Monday, April 24

নামাজ ফরজ হয়েছিল পবিত্র মেরাজের রাতে

 

আরবি শব্দ মেরাজের অর্থ সিঁড়ি, ঊর্ধ্বারোহণ। ব্যাপক অর্থে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে উপনীত হয়ে সেখান থেকে সপ্তাকাশ এবং আরশে আজিম পৌঁছে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলাকেই মেরাজ বলে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ৫২ বছর বয়সে অর্থাৎ নবুওতের ১২তম সনে রজব মাসের ২৬ তারিখ দিনগত রাতে রোজ সোমবার মেরাজের আশ্চর্যতম ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

শবে মেরাজ আখেরি পয়গম্বর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি মোজেজা। আল্লাহর ইচ্ছায় যে সবই সম্ভব সেটিরই মূর্তমান প্রকাশ হলো এই রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেরাজ অর্থাৎ কাবা শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সপ্তম আসমান পর্যন্ত ঘুরে আসার ঘটনা। মেরাজের রাতে নিমেষেই এটি সংঘটিত হয়। শবে মেরাজের ঘটনা সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইলের ১ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেন— ‘মহামহিম পরম পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতেরবেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যাতে আমি তাকে দেখিয়ে দেই, এর চারপাশের নিদর্শনগুলো, যা বরকতময়। ’

হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজ শেষে হজরত উম্মে হানী (রা.)-এর গৃহে নিদ্রায় ছিলেন। এ সময় হজরত জিব্রাইল (আ.) আল্লাহতায়ালার হুকুমে জান্নাত থেকে বোরাক নামের একটি সাওয়ারি আর অসংখ্য ফেরেশতার দল নিয়ে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে হাজির হয়ে সালাম দিয়ে বললেন, হুজুর! আপনার প্রতিপালক আপনাকে স্মরণ করেছেন, এই মুহূর্তেই আপনাকে তথায় গমন করতে হবে। বোরাকে করে আল্লাহর সান্নিধ্যে যাওয়ার সময় রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফের খেজুরবাগান এলাকায় এবং হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মস্থান মাদায়েনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভ্রমণপথে অসংখ্য আশ্চর্য ঘটনা ও কর্মকাণ্ড দেখে আল্লাহর নেয়ামতের শোকরিয়া ও প্রশংসা করেন। ঊর্ধ্বাকাশে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদম, ঈসা, ইয়াহইয়া, ইউসুফ, ইদ্রিস, হারুন ও মূসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। অতঃপর তিনি আল্লাহর কাছে হাজির হন। কোরআনের ভাষায় বলা হয়েছে— অতঃপর তিনি নিকটবর্তী হলেন, তাদের মধ্যে ধনুকের দুই মাথার ব্যবধান রইল অথবা আরও নিকটে। তখন আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি প্রত্যাদেশ করলেন যা করার ছিল। এই রাতেই আল্লাহ উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেন।

ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের শঙ্কা ঢাকাসহ ৬ বিভাগে

 

নিউজ ডেস্ক: বজ্রঝড়ের ঘনঘটা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবারের (২৪ এপ্রিল) মধ্যেই এই ভারী বৃষ্টি হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
অতি ভারী বর্ষণের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
সর্বশেষ আবহাওয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা


ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদী-বন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি. মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি. মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশে অবস্থান করছে, যার বধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু ’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সাথে বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


টাইগারদের জন্য বিসিবির নতুন সুবিধা ঘোষনা

 

টাইগাররা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেই যাচ্ছে। তাই টাইগারদের জন্যও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)দিচ্ছে একের অর এক সুবিধাদি। যদিও ক্রিকেট একাডেমিটি যথেষ্ট আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পূর্ণ। একাডেমীতে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থার সাথে আছে ইনডোর ও আউটডোর প্র‍্যাক্টিস সুবিধা।
ফিটনেস সেন্টার বা জিমনেসিয়ামটিও বেশ আধুনিক। এই ক্রিকেট একাডেমীতে শুধু অভাব রয়েছে একটি সুইমিংপুলের। এই সুইমিংপুলের অভাবও খুব দ্রুতই পূরণ করতে চলেছে বিসিবি।
ক্রিকেট একাডেমীকে একটি পূর্ণাঙ্গ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে একটি সুইমিংপুল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এর ফলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে উপকৃত হবে হাই পারফরমেন্স ইউনিটের খেলোয়াড়রাও। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান,
“সর্বোচ্চ প্র‍্যাক্টিস সুবিধা সহ সব সুবিধাদি নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিকল্পনার মধ্যে সুইমিংপুলও আছে। রিহ্যাব প্রোগ্রামে যেই কোচেরা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিছু বেসিক রিকোয়ারম্যান্ট আছে সেগুলো ফুলফিল করেই করা হবে। একটি সাধারণ সুইমিংপুল যে মেজরম্যান্টে হয় সেরকম করেই করা হবে। ”

