থাকে
না, তার ওপর কচ্ছপ গতি ! আজ বোধহয় আর
টিউশনিটাকে বাঁচাতে পারবো না,
তিনদিন পর যাচ্ছি, তবুও লেট করে..!
.
বাস থেকে নেমে পকেটে হাত দিলাম,
কিন্তু একি..! মোবাইলটাই তো নাই ! উঁফ,
চোরটার জন্য খুব মায়া হচ্ছে,
বেচারি এত কষ্ট করে চুরিটা করলো, কিন্তু
তেমন ফায়দা হবে না, মাত্র ৪০০ টাকা
দামের একটা চায়না
বাটনওয়ালা হ্যান্ডসেট, গত মাসের
টিউশনির টাকাটা দিয়ে বাসার নিচের
চায়ের দোকানের মামার কাছে
কিনেছিলাম । কিন্তু আফসোস, ফোনটার
চার্জিং
পিনটাও ভালো না, অটো চার্জার দিয়ে
চার্জ দিতে হয় ।
.
হাটতে হাটতে মেহজাবিন দের বাসার
নিচে চলে এসেছি । ঢুকবো কি ঢুকবো না
করতে করতেই গেইটে একটা
ধাক্কা দিলাম, একি! গেইট খোলা কেন?
আর দারওয়ান কই!?
.
ডানে-বামে তো কাউকেই দেখছি না,
সিড়ি দিয়ে উঠে সোজা দোতলায় চলে
আসলাম । কলিং বেল থাকা
সত্তেও আমি সব সময় দরজায় টোকা দেই,
একদম মৃদু টোকা..! এই আস্তে টোকা দেওয়ার
জন্যই একদিন আধ
ঘন্টা বাইরে দাড়িয়েছিলাম ।
.
আজকেও মনেহয় দাড়িয়ে থাকতে হবে ।
আবার টোকা দিতে যাবো, তখনই আন্টি
দরজা খুলে দিলেন । আমি
স্বভাব সুলোভ আর ভদ্রতার খাতিরে একটা
কৃত্রিম মিষ্টি
হাসি দিলাম । কিন্তু আন্টি আজকে কেমন
যেন গম্ভীর ।
.
-আন্টি ভালো আছেন?
-হ্যা নাহিন, তুমি ভালো আছো? আসলা না
কেন এই কয়দিন?
একসাথেই দুই প্রশ্নের উত্তর কিভাবে
দিবো এটাই ভাবছি, অবশেষে বলে
ফেললাম, -জ্বী আন্টি, জ্বর সেড়ে গেছে ।
-তোমার জ্বর এসেছিল বলোনি কেন? আর
ফোন অফ কেন ছিল কেন?
-আন্টি আমার ফোনে তো চার্জ থাকে না,
তাই ফোন অফ হয়ে যায় ।
-ফোনটা চেঞ্জ করো ।
-জ্বী আন্টি, আজকেই কিনবো !
(এবার তো বাধ্য হয়ে কিনতে হবে)
.
আন্টির সাথে কথা বলে সোজা কাব্যর রুমে
চলে গেলাম ।
.
ও হ্যা, আমার নাম নাহিন । সবে ইন্টার
পাশ করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন
টেস্ট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি
না । কারণ আমি জানি, ওখানে পড়ার জন্য
আমার চেয়ে অনেক বড় মেধাবীরা
ইতিমধ্যে তোরজোড় শুরু করে
দিয়েছে । আমি আগে কখনও টিউশনি
করিনি, এটাই প্রথম, HSC পরীক্ষা দেওয়ার
পর শুরু করেছি । যদিও অনেক অর্থাকষ্টে
ভুগেছি, তবুও এদিকে আমার তেমন নেশা
ছিল
না । কাব্য, আমার ছাত্র, মেহজাবিনের
ভাই, ক্লাস ফোরে পড়ে, গড়পরতা অন্য দশটা
বাচ্চার মতই দুষ্ট, আর
ছাত্র হিসেবেও তেমন খারাপ না, এক অংক
দুবার বুঝিয়ে দিলেই পারে..!
.
যাইহোক, আমি কাব্যকে পড়াতে গেলাম, দু
মিনিটের মধ্যেই কাব্য চলে এলো ।
যথারিতি পড়ানো শুরু করার ৫
কি ৬ মিনিটের মধ্যেই চা বিস্কিট চলে
এলো ! আমি কখনও বিস্কিট খাইনা, ওটা