টাকার বিপরীতে হু হু করে বাড়ছে ডলারের দাম

 

টাকার বিপরীতে হু হু করে বাড়ছে ডলারের দাম। পণ্য আমদানির জন্য গতকাল গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ডলার কিনতে ব্যয় হয়েছে সর্বোচ্চ ৮৩ টাকা ৩০ পয়সা। যদিও আন্তঃব্যাংক ব্যাংকে এ দর ছিল ৭৯ টাকা ৯০ পয়সা। গ্রাহক পর্যায়ে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ কমতে কমতে তলানিতে নামছে। কমে যাচ্ছে রফতানি আয়। কিন্তু আমদানি ব্যয় কমছে না। একই সাথে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ করা হয়েছিল তার মেয়াদ শেষে পরিশোধ শুরু হয়েছে। সব মিলে বাজারে ডলারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বাজারে ডলার ছাড়তে হবে, অন্যথায় আমদানি ব্যয় বেড়ে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা মনে করছেন।
জানা গেছে, মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়। আমদানি দায় পরিশোধ করতে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ডলার কেনেন গ্রাহকেরা। সাধারণত আন্তঃব্যাংকের সাথে গ্রাহক পর্যায়ে ডলারের দামের পার্থক্য এক টাকার ওপরে হওয়ার কথা নয়। কিন্তু গতকাল গ্রাহক পর্যায়ের সাথে আন্তঃব্যাংকের ডলারের দামের পার্থক্য চার টাকার কাছাকাছি চলে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গতকাল দু’টি বিদেশী ব্যাংক গ্রাহক পর্যায়ে অর্থাৎ আমদানিকারকদের কাছে ডলার বিক্রি করেছে সর্বোচ্চ ৮৩ টাকা ৩০ পয়সা দরে। আর স্থানীয় ব্যাংকগুলো আমদানি পর্যায়ে ডলার বিক্রি করেছে সর্বোচ্চ ৮২ টাকা ৯০ পয়সা দরে। অথচ এক বছর আগে তা ছিল ৭৯ টাকা।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেদারচ্ছে আসছে বিদেশী ঋণ। আগে শুধু রফতানিকারকরাই এ ঋণের সুবিধা পেতেন। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নীতিমালা আরো শিথিল করে। এখন রফতানিকারকদের বাইরেও সার আমদানি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অফশোর ব্যাংকিংয়ের সুবিধা নিচ্ছে। আমদানিকারকরা যখন বৈদেশিক ঋণ নিয়ে পণ্য আমদানি করছে, তখন ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের মাধ্যমে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করত তা বাজারে উদ্বৃত্ত ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো ইচ্ছামাফিক নিজেদের কাছে বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখতে পারে না। এ জন্য নির্ধারিত সীমা বেঁধে দেয়া হয় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। নীতিমালা অনুযায়ী একটি ব্যাংক দিন শেষে তার মোট মূলধনের ১৫ শতাংশ সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করতে পারে। দিনশেষে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ডলার থাকলে বাজারে বিক্রি করছে হবে। বাজারে বিক্রি করতে না পারলে ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে জরিমানা গুনতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের মান ধরে রাখার জন্য গত কয়েক বছরে বাজার থেকে উদ্বৃত্ত ডলার কিনে রিজার্ভের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু এখন রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। আগে যেখানে প্রতি মাসে দেড় শ’ কোটি ডলার আসত এখন তা ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে। অন্য দিকে রফতানি আয়ও কমে গেছে। এ দিকে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ নেয়া হয় সর্বোচ্চ ছয় মাস মেয়াদে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৯০০ কোটি ডলারের ঋণ রয়েছে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এ ঋণও ধারাবাহিকভাবে মেয়াদ শেষে পরিশোধ শুরু হয়েছে। সব মিলে এক দিকে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু এর বিপরীতে সরবরাহ না বেড়ে বরং কমে গেছে। ফলে বেশির ভাগ ব্যাংকেরই ডলারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