কাব্যকেই খাওয়াই । কিন্তু
বিপত্তিটা হলো, প্রতিবার আন্টি চা দিয়ে
যায়, কিন্তু আজকে হঠাৎ মেহজাবিন । যদিও
আজকে ওকে রুমে ঢোকার সময় দেখিনি । ওর
চোখ এত ফোলা ফোলা কেন, কান্না
করেছে নাকি...?
.
আচ্ছা, প্রথম দিন থেকেই বলি,
এক বড় ভাই এই টিউশনিটা আমাকে যোগাড়
করে দিয়েছিল । প্রথম দিন এসেই দোটানায়
পরে গিয়েছিলাম
যে, কাব্যরা কয়তলায় থাকে! এটা তো শুনে
আসিনি?! আর এদিকে আমার ফোন নষ্ট,
কারও ফোন নিয়ে যে বড়
ভাইকে ফোন দিবো সেটাও সম্ভব না, কারণ
নাম্বার আমার মুখস্ত না । আবার অন্য
কাউকে বলাও ঠিক হবে না
যে, "আমার SIM টা একটু আপনার ফোনে
তুলবেন?"
.
এদিকে সেদিনও দাড়োয়ান ছিল না, তাই
জিজ্ঞেস করার মত কাউকে না পেয়ে
অযথাই বসেছিলাম, যে কেউ
আসলে তাকে জিজ্ঞেস করবো । হঠাৎ একটা
মেয়ের আগমন,
.
-আপনি কবে থেকে জয়েন করলেন? (মেয়ে)
-জ্বী আজকেই প্রথম !
-কেন, আগের দাড়োয়ানকে না আজকে
সকালেই দেখলাম?
-মানেহ?! আমাকে কি আপনার দাড়োয়ান
মনে হয়?
-আজব তোহ, একটু আগেই না বললেন আজকে
জয়েন করেছেন? আর এখানে বসে আছেন
কেন, কে আপনি,
কাকে চাই?
(একনাগারে এতগুলো প্রশ্ন করে আমার
মাথাটা একদম
হ্যাং করে দিলো)
-আসলে আমি এখানে কাব্য নামের
একজনকে পড়াতে
এসেছি, কিন্তু ওরা কোন ফ্ল্যাটে থাকে
জানিনা !
-ওহ, তাই এখানে এই টুলের ওপর বসে
থাকবেন?
-আর তো বসার জায়গা নেই ।
-উফ, দোতলায় দুইশ তিন নম্বর ফ্ল্যাট ।
.
আর কথা না বলে সোজা সিড়ি ধরলাম,
কিন্তু মনে মনে বললাম একটা ধন্যবাদ
দেওয়া উচিৎ ছিল । নাহ, ওকে
কিসের ধন্যবাদ দিবো, আমাকে দাড়োয়ান
বলেছে, হুহ !
.
প্রথমদিন পড়ানোর শেষে তারপরের দিন,
.
আজকে পড়াতে গিয়ে দেখি ঐ মেয়েটা
দরজা খুলে দিল, আমাকে দেখেই মেয়েটা
মুখ লুকিয়ে কি হাসি, মুডটাই
খারাপ হয়ে গেল । দরজা খুলে দিয়েছে,
কিন্তু সরে দাড়ানোর নাম নেই ! তাই
অগত্যাই রুমে ঢোকার জন্য পা
বাড়ালাম !
.
রুমে ঢুকেই দেখি আন্টিও হাসছে আমাকে
দেখে,
.
-নাহিন তুমি কিছু মনে করোনিতো গতকাল,
মেহজাবিনের
ব্যবহারে? (আন্টি)
.
কি মেয়েরে বাবা, সবকিছু আন্টিকে বলে
দিয়েছে? ওর
দিকে তাকিয়ে দেখি এখনও হাসছে..!
আমার নিরবতা
দেখে আন্টি আবার বললেন,
.
-কিছু মনে করোনা, ও তোমাকে চিনতে
পারেনি ।
-নাহ আন্টি, কিছুই মনে করিনি !
সোজা কাব্যকে পড়াতে গেলাম ।
.
এভাবেই পড়াচ্ছিলাম । মেহেজাবিন মাঝে
মাঝে এসে
দেখতো, কেমন পড়াচ্ছি, আর আমার
ছাত্রকে আলগা
ঝাড়ি দিত ! যে কয়দিন পড়াতে গেছি,
প্রতিদিনই এসে আমার পড়ানোর বারোটা
বাজিয়ে দিতো !
.
এরমধ্যে একদিন যাইনি, তারপরের দিন না
আসার কারণ দর্শানোর পর, আন্টি আমার
ফোন নাম্বার নিল ! কিন্তু