এবার মালদ্বীপে খুন হলো মুক্তমনা ব্লগার রশিদ

 

সাজ্জাদুল হক : শুধু বাংলাদেশেই নয়। এবার মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ইয়ামিন রশিদ (২৯) নামের এক মুক্তমনা ব্লগারকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর বুকে ও ঘাড়ে মিলিয়ে মোট ১৬টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। রশিদ গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রোববার মালেতে গুরুতর আহত অবস্থায় তার অ্যাপার্টমেন্টের সিঁড়িতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গত পাঁচ বছরে এই নিয়ে তিন জন ব্লগার এমন হামলার স্বীকার হলেন। তারমধ্যে ২০১২ সালে ইসমাইল রশিদ নামে এক ব্যক্তির উপর হামলা চালানো হয়। ২০১৪-র আগস্টে মিনিভান নিউজের আহমেদ রিলওয়ান নামে এক সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়। তারপর থেকে আজও তাঁর খোঁজ মেলেনি।
রশিদের ব্লগের নাম ‘দ্য ডেইলি প্যানিক’। ব্লগে তাঁর পরিচয়, অবাধ্য লেখক। তিনি লিখেছেন, ‘‘খবর তো দেবই। আশা রাখি, তার সঙ্গে মলদ্বীপের কেঠো রাজনীতি নিয়ে বিদ্রুপাত্মক কিছু লেখার।’’
তিনি মুসলিমদের প্রতি আক্রমণাত্মক লেখা লিখতেন। তাছাড়া, সরকারের সমালোচনা তো থাকতই। ২০১৪-র অগস্ট থেকে নিখোঁজ হয় রশিদের আর এক বন্ধু সমালোচক ও ব্লগার আহমেদ রিলওয়ান। মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির দাবি, রিলওয়ানকে খুঁজে বার করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন রশিদ।
দেশের তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় পুলিশি তদন্তের খুঁটিনাটি জানার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন তিনি। রিলওয়ানের পরিবার ও রশিদ একসাথে মলদ্বীপের পুলিশের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। সরকার-বিরোধী প্রতিবাদে সামিল হওয়ায় ২০১৫-য় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রশিদ কয়েক বার প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছিলেন। গত ডিসেম্বরে পুলিশের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
রশিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী নেতা মহম্মদ নশিদ টুইটে লিখেছেন, এক সাহসী কণ্ঠকে নির্মম ভাবে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই প্রেসিডেন্ট স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডার দূতাবাস থেকেও এই হত্যার নিন্দা করা হয়েছে।
মুসলিম অধ্যুষিত মলদ্বীপে ধর্মের নামে গোঁড়ামি ও কট্টর ভাবধারার মূলে কুঠারাঘাত করাই ছিল রশিদের মতো ব্লগারদের উদ্দেশ্য। তাঁদের এমন পরিণতিতে চিন্তিত দেশের শিক্ষিত সাধারণ মানুষ।

লিওনেল মেসির গোলের নতুন মাইলফলক

 