আমি উনাদের নাম্বার নেইনি ! সেদিন
রাতে একটা আননোন নাম্বার থেকে ফোন,
.
-হ্যালো (আমি)
-হুম, আমি মেহেজাবিন
-ও হ্যা, বলুন
-স্যরি
-কেন?
-আসলে সেইদিনের ঘটনাটার জন্য আপনাকে
স্যরি বলা হয় নি
-নাহ, আমি কিছু মনে করিনি, স্বাভাবিক
ভাবেই নিয়েছি ! কিছু বলবেন?
-হুম, নাহ (!) আর শুনুন, আমি আপনার ২ বছরের
জুনিয়র, সো
তুমি করে বলবেন প্লীজ..! বড়রা আপনি করে
বললে.....
.
ধুরর, শালার ফোনটা অফ হয়ে গেল !
.
যাইহোক, এভাবেই পড়াচ্ছিলাম ! মাঝে
মাঝে রাতে ও ফোন দিতো, যদিও আমি
কখনও দিতাম না ! হুম, তুমি করেই
বলতাম ! একদিন বলল ওর নাকি বার্থডে
আগামীকাল ! তাই ইনভাইট করলো ! কিন্তু
তারপরের দিন থেকে তিন দিন আমি
যাইনি ! তারপরেই আজকে গেলাম এবং এখন
চা
হাতে ও দাড়িয়ে আছে,
.
-কি হয়েছে কি আপনার? আপনি এলেন না
কেন এই কদিন?
জানেন, বার্থডে পার্টিতে আমি আপনাকে
কত মিস
করেছি?(মেহেজাবিন)
-স্যরি, আমার জ্বর হয়েছিল (যদিও জ্বর
হয়নি)
বাই দ্য ওয়ে, হ্যাপি বার্থডে !
-জ্বর হয়েছিল বুঝলাম, কিন্তু এর সাথে ফোন
বন্ধথাকার মানে কি? দেখিতো আপনার
ফোনটা? (অধিকার মিশ্রিত গলা)
-আমার ফোনটা চুরি হয়ে গেছে !
-তাহলে অন্য কারও দিয়েও তো একবার কথা
বলতে পারতেন?
-তোমার নাম্বার টা আমার মুখস্ত নেই, আর
ফোনটা আজকে হারিয়েছে !
-তাহলে ফোন অফছিল কেন, আর একটি বারও
ফোন দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না?
.
কি উত্তর দিব ভাবতে ভাবতেই আন্টি চলে
এলো,
.
-নাহিন, তোমার এই মাসের টাকাটা ! আর
হ্যা, আগামী ৩ দিন তোমার আসতে হবে
না, আমরা গ্রামের বাড়ি যাবো, কাব্যর
দাদু খুব অসুস্থ !
-আচ্ছা আন্টি
.
সেদিন পড়ানো শেষ করে আসার সময়
মেহেজাবিন বলল,
.
-আপনি একটু নিচে দাড়াবেন, আমি আসছি..!
কড়ই গাছের
নিচে দাড়াবেন প্লীজ...
.
আমি মাথা দিয়ে হা সুচক স্বীকার করে
বের হলাম ।
.
নিচে নেমে একটু হেটে কড়ই তলায় এসে
দাড়ালাম ! একটু
পরই ও আসলো,
.
-একটা রিক্সা নিন
-কোথায় যাবা?
-রিক্সা নিতে বলেছি নিন
.
রিক্সা নিয়ে উঠে বসলাম, ও
রিক্সাওয়ালাকে বলল কাছের যে কোনো
একটা ফাঁকা জায়গায় নামিয়ে দিতে ।
রিক্সাওয়ালাও ঝোঁপ বুঝে কোঁপ মেরে
একটা পার্কে নামিয়ে দিল । রিক্সা
ভাড়টা মেহেজাবিনই দিল । একটু
হাটার পর একটা বেঞ্চে ও বসতে বলল..!
.
-আপনি জানেন, কেন আমরা গ্রামের বাড়ি
যাচ্ছি?
-হুম, তোমার দাদু অসুস্থ!
-ওটা মিথ্যা কথা, গত জন্মদিনের পার্টিতে
আপনার না
আসার জন্য খুব অসস্থিবোধ হচ্ছিল, আম্মু
এটা বুঝে যায়,
তাই আম্মু আমাকে জিজ্ঞেস করার পর
আমি বলে দিয়েছি, আমি আপনাকে
ভালবাসি..আম্মু আব্বুকে বলে
দিয়েছে এই কথা, তাই গ্রামের বাড়ি
আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাত্র
দেখানোর জন্য..! আম্মু আব্বুকে বলে
ব্যপারটা এমন ভাবে হ্যান্ডেল করেছে,
যাতে আমি কিছু না টের পাই, কিন্তু আমি
লুকিয়ে সবকিছু শুনে ফেলেছি।
(মেহেজাবিন)
-.......
-কিছু বলছেন না কেন? কি ভেবেছেন কি,
আপনি কিছুই বোঝেন না? সব ভালবাসা কি
মুখ দিয়ে বলতে হয়? তুমি করে বললাম, তাই
কি ভালবাসা হয়ে গেল? ভেবেছেন আপনি
না বোঝার
ভান করবেন, আর আমি ওটা মেনে নিবো!?
(মেহেজাবিন)
-....!
-কিছু বলছেন না কেন আপনি?
-কি বলবো?
-আপনার কি কিছুই বলার নাই?
-না
-আমার চোঁখের দিকে তাকান, এইযে,
আপনাকে তাকাতে বলছি, হ্যা তাকিয়ে
থাকেন ! এবার বলুন তো, আমাকে
আপনি ভালবাসেন কিনা?!
-তুমি এবার কোন ক্লাসে?
-ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার
-আবেগ বোঝো?
-দরকার নেই
-তুমি যে এখন ভালবাসার কথা বলছো, ওটা
আবেগ বৈকি অন্য কিছুনা !
-আমি এগুলা শুনতে চাইনা, আপনি আমাকে
বিয়ে করবেন, এবং আজকেই !
-এটা সম্ভব না, আমি বিয়ে করে এখন
তোমাকে কোথায় রাখবো? আর আমি
নিজেও এখনও তেমন বড় হইনি, নিজেই চলতে
পারি না ! আব্বু মারা গেছে, মামারা
চালাচ্ছে আমাকে !
-আমি এত কিছু বুঝি না, আমাকে বিয়ে
করবেন, ব্যস
-আবেগে বিয়ে করা যায়, সংসার না
-আমাকে শোনাচ্ছেন কেন এগুলা?! আমি
এগুলা শুনবো না এখন..!
-আচ্ছা, তুমি এখন বাসায় যাও, আমি তোমার
সাথে পরে দেখা করছি, একটু ভাবতে দাও
আমাকে..!
-কোনো ভাবা ভাবি নাই, আমাকে আজকে
এক্ষুণি বিয়ে করতে হবে..!
-আচ্ছা, আজকেই করবো..! তোমার সাথে
সন্ধ্যায় দেখা করছি, এখন বাসায় যাও..!
-আচ্ছা, আমি বাসায় গিয়ে সব গুছাচ্ছি, যা
করার আজকেই করবেন, কালকে কিন্তু আমরা
চলে যাবো..!
-আচ্ছা যাও এখন
-সন্ধ্যায় কোথায় দেখা করবো?
-কড়ই তলা
.
চলে যাচ্ছে ও, পিছন থেকে একটু ডাক
দিলাম ! দেখলাম একটু ভালভাবে, একটা
মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
.
-সন্ধ্যায় আসছি, তুমিও একদম রেডি হয়ে চলে
আসবা কিন্তু..! স্যরি, চলে আসবেন..!
.
আস্তে আস্তে চলে আসলাম, বাসার নিচের
চায়ের দোকানদার কে ৫০০ টাকা দিলাম !
আরও একটা ফোন
চাইলাম, বললেন পাইলে রেখে দিবেন
আমার জন্য !
বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হলাম, একটু পর বের হয়ে
সেই টিউশনি যোগার করে দেওয়া বড়
ভাইয়ের কাছে গেলাম, বললাম
.
-ভাইয়া, নতুন একটা টিউশনি যোগার করে
দেন, নতুন গন্তব্যের প্রয়োজন ।
.
বড় ভাই বুঝলো কিনা, না বুঝলো, শুধু হা করে
তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে..!
.
Writter :- Tarique Us Zaman Antar