এল ক্লাসিকোতে গোল পাচ্ছিলেন না সেই ২০১৪ সাল থেকে।  সেই মেসিই দলের মুমূর্ষ মুহূর্তে জোড়া গোল করে দলকে জেতালেন মর্যাদার এল ক্লাসিকো। তাও আবার রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে! জোড়া গোল করে দলকে জেতানোর পাশাপাশি ৫০০ গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠিয়ে দিয়েছেন বার্সাকে। সে কারণে তার উল্লাস এবং উদযাপন একটু বেশিই ছিল। এটি যেমন তাকে স্বস্তি দিয়েছে। তেমনি বার্সেলোনাকে টিকিয়ে রেখেছে শিরোপার দৌঁড়ে।  ৩৩ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লুইস এনরিখের বার্সা। এক ম্যাচ কম খেলে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রিয়াল মাদ্রিদ। আর তৃতীয় অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬৮, ৩৩ ম্যাচ শেষে। বার্না ব্যুতে সত্যিকারের এল ক্লাসিকো উপহার দিয়েছে দু’দলের খেলোয়াড়েরা। কী ছিল না এই ম্যাচে! আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণ, গোল-পাল্টা গোল, খেলোয়াড়দের মেজাজ হারানো, নাটকীয়তা, সবকিছু যেন পসরা সাজিয়ে বসেছিল।
২৮ মিনিটে কাসেমিরোর গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ৩৩ মিনিটে লিওনেল মেসির গোলে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭৩ মিনিটে ইভান রাকিতিচের গোলে বার্সেলোনা আবার এগিয়ে যখন ম্যাচটা প্রায় নিজেদের করে এনেছে, ঠিক তখনই ৮৫ মিনিটে হামেজ রদ্রিগেজের জাদুতে রিয়ালের সমতা। অবশ্য দুই মিনিট পরই মেসিকে বাজে ট্যাকল করে সার্জিও রামোস লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় রিয়াল।
তবে সবচেয়ে বড় চমকটা ফুটলপ্রেমীদের জন্য শেষ মুহূর্তের জন্যই তুলে রেখেছিলেন লিওলেন মেসি।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে সার্জি রবার্তো নিজেদের সীমানা থেকে বল নিয়ে প্রায় একক প্রচেষ্টায় রিয়ালের সীমানায় এসে বল বাড়ান আন্দ্রে গোমেজের কাছে। গোমেজ বলটি ডান দিকে ঠেলে দেন জর্ডি আলবার কাছে। আলবা চমৎকার এক পাসে বক্সের মধ্যে ঠিকই খুঁজে নেন দলের সেরা তারকা মেসিকে।
আর্জেন্টাইন তারকা বল ধরেই রিয়াল গোলকিপার নাভাসকে ফাঁকি দিয়ে জালে পাঠান। স্বাগতিক শিবিরে তখন রাজ্যের হতাশা। আর বার্না ব্যুর কোনো এক কোণায় বসা বার্সাদের গুটি কয়েক সমর্থকরাই তখন মাঠের সংখ্যাগরিষ্ট দর্শক।
জয়সূচক গোলের পর কেমন যেন আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলেন মেসি। স্বভাববিরুদ্ধ এক আচরণ করে বসলেন। জার্সি খুলে সেটি মেলে ধরলেন গ্যালারির দিকে। মেসির আবেগ তো আর ফুটবলের আইন বোঝে না। হলুদ কার্ডই দেখতে হল তাকে। তাতে কি, ২০১৪ সালের পর এই প্রথম বার্না ব্যুতে গোল পেলেন মেসি।

হামলা-আতঙ্কের মধ্যে ফ্রান্সে ভোট

 

ফ্রান্সে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা ও আতঙ্কের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট দিলেন প্রায় চার কোটি ৬৮ লাখ ভোটার। গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট চলে। এর ঘণ্টাখানেক পর থেকেই আংশিক ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। এবার প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৬৯.৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। গতকাল রাতেই টেলিগ্রাফের এক খবরে কিছু বুথফেরত জরিপে মধ্যডানপন্থি ইমানুয়েল মাক্রোন কট্টর ডানপন্থি ম্যারিন লি পেনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে, যদিও তথ্য-উৎস স্পষ্ট নয়। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, সর্বশেষ জরিপে সবেচেয়ে জনপ্রিয় চার প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হাড্ডাহাডি হবে। কোনো প্রার্থীর পক্ষেই একেক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন সম্ভব হবে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই চারজনের যে কোনো দু'জনের দ্বিতীয় দফা ভোটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফা ভোট। খবর :গার্ডিয়ান, বিবিসি, সিএনএন ও এএফপি।

ফ্রান্সের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা ১১ জন। তবে মূল লড়াই হচ্ছে ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টির কট্টর ডানপন্থি নেত্রী ম্যারিন লি পেন, এন মার্সে পার্টির মধ্য ডানপন্থি ইমানুয়েল মাক্রোন, সোশালিস্ট পার্টির চরম বামপন্থি জঁ্য-লুক মিলেঁশোঁ ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যডানপন্থি নেতা ফ্রাঁসোয়া ফিয়োঁর মধ্যে। লি পেন ও জঁ্য-লুক মেলেঁশোঁ অবশ্য জনপ্রিয়তার বিচারে এগিয়ে রয়েছেন বলে জরিপে দেখা গেছে।

মাত্র দু'দিন আগে রাজধানী প্যারিসের প্রাণকেন্দ্র এক পুলিশ কর্মকর্তা জঙ্গি হামলায় প্রাণ দিলেন। তার ওপর শনিবার প্যারিসের গেয়ার দ্যু-নরদ স্টেশনে ছুরি হাতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফলে জঙ্গি হামলার আতঙ্ক আর আশঙ্কা এখন তাড়া করছে দেশটিকে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল নির্বাচনের দিন নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রায় ৬৭ হাজার ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োগ করা হয় ৫০ হাজার পুলিশ এবং ৭ হাজার সেনা সদস্য। এরই মধ্যে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় পূর্বাঞ্চলের বেসাঁকোঁ শহরের একটি কেন্দ্রের কাছে একটি গাড়ি পড়ে থাকতে দেখে ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। তা ছাড়া জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারী সন্দেহে দুই নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নির্বাচনের প্রধান ইস্যু কর্মসংস্থান ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। তবে ভোটের দু'দিন আগের সন্ত্রাসী হামলা নতুন করে নিরাপত্তার বিষয়টিকে বড় ইস্যু করে তুলেছে। অন্যদিকে প্রধান চার প্রার্থীর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফিয়োঁ দুর্নীতির অভিযোগে জরিপে একটু পিছিয়ে রয়েছেন। প্রথম দফার ভোটে প্রার্থীদের মধ্যে কেউ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে আগামী ৭ মে দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলে বেসাঁকোঁ শহরের একটি ভোটকেন্দ্রের কাছে সন্দেহভাজন একটি গাড়ি পড়ে থাকতে দেখে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাড়িটির ইঞ্জিন ড্রাইভিং মুডে ছিল। তাতে কোনো চালক ছিল না। এই গাড়িটি চুরি হয়েছিল এবং এর নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে ভুয়া নম্বর লাগানো হয়। এবারের নির্বাচনে ফ্রান্সের বর্তমান সমাজতন্ত্রী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদঁ খুবই অজনপ্রিয় হয়ে পড়ার কারণে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে প্রার্থী হননি। আধুনিক ফ্রান্সের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল।


মাত্র ১টি ওষুধে ওজন কমবে ১০ কেজি!

 

স্বাস্থ্য বিষয়ে সবাই এখন সচেতন। ওজন বৃদ্ধি মোটেও ভালো লক্ষণ নয় তাও জানি। ওজন বাড়তে থাকলে শরীর ভেতর থেকে ভাঙতে শুরু করে। আর চর্বি ডেকে আনে নানা রোগ। তাই নিজের ওজনের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ওজন কমাতে একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন। এ ওষুধটি আপনার ওজন ১০ কেজি পর্যন্ত কমাতে পারবে! শুধু তাই নয়, এটা শরীরে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকর টক্সিনকে বের করে দিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এই আয়ুর্বেদিক ওষুধে লেবুর প্রয়োজন পড়ে, যা ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। এ উপাদানটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।
অন্যদিকে ওষুধটিতে উপস্থিত মরিচ শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপ কমে। সেই সঙ্গে লিভার এবং কিডনির কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

নিম্নে ওষুধ তৈরির প্রস্তুত প্রণালী দেয়া হল;

উপকরণ: লেবু ১টা, মধু ১ চা চামুচ, গোলমরিচ গুঁড়া এক চিমটি, মরিচ গুঁড়া এক চিমটি ও পানি ১ কাপ।

প্রস্তুত প্রণালী: একটা লেবুকে দুই টুকরো করে রসটা বের করে নিন। এবার লেবুর রসে নির্দেশনা অনুযায়ী উপরের উপকরণগুলো একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এ মিশ্রণে এক কাপ গরম পানি মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে ওষুধটি। এরপর ওষুধটি সাধারণ তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ রেখে খেতে পারেন।