Saturday, April 22

এবার ভিন্ন রুপে দেখা যাবে এ টি এমকে

 

অভিনয়ের পরিমাণ খানিকটা কমিয়ে দিয়েছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। বর্তমানে তিনি দুটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। পাশাপাশি নতুন আরও একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় শুরু করেছেন তিনি। নাটকের নাম ‘মহাগুরু’। নাটকটি নির্মাণ করছেন কায়সার আহমেদ। ‘মহাগুরু’ নাটকে এবার এ টি এম শামসুজ্জামানকে ভণ্ডপীরের চরিত্রে দেখা যাবে। কায়সার আহমেদ বলেন, ‘যে চরিত্রটিতে এ টি এম স্যার অভিনয় করছেন তা তিনি ছাড়া অন্য কেউ এত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন না। তাই তাকে নিয়েই কাজটি করেছি। ধারাবাহিকটি বাংলাভিশনে প্রচার শুরু হয়েছে। সপ্তাহের প্রতি রবি ও সোমবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে প্রচার হয়।

Friday, April 21

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে বুবলী

 

গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেত্রী বুবলী। জানা গেছে, অতিরিক্ত জ্বর ও রক্তচাপ নিম্নমুখী হওয়ায় তাকে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুবলীর বোন মিমি বলেন, কয়েকদিন থেকেই বুবলী অসুস্থতাবোধ করছিলেন। শুক্রবার এই অসুস্থতার মধ্যেও রংবাজের মহরতে অংশ নেন। সেখান থেকে ফিরেই প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে আসি বুবলীকে।

মিমি আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে বুবলীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন, তার মাত্রাতিরিক্ত জ্বর ও প্রেশার ফল করেছে। এখন সে ইমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তি আছে।

উল্লেখ্য, শামীম আহমেদ রনী পরিচালিত রংবাজ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে বুবলী অভিনয় করতে যাচ্ছেন।  ছবিটির মহরত শুক্রবার গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। 

নিজেকে বাথরুমে বন্ধ রেখে কেঁদে ফেলেন শাহরুখ!

 

বলিউডের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক মজার ঘটনা রয়েছে শাহরুখ খানের। রয়েছে অনেক অজানা কাহিনী। মাঝেমধ্যে তা ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে নেন বলিউড বাদশা। তেমনই একটা ঘটনা হল শাহরুখের নিজেকে বাথরুমে বন্ধ রেখে কাঁদার গল্প।

বিষয়টা ঠিক কী? সম্প্রতি সান ফ্রান্সিসকোর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছিলেন শাহরুখ। সেখানে মার্কিন পরিচালক ব্রেট র‌্যাটনারের সঙ্গে কথোপকথনের ফাঁকে শাহরুখ জানান, একটি বিশেষ সময় তিনি নিজেকে বাথরুমে বন্ধ করে রাখেন।

আসলে যখনই শাহরুখের কোনও ছবির বক্স অফিসে সাফল্য অধরা থাকে তখনই নিজেকে বাথরুমে বন্দি রেখে কেঁদে ফেলেন শাহরুখ। আবার সাফল্য এলেও তা নিয়ে মোটেই মাতামাতি করতে রাজি নন তিনি। কারণ সাফল্য বা ব্যর্থতা দুটোই খুব ক্ষণস্থায়ী। তাই তাঁর মতে, বাস্তববাদী হওয়াটাই সবথেকে ভাল।

বিবাহবার্ষিকীতেও একসঙ্গে নেই শাকিব-অপু

 

শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয় ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। আজ তাদের নবম বিবাহবার্ষিকী। এই দম্পতিকে ঘিরে গত কয়েকটি দিনে হয়ে গেছে অনেক কিছু। আজ নবম বিবাহবার্ষিকীতে শাকিব পাবনায় ‘রংবাজ’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত, আর অপু রয়েছেন ঢাকার নিকেতনের বাসায়।

কিছুদিন আগেও মানুষ জানতো না শাকিব ও অপু বিবাহিত দম্পতি। মিডিয়ার কল্যাণে আজ এই খবর সবার মুখে মুখে। গত ১০ এপ্রিল আচমকাই অপু কোলে শিশু সন্তানকে নিয়ে একটি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের পর্দায় লাইভ  সাক্ষাৎকারে হাজির হন। সেখানে তিনি নিজেকে শাকিবের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। কোলের শিশুও শাকিবেরই সন্তান এমন কথাও বলেন। পরে শাকিব সে কথা স্বীকার করে নেন। এভাবেই প্রকাশ্যে আসে শাকিব অপু জুটির বিয়ে ও সন্তান আব্রাহাম খান জয়ের খবর। শাকিবের ইচ্ছাতেই এত দিন বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিলো। বিয়েল সময় তার অপুর নাম রাখা হয় অপু ইসলাম খান।

২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজনা ব্যবস্থাপক মামুনুজ্জামান মামুন। বিয়ের সেদিন শাকিব অপুকে একটি হীরার সেট ও একটি লেহেঙ্গা উপহার দিয়েছিলেন। শাকিবের বর্তমান বাসাতেই সেই বিয়ে হয়েছিলো।  আসরের নামাজের ঠিক আগে আগে বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ের সময় অপুর বড় বোন লতাও উপস্থিত ছিলেন। উকিল বাবা হিসেবে কাবিননামায় স্বাক্ষর করেন মামুন। শাকিবের চাচাতো ভাই মনিরও সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। বিয়ের দেনমোহরটা বড় অঙ্কেরই হয়েছিল বলে জানা যায়। বিয়ের ঘণ্টা দুয়েক পর অপু ও লতা তাদের বাড়িতে চলে যান বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার এই আলোচিত জুটির প্রকাশ্যে প্রথম বিবাহ বার্ষিকী। কিন্তু এই দিনেও অপু একাই রয়েছেন নিকেতনের বাড়িতে। আর শাকিব রংবাজ ছবির শুটিংয়ের জন্য পাবনায়। যাই হোক তাদের দেশজুড়ে তাদের ভক্তকূল ছড়িয়ে রয়েছে। সবারই একমাত্র প্রত্যাশা শুভ হোক তাদের বিবাহিত জীবন।

Friday, April 22

পারফরম্যান্সের গোপন রহস্য জানালেন ৮২ বছরের পর্নস্টার

 

৮২ বছর বয়সেও তিনি পর্নস্টার। বিছানায় অভিনয় করেন তার নাতনির বয়সি মেয়েদের সঙ্গে। তবে এখনো তিনি নিজেকে যুবকই মনে করেন। যৌনমিলনের ক্ষেত্রে এখনও নিজের থেকে অনেক কম বয়সিদের হারিয়ে দিতে পারেন শিগেও টোকুডা। টোকিওর এই ব্যক্তিই হলেন বিশ্বের প্রবীণতম পর্নস্টার।

আর পাঁচজন সাধারণ মানুষ ৭০ বছর বয়সকে জীবনের শেষের দিক বলেই ভাবতে শুরু করে দেন। কিন্তু ৭০ বছরে দর্শকদের সামনে নিজেকে অন্যভাবে মেলে ধরেছিলেন শিগেও। ‘এল্ডারলি’ নামের অ্যাডাল্ট ছবির সিরিজে পর্নস্টার হিসেবে অভিনয় শুরু করেন তিনি। যে পারফরম্যান্স এখনও রমরমিয়ে চলছে। স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের মনে প্রশ্ন জাগে, এই বয়সে কীভাবে এমনটা পারেন তিনি! পারফরম্যান্সের গোপন রহস্য নিজেই ফাঁস করলেন শিগেও। জানালেন, যৌনমিলনের জন্য শরীরে উপযুক্ত প্রোটিনের প্রয়োজন। তাই শক্তি বাড়াতে নিয়মিত ডিম খান তিনি। জনপ্রিয় পর্ন তারকা বলেন, “অনেকেই জিজ্ঞেস করেন নিজেকে ফিট রাখতে আমি কী কী করি? কিন্তু সত্যিই আমি স্পেশাল কিছু করি না। সঠিক জীবনযাপন করার চেষ্টা করি। আর দৈহিক শক্তি বাড়াতে নিয়ম করে ডিম খাই। ”

পর্ন ছবির জগতে পা রাখার আগে গ্যাম্বলিং মেশিন বানানোর কাজ করতেন শিগেও। যুক্ত ছিলেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গেও। তবে বর্তমানে পুরোদস্তুর পর্ন ছবিতেই কাজ করেন তিনি। এখানেই নাকি তিনি সবচেয়ে তৃপ্তি খুঁজে পেয়েছেন। বছরে প্রায় ৬০টি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। শিগেও জানান, শুটিংয়ের আগে সহ-অভিনেত্রীর শরীরের কয়েকটি অংশের প্রশংসা করেন তিনি। এভাবেই ভাল কেমিস্ট্রি তৈরি হয় বলে তার বিশ্বাস। দর্শকদের জন্যও পর্নতারকার পরামর্শ, যৌন জীবন দীর্ঘ করতে নিয়ম করে ডিম খান। এর বিকল্প আর কিছু হতেই পারে না।