তবে ওষুধটি নিয়ম মেনে খেতে হবে। সকালে এ ওষুধটি খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন শরীরচর্চার পাশপাশি নিয়ম মেনে এই ওষুধটি খেলে তবেই চাহিদা অনুযার্য়ী আপনার ওজন কমবে।


চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের শক্তিশালী দল

 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দারুণ দল গড়েছে নিউজিল্যান্ড। দলে ফিরেছেন পেসার মিচেল ম্যাকক্লেঘান, অ্যাডাম মিলনে ও অলরাউন্ডার কোরে অ্যান্ডারসন। এ বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে একাই বেশ কয়েকটি ম্যাচে জিতিয়েছেন ম্যাকক্লেঘান। ভালো ফর্মে রয়েছেন অ্যাডাম মিলনেও। আর ব্যাট ও বল উভয় ক্ষেত্রেই আইপিএলে নিজেকে প্রমাণ করে চলছেন কোরে অ্যান্ডারসন।
আজ সোমবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। দল ঘোষণার সময় কিউইদের কোচ মাইক হেসন বলেন, ‘ভালো, ভারসাম্যপূর্ণ ও অভিজ্ঞ দল হয়েছে। ব্যাট ও বল হাতে অভিজ্ঞরা দলে সুযোগ পেয়েছে। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান রয়েছেন, সেই সঙ্গে বল হাতে বৈচিত্র্য রয়েছে এমন বোলারদেরই নেওয়া হয়েছে।’
দলে চার অলরাউন্ডার থাকাটাকেও ইতিবাচকভাবে দেখছেন হেসন। তিনি বলেন, স্কোয়াডে ভারসাম্য আনতেই চার অলরাউন্ডার নেওয়া হয়েছে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অলরাউন্ডার থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি তো আছেনই, তবে মিচেল ম্যাকক্লেঘান ও অ্যাডাম মিলনের উপস্থিতি দলের শক্তি বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন হেসন। তিনি বলেন, ‘এ দুজন দারুণ ফর্মে রয়েছেন। এ মুহূর্তে টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং লাইনআপ রয়েছে আমাদের।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আগামী ২ মে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড। এরপর ৬ জুন ইংল্যান্ড ও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৯ জুন বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে কিউইরা।
নিউজিল্যান্ড দল : কেন উইলিয়ামস (অধিনায়ক), কোরে অ্যান্ডারসন, ট্রেন্ট বোল্ট, নেইল ব্রুম, কলিন ডি গ্রান্ডহোম, টম ল্যাথাম, মিচেল ম্যাকক্লেঘান, অ্যাডাম মিলনে, জিমি নিশাম, জিতেন প্যাটেল, লুক রঞ্চি, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি ও রস টেলর।


গ্রামীণফোনের গ্রাহক ও আয় বেড়েছে

 

চলতি বছরের ১ম প্রান্তিকে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে গ্রামীণফোন, যা গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের আয়ের তুলনায় ১১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। আর ভয়েস কল থেকে অর্জিত রাজস্বও গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। ডাটা থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৯ শতাংশ। সেইসঙ্গে গ্রাহক ও ইন্টারনেটের ব্যবহারও বেড়েছে।

প্রথম প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনে গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫ কোটি ৯৯ লাখে, যা গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। এই প্রান্তিকে ৭ লাখ নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যোগ হওয়ায় মোট ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২ কোটি ৫২ লাখ। এর ফলে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৪২ দশমিক ২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

গ্রামীণফোনের সিইও পেটার ফারবার্গ বলেন, ‘আমরা বছরের শুরুতেই একটি ভালো প্রান্তিক পার করেছি। আমাদের ডাটা ও ভয়েস রাজস্বের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে, যা থেকে বোঝা যায় যে সেরা মানের নেটওয়ার্ক এবং সহজ সেবার বিষয়ে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি আছে তা গ্রাহকদের জন্য অধিকতর মূল্য সংযোজন করছে।’

দেশের বৃহত্তম করদাতা গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকে সরকারি কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসাবে ১ হাজার ১৮০ কোটি টাকা দিয়েছে, যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ।