Wednesday, November 21

ঢাকা মহানগর মুক্তির ডাক বাংলাদেশ এর সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করায় রোকন উদ দৌলা কে অভিনন্দন



ঢাকা মহানগর মুক্তির ডাক বাংলাদেশ এর সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করায় রোকন উদ দৌলা ভাই অভিনন্দন












Tuesday, October 10

প্রিয় মুক্তাঞ্চলবাসির প্রতি ""খোলা চিঠি" | ইতিহাস বাচাও,মুক্তাঞ্চল বাচাও,নদী ভাঙন ঠেকাও, এই স্লোগানে আগুয়ান হও - Mnf Bitdut Sarkar

 


"সময় গেলে সাধন মিলবে না"
প্রিয় মুক্তাঞ্চলবাসির প্রতি ""খোলা চিঠি"
ইতিহাস বাচাও,মুক্তাঞ্চল বাচাও,নদী ভাঙন ঠেকাও, এই স্লোগানে আগুয়ান হও,
#চলো_চলো #ঢাকা_চলো ঠিকানা এবার মানবতার #মা

সত্যি বলতে দেশ স্বাধীনতা লাভের পর যতো সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে সব আমলেই আমরা অধিকার বঞ্চিত হয়ে আসছি অঞ্চলের সুবিধা বাদি কিছু নেতার কারনে। আমাদের টাকায় আমাদের উন্নয়ন হয়নি,হয়েছে অন্য অঞ্চল বা ব্যক্তি বিশেষদের।রাজিবপুর,রৌমারী দেশের গরিব অঞ্চল।(দেওয়ানগঞ্জ বাজেট এর অন্তর্ভুক্ত) সব চেয়ে বড় সমস্যা নদী ভাঙন।আর এই সমস্যা এখন ব্যাবসায় পরিণত হয়েছে,নদী ভাঙন রোধ করার জন্য অতীতে যেঁ ছোট ছোট বাজেট সরকার দিয়েছিল ,সেই টাকার ভাগ নিয়ে নেতা কর্মীদের মারামারি অনেক হয়েছে।অনেক সার্কাস নাটক হয়েছে,নেতা কর্মীদের গরিবদের প্রতি মিথ্যা প্রেম দেখে,আমাদের চোখ এখন অশ্রু সিক্ত তাই কান্না বন্ধ করতে চাই,আসুন অশ্রু মুছে ফেলি।৭২৯ কোটি টাকার যেঁ বাজেট নদী ভাঙন রোধের জন্য হয়েছে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি,দ্রুত না করতে পারলে আমাদের দেশে ফাইলচাপার যেঁ অভিজ্ঞতা আমরা জানি, তাতে মনে হয় বাজেট বাস্তবায়নের আগে মুক্তাঞ্চল বিলিন হয়ে যাবে।তাই আর ভুল পথে নয়,কনো ভুল মানুষের কাছে নয়।আমি মনে করি সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।আমাদের তার শরণাপন্ন হতেই হবে স্বারকলীপির মাধ্যমে।। আমরা ঢাকাস্থ যারা আছি আসুন প্রেস ক্লাব এ একটি কর্মসূচির আয়োজন করে মানবতার মা কে বিষয় টি জানাই।তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের নদী ভাঙন রোধের কাজ দ্রুত শুরু করা সম্ভব বলে মনে করছি। আপনি????নিজের জন্য নিজেরা লড়ি,আসুন নিজের বুকের রক্ত ক্ষরণ নিজেরাই বন্ধ করি।সেই সাথে বর্তমান সরকার কে বাজেট ঘোষনার জন্য নিপিরিত নিষ্পেষিত ছিন্নমূল মানুষের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।আমাদের এই অস্তিত্ব রক্ষার দাবির সাথে স্থানীয় সকল নেতা কর্মী ও সকলের সাহায্য অনুপ্রেরণা কামনা করছি।।।প্রথমে এলাকায় টানা ১০ দিনের টানা বিভিন্ন কর্মসুচির পর ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করবো,মনে রাখবেন এই দাবি অস্তিত্ব রক্ষার দাবি।।মুক্তি হোক বিবেকের মুক্তি হোক মানবতার। আল্লাহ্‌ হাফেজ,,,,,
Mnf Bitdut Sarkar
#মুক্তিরডাক #বাংলাদেশ




Monday, May 22

চিকিৎসা সেবা নাকি বাণিজ্য।


মানুষের প্রত্যাহিক জীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যে চিকিৎসা গ্রহন অতীব প্রয়োজন।বিজ্ঞানের উন্নতিসাধনের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তিত হচ্ছে চিকিৎসা পদ্ধতি তা হয়ে গেছে আরো সহজলভ্য,মানুষের খুব নিকটে পৌঁছেছে এর প্রভাব, আর তাই বহুদিনের কুসংস্কার ভুলে গিয়ে মানুষজন যে কোনো জটিল শারীরিক/মানসিক সমস্যার সমাধানে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন। এভাবেই আরোগ্য পেতে পেতে সে চিকিৎসকদের প্রতি মানুষের আস্থাশীলতা খুব রকম বেড়েছে।একজন রোগাক্রান্ত ব্যাক্তিকে বেঁচে থাকার আশা এবং বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা তা চিকিৎসকদের উপর বর্তায় কিন্তু আজ আমাদের দেখতে হয় এক ভিন্নমুখী আশাহীনতা সে চিকিৎসকদের প্রতিই। যাদের প্রতি আমরা আমাদের সর্বোচ্চ'র বিনিময়েও আস্থাভাজন থাকি আর তারাই বা কতটুকু আমাদের প্রতি দায়িত্বশীল বর্তমানকালীন প্রসঙ্গত তা পুরোতেই ভিন্ন।যদি আমরা এমতাবস্থায় চিকিৎসক আর চিকিৎসা সেবা নিয়ে একটু অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে তাকাই তবে এক নিধারুন সত্যের মুখোমুখি হতে হয়।প্রসঙ্গক্রমে,
নচিকেতার গানটা প্রায়ই শোনা হয়-ও ডাক্তার, তুমি কতশত পাস করে এসেছ বিলেত ঘুরে মানুষের যন্ত্রণা ভোগাতে! কি অদ্ভুতুড়ে মনে হয় যখন সুস্থ মস্তিষ্কে গানটা ভাবতে যাই,একজন ডাক্তার যিনি বিলেত হতে অনেক বড় বড় ডিগ্রী নিয়ে আসবেন চিকিৎসায় সেবায় উন্নতিসাধনের জন্যে,রাষ্ট্রের সাধারন জনগনদের জন্য উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে, রাষ্ট্রে বসবাসরত সাধারন নাগরিক কঠিন ব্যাধি থেকে মুক্তি পাবেন নিমিষেই,অথচ একজন শিল্পীমনা লোক যিনি বলছেন নাকি তিনি মানুষের যন্ত্রণা ভোগাতে বিলেতী ডিগ্রী নিয়ে আসেন,ভোলাতে নয়!প্রথমত মনে হতো গানটার মধ্য দিয়ে অসম্মানিত করা হয় মানুষের সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য পেশাটিকে,যারা নাকি মানুষদের সেবা দিয়ে জীবন ফিরিয়ে দিতে পারেন অতিবেশী অসুস্থতা থেকেও।আর এমনি এক পেশাধারীকে নিয়ে এমন গান তৈরী করা সম্পুর্ন অন্যায় আর মিথ্যাচার মনে করতাম।আবার ভাবনা হত শিল্প,সাহিত্য,সংস্কৃতি তাতো রাষ্ট্রের সময়কার অবস্থান নির্নয় করে তবে কি শিল্পীর ধারনাটাই সত্যি নয় নাকি! এই দুয়ে ব্যাপক সংশয় ছিলো,যদিও পর তা স্পষ্টত হয়। আজ আমাদের মস্তিষ্ক যখন সত্যিই অসুস্থ হয়ে পরেছে,এই অসুস্থতার গন্ডি পেরিয়ে যখন কোনোক্রমেই মুক্ত হতে পারছি না,চারদিকে শত বাধা,বিপত্তিকে সাথে বহেই চালিত করতে হয় জীবন তাই আজকের এই সমাজ ব্যাবস্থার প্রতিটা পদে পদে গানটা যে চরম সত্য তাই প্রতিনিয়ত প্রতিফলিত হয়।বস্তুত তাই হয় যে ডাক্তারের নামের পাশে এ টু যেড এর সবথেকে বেশী অক্ষর অপব্যায় হবে সেই ব্যাক্তিই হবে মানুষ হত্যার মহান কারিগর হওয়ার দৌড়ের তালিকায় সবথেকে সুযোগ্য ব্যাক্তি!আর এই অক্ষর অর্জনের মধ্য দিয়েই তারা তাদের ব্যাক্তিত্ব লড়াইয়ে নামে যার শেষ বলতে কিছু নেই,যাচ্ছেতাই রকম বেহায়াপনা করে চিকিৎসার নামে নিজেদের আখেড় গোছানো। যার নামের পাশে যত বেশী অক্ষরযুক্ত বর্তমান চিকিৎসার বাজারে তার মূল্য ততো বেশী আর কদর ও বেশী। তার এই বেশী অক্ষর সংগ্রহ করতেও তাকে বেশী টাকা ব্যায় করতে হয় কেননা শৈশব থেকেই চলমান রাষ্ট্র ব্যাবস্থা ব্যাক্তিকেন্দ্রিক আর স্বার্থপরতা শিখিয়ে রাখে সেহেতু সে তার নিজের ব্যাক্তিস্বার্থ অর্জনে প্রথম জীবনে চিকিৎসাবিদ্যা শেখার মধ্যে বিনিয়োগ করে পরে তা থেকে মূনাফামুখী হয়।এই প্রক্রিয়ার পিছনে ধাবিত হতে গিয়ে প্রথমত তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক খরচ করে তৈরী হতে হয় আর তৈরী হওয়ারপর ভাবনায় থাকে তারি খরচকৃত টাকা মূনাফাসহ অর্জন করার।এই স্বার্থপরতার বিপরীত ক্রিয়া ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে সমাজে বসবাসরত বাকি চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া নাগরিকদের জীবনে।চিকিৎসার নামে সেখানে বেচাকেনা হয়, বিরাটমূল্যের রমরমা বানিজ্য চলে।বানিজ্যে বরাবরের মতোন একপক্ষই লাভবান হয় আর অপরপক্ষ নিত্য শোষিত হয়ে আসে।একজন বাঁচতে গিয়ে চিকিৎসকের সরনাপন্ন হয়ে সব হারিয়ে নিঃশ্ব হয় আর আরেকজন জনগনের টাকা পকেটে নিয়ে আয়েশী ভঙগিমায় জীবন যাপন করে।
তেমনি কিছু চিত্র তুলে ধরা যেখানে উচ্চতর ডিগ্রী সমান সমান রোগীদের ভোগান্তি, যেমনঃকিছুদিন আগে শুনলাম চিকিৎসার নামে এক ন্যাক্কারজনক বেহায়াপনা, প্রসববেদনা বেড়ে যাওয়ায় সন্তানসম্ভবা মাকে নার্সিং হলে নিয়ে আসা হলো,পরিস্থিতি জননীর পক্ষেই ছিলো তার মানে কিছুসময়মাত্র অপেক্ষা,বাচ্চা প্রসব হবে আর তা স্বাভাবিকভাবে। নার্স দেখলেন,ফোনে কথা বললেন দায়িত্বে থাকা সিজারিয়ান ডাক্তারের সাথে,হুকুম এলো খুব দ্রুত ইনজেকশন দেবার যেনো স্বাভাবিক গর্ভপাত না হতে পারে,দশ মিনিটের মধ্যেই সিজারিয়ান ডাক্তার ছুটে এলেন কিন্তু দৃশ্যপট বদলে গেলো-বাচ্চা প্রসব হয়ে গেলো।এই দেখে ডাক্তার রেগে নার্সদের ধমকাতে লাগলেন।কেননা সিজারিয়ান ডাক্তারের উপর নির্ভর করে নার্সিংহোমের মালিকের লাভের পরিমান আর প্রচারমুখী বাজারের ঔষুধ ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান।নার্সিংহোম তৈরীর পর সেখানকার ডাক্তার দের কিনে নেয় ঔষুধ কোম্পানি যদি সিজার করা যেতো তবে সব দিকেই লাভবান হওয়া যেতো কিন্তু তা আর হতে পারলো না। হাঁ,এই হলো আমাদের বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা তবে স্বাস্থ্যসেবা নয় মোটেও পুরোতে স্বাস্থ্যসেবার নামে বানিজ্য। আর বানিজ্য ই বা হবে না কেনো ? বানিজ্যিক মেডিক্যাল কলেজ হতে ডাক্তারি পড়াশুনা সম্পূর্ন করতে তার যে লাখ লাখ টাকা খরচা হলো,কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের ঢালতে হয় বিশাল টাকা,আবার কাউকেতো জমানো সম্পদ বিক্রি করে পড়াশুনা শেষ করতে হয়,তারি ফলশ্রুতিতে তার আগে তো সে টাকা উঠানো চাই পরবর্তীতে লাভাংশ, এভাবেই না হয় একসময় স্বাস্থ্যসেবা হবে কিন্তু পূঁজিবাদের সমাজে একবার যখন পূঁজির সাধ পেয়ে যায় তবে সবাইকে পিছে ফেলে বড় হওয়ার তাগিদে তা সে চিরন্তন ধারায় মেনে নিয়ে চালিত হয় তার মানে যাকে আমরা স্বাস্থ্যসেবা বলবো তা হয়ে যায় বানিজ্যের তাগিদে সেবা। ফল এমনি,সে সেবা দিবো,তবে যে প্রক্রিয়ায় মূনাফা বেশী, আর এই বিশ্বাসের কবলে বলি হচ্ছি আমরা আর আমাদের প্রসববেদনায় ভোগায় সন্তানসম্ভবা জননীরা।রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা পর্যায়ে যখন ডাক্তারদের সরকারীকরন করা হয় তখন তাদের সরকারী হাসপাতালে গেলে কমই পাওয়া যায়,কারন সরকারী হাসপাতালে থাকলে আয়ের অংশ নির্দিষ্ট থেকে যায় কিন্তু প্রয়োজন যখন অনির্দিষ্টতার তবে সরকার

অনির্দিষ্টতার তবে সরকারীতে চাকুরীর পাশাপাশি বেসরকারি বানিজ্যে যোগে আয় কয়েকগুন বেড়ে যায় -বেসরকারিভাবে রোগী প্রতি হাজার কিংবা তারো অধিক করে নেওয়া যায় তাছাড়া ঔষুধ কোম্পানিদের দেওয়া মাসশেষের অংশ আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে প্রাপ্ত পার্সেন্টিজ সবমিলিয়ে আঙগুল ফুলে কলাগাছ দশা। এই ব্যাবস্থাকে চিকিৎসা সেবা বলা চলে না,বলা চলে স্বার্থ সেবা,ঔষুধ কোম্পানির সেবা আর বেসরকারি হাসপাতাল মালিকের সেবা।আরো উল্লেখ্য কিছু ঘটনা আছে যা না বললেই নয়,শরীয়তপুরে চিকিৎসকের ঘোষণামতে শিশু মাতৃগর্ভে মারা যায়, কর্তৃপক্ষ আল্ট্রাসনোগ্রাম করে নিশ্চিৎ হয়ে ঘোষণা দেয় পর যখন সন্তান সম্ভবা মাকে অস্ত্রপ্রচার করানো হয়,মৃত নয় এক জীবিত শিশু জন্ম দেন জননী!তারি কিছুদিন পর আরো একটি ঘটনা,চিকিৎসক নবজাতককে মৃত ঘোষণার ছয় ঘন্টা পর দাফনের সময় বেঁচে উঠে শিশু।এরকম আরো অনেক নেক্কারজনক ঘটনা ঘটছে চিকিৎসার নামে প্রতিনিয়ত, এসবের কিছু প্রযুক্তিবিদ্যার প্রসারতার ফলে প্রায়ই পত্রিকায় দেখতে পাই আবার এমনি অনেক সত্য চাপা পরে থাকে নিজস্ব ক্ষমতা বলে। আমরা আমাদের চিকিৎসা কে ফের সেবার মানসিকতায় পেতে চাই,চিকিৎসার মতো এমন গুরুত্ববহ পেশাটিকে যদি এভাবেই বানিজ্যিকীকরন করা হয় তবে আমাদের সমাজের চিকিৎসায় এক ভয়ানক,হৃদয়বিদারক পরিবর্তন আসবে আর সাধারন মানুষগুলো এর শিকার হয়ে চিরকাল ক্রমেক্রমে অবর্ননীয় দুর্দশায় ভুগতে থাকবে
সুবাস সরকার
শিক্ষক ও কবি গাজীপুর


Sunday, May 21

যৌথ প্রযোজনায় সুন্দরী প্রতিযোগিতা

ডেস্ক: দুই বাংলায় জোয়ার উঠেছে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণের। এ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও চলছে পাল্লা দিয়ে।
এবার সেই সূত্রে বেশ বড়সড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই বাংলার আয়োজক প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রযোজনায় সুন্দরী প্রতিযোগিতা। নাম ‘বর্ষাসুন্দরী ২০১৭’। আর এই আসরে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের তিন তারকা মৌসুমী, ফেরদৌস ও পূর্ণিমা।
এই তিন বিচারকের সঙ্গে আরও থাকছেন ভারতের উঠতি মডেল-অভিনেত্রী রেচেল হোয়াইট।
আয়োজকরা জানান, ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ল্ড ও ঈশান মাল্টিমিডিয়ার আয়োজনে ২২ মে সন্ধা ৭টায় হোটেল লা ভিঞ্চিতে এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মৌসুমী, ফেরদৌস, রেচেল হোয়াইট ও দুই আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
পূর্ণিমা দেশের বাইরে থাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
বরাবরের মতো এবারও সারা দেশ থেকে বেছে নেওয়া হবে প্রতিযোগীদের। এরপর বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে নির্বাচিত হবেন সেরা সুন্দরী। আয়োজনটির চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে কলকাতায়।

বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: মওদুদ


দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশির দিকে ইঙ্গিত করে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
ভোট বর্জন করে সংসদ থেকে ছিটকে পড়ার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচন বয়কট করলে ইসির নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকির কথাও বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে আসছেন তারা।
খালেদার কার্যালয়ে তল্লাশির পুলিশি তল্লাশির নিন্দা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, “গভর্নমেন্ট হ্যাজ বিকাম ডেসপারেট (সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে)। বাংলাদেশে সুষ্ঠু রাজনীতি হোক, এটা তারা চায় না।
“তারা আগামী নির্বাচন আবার একদলীয়ভাবে করার চিন্তাভাবনা করছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তল্লাশি করেছে একটি মাত্র কারণে যাতে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে না আসে, বিএনপি যেন নির্বাচনে না আসে।”
তবে এসব ‘কৌশল’ কাজে দেবে না বলেও সরকারকে হুঁশিয়ার করেন বিএনপি নেতা। 
“আমরা বলতে চাই, আগামীতে আর একদলীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। যতই আপনারা কৌশল গ্রহণ করুন, যতই আপনারা আমাদের কার্যালয়ে পুলিশি হামলা চালান, ততই আমাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে।”
“আপনাদের যদি কিছু জনপ্রিয়তা থাকেও, এই হামলার (গুলশান কার্যালয়) ঘটনায় সেটা কমবে। ভোট আপনারা কম পাবেন কালকের এই ঘটনার জন্য,” বলেন মওদুদ।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে এই আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের দেশ পরিচালনার সমালোচনা করেন সাবেক এই আইনমন্ত্রী।
দেশে আইনের শাসন নেই দাবি করে তিনি বলেন, “আজকে আইনের প্রয়োগ দুই রকমের হয়। আপনি যদি বিরোধী দলে থাকেন একই আইন একভাবে প্রয়োগ করা হয়। আর যদি আপনি সরকারি দলে থাকেন, সেই আইন প্রয়োগ অন্যভাবে হবে, যাতে আপনার কোনো অসুবিধা না হয়।”
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবীর বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেত্রী শিরিন সুলতানা, জাসাস সহসভাপতি বাবুল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

Friday, May 5

কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ কর্মী খুন

কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ কর্মী খুন


কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান, কবির গাজী গ্রুপের সঙ্গে প্রতিপক্ষ গ্রুপের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। যা অসংখ্যবার সহিংসতায় রূপ নেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য পায়রা বন্দরের উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে এদের দ্বন্ধ আরও প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। অভি গাজী খুন হওয়ার ঘটনায় শহরজুড়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ টিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ কবির উদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী অভি গাজীকে (২৭) নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। মাদ্রাসা রোডের কালভার্ট এলাকায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় অভি গাজীর ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। এসময় অভি গাজী ছাড়াও তার সহযোগী কোয়েল (৩০), আহম্মদ উল্লাহ (৩০), দোকানি পপি (২৬) গুরুতর জখম হয়। পপি চলবিদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে পপিকে কলাপাড়া হাসপাতালে এবং অপর তিন জনকে বরিশাল শেবাচিমে প্রেরন করা হয়। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে অভি মারা যায়। নিহতের বাবা কবির গাজী জানান, সুমন গাজীসহ সাত/আট জনের একদল সন্ত্রাসী অভিসহ তার সহযোগীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। অভির শরীরে অন্তত ৩০টি কোপ দেয়া হয়েছে।

Saturday, April 29

চিত্রনায়ক শাকিব খান অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ

 


গণমাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিল্পীদের নিয়ে মন্তব্য করায় ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। এ নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কের সন্তোষজনক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পরিচালক সমিতির কেউ শাকিব খানকে নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকল কুশলীদের সংগঠনের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে সমিতির আদেশ অমান্য করে শাকিব খানকে নিয়ে সিনেমার কাজ চালিয়ে যাওয়ায় 'রংবাজ' সিনেমার পরিচালক শামীম আহমেদ রনির সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শাকিব খান কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, 'এখন যেহেতু বেশি সিনেমা নির্মিত হচ্ছে না, তাই বেকার লোকের সংখ্যাও একটু বেশি। পরিচালক সমিতির তালিকায় দেখবেন অনেক পরিচালক। তারা বিএফডিসিতে আড্ডাও মারছেন, কিন্তু কাজ করছেন কতজন?' 'প্রযোজকের ক্ষেত্রেও দেখবেন একই অবস্থা। শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তা-ই। অনেক শিল্পী তো নিবন্ধিত আছেন, কাজ করছেন কতজন?' যোগ করেন তিনি। এরপর শাকিবের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে পরিচালক সমিতি অবস্থান নেয়। গত মঙ্গলবার শাকিব কেন মন্তব্য করলেন সেটার কৈফিয়ত না দেয়া পর্যন্ত তাকে নিয়ে শুটিং বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ পাঠায় পরিচালক সমিতি। সর্বশেষ আজ শনিবার সমিতির সভায় শাকিব খানকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কেমন বিকশিত হচ্ছে আমাদের শিশুরা

 


ছোটোবেলায় ঠাকুরমার মুখে কিংবা বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষদের মুখে অনেকেই ঈশপের ব্যাঙ আর একদল শিশুর গল্প শুনেছেন নিশ্চয়ই! আমার ও সোভাগ্য হয়েছিলো শুনার,ছোটোবেলায় আমরা এ ছাড়াও অনেক অনেক মজার গল্প শুনেছি-বিনিময়ে গল্প কথকের সমস্ত চাহিদা মিঠিয়ে দেবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থেকেছি।এবার গল্পে আসি -যেখানে শিশুরা মজার জন্যে ঢিল ছুঁড়তো আর ব্যাঙ আঘাত পেতো ঢিলে, এ ছিলো একদলের আনন্দ আর অন্যদলের বেদনার কারন। শিশুদের ঢিল যতো জোড়ে আঘাত করতো নিরীহ ব্যাঙকে,ব্যাঙ গুলো সমানভাবে চেচিয়ে উঠতো ব্যাথায়, ঠিক একি সমানে শিশুগুলো ততো আনন্দে নেচে উঠতো।এটা তাদের অজ্ঞাত মনের খেলা ছিলো। আজ হয়তো এসব গল্প আমাদের শিশুরা শুনতে পারেনা,গল্পগুলো ও বিলীন হওয়ার শেষ পর্যায়ে।তাছাড়া গল্প বলতেই যেনো শিশুদের খারাপ লাগা মনে হয়,তারা এখন মোবাইল ফোন হাতে পাওয়াকে সমস্ত শান্তি অর্জন মনে করে।আর তাই মোবাইল ফোনের ভিডিও গেমস কেড়ে নিয়েছে তাদের গল্পের ভাঁজে সত্য আর মানবিক হওয়ার চেতনা।এবার মূলে আসি-কিছুদিন পূর্বে যথারিতী বিকেলে টিউশনীর উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে দেখলাম আমাদেরি নতুন প্রজন্ম নতুন শিশু-কিশোরদের এক নতুন সম্পূর্ন ভিন্ন এক তাদের মতে খেলা নামক খেলা খেলতে দেখলাম,ঘটনার শুরতেই দেখলাম প্রথমত তারা সেখানকার কয়েকটি ছোটো ছোটো কুকুরের বাচ্চা নিলো,ওগুলোকে শক্ত করে বেঁধে রাখা হলো পাশ্ববর্তী গাছের সাথে,ওদের প্রত্যেকের হাতেই সিরিঞ্জ ছিলো। তারপর প্রত্যেকেই ইনজেকশনের সুইয়ের মাধ্যমে কুকুরছানাগুলোর শরীর থেকে রক্ত বের করছে আর ব্যাথায় কুকুরছানা গুলো গোঙাচ্ছে। তারপর তারা তাদের পরিকল্পনাবসত খেলা শুরু করলো-একে অপরের গায়ে রক্ত ছিঁটিয়ে আনন্দে মেতে উঠলো। কাছে গিয়ে যেইনা জিজ্ঞাসা করা হলো,প্রত্যেকেই সহাস্যে বলে উঠলো আমরা রক্ত রক্ত খেলছি ! রক্ত রক্ত খেলা-মানে বুঝুন,একটু ভাবুন তারা কি খেলছে আর কেনোই বা তারা এমন অমানুষিকতাকে খেলা বলে গ্রহন করলো? তাদের পরিবার! তাদের সমাজ! তাদের অভিভাবক কিংবা তাদের প্রতিবেশী-উনাদের প্রতি একটু নজর দিন,তারা তবে কেমন শিশু-কিশোর তৈরী করছে! আমরাওতো একদিন শিশু কিশোর ছিলাম তারা আজ শিশু কিশোর।প্রজন্ম কি এতো সহজেই পরিবর্তিত হয়ে গেলো! তবে এ আবার কেমন প্রজন্ম তৈরী হচ্ছে যারা নাকি এতটা ভয়ংকর কার্যকে খেলা বলে মনে করছে! প্রসঙ্গত না বললেই নয়,আমাদের গ্রামের বাড়িতে একটা কুকুর ছিলো,স্বাভাবিকতায় প্রত্যেক কুকুরই প্রভুভক্ত আমাদের কুকুরটার ক্ষেত্রেও তাই তবে তার পরিমাণ অনেক বেশীই ছিলো।তখন আমরা ছোটো ছিলাম,কুকুরটাকে যত্ন নিতাম আর কোথাও যদি যেতাম কুকুরটা সাথে যেতো। তারপর কুকুরটি যখন মরে গেলো,বাড়ির সবাইর মনে কেমন একটা বেদনাবোধ তৈরী হলো আর নিজ পরিবারের সদস্যের ন্যায় তাকে মাটিচাপা দেওয়া হলো।এই শিক্ষাস্বরুপ,তারপর গ্রামে গ্রামে ঘুরতাম কুকুরের বাচ্চা আনার জন্যে,এনে যত্নে খাওয়াতাম,নিয়মিত স্নান করিয়ে দিতাম আর শীতের রাতে থাকার জন্য খড়ের ঘর তৈরী করে দিতাম।এই ছিলো আমাদের তখনকার পারিবারিক /সামাজিক শিক্ষা যা আমাদের অবলা পশুর প্রতি ও দায়িত্ব কিংবা ভালোবাসতে শিখিয়েছে। কিন্ত যাদের নিয়ে বলছি তারাও শিশু তবে শিক্ষা/সমাজ /পরিবারের ধরনটা আলাদা। বরাবরের মতো আমি ওদের (নিষ্পাপ শিশুদের)দায় দিচ্ছিনা,ওরাতো শিখে যা আমরা বড়রা করি,যা সমাজ সমর্থন করে যা পরিবারে সংগঠিত হয় নিত্য। তবে আপনি কাকে দায় দিবেন! দায় দিতে হবেনা আর,ভাবুন,কাজে নামুন -শিশুদের মানষিকতার প্রতি নজর দিন,সমাজটাকে সদ্য কথা বলতে পারা শিশুর মতো নিষ্পাপ, ভালোবাসাময় গড়ে তুলুন। ওরাই একদিন পরিচালনা করবে সমাজ,রাষ্ট্র। নির্ধারন করবে আমাদের বলা না বলা,করা না করা তখন ওদের দায় দিয়ে বাঁচতে পারবেন না তাই সময় আজো আছে-ওদের সুষ্ঠ বিকাশে নজর দিন,ভালোবাসতে শেখান,মানবিক হতে শেখান। সুবাস সরকার লেখক ও শিক্ষক গাজীপুর ।

জনগনের কাছে দুই দল


 

দেশের প্রধান দুই বড় রাজনৈতিক দল একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে সাংগঠনিক সফর শুরু করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ বছরের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিকভাবে সমাবেশ করছে। তবে মার্চে দলটি বৃহৎভাবে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে। দলের হাইকমান্ডও বেশ কয়েকটি সমাবেশে দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের প্রতি নিদের্শনা দিয়েছেন। দলীয় সভাপতি হয়ে নৌকার পক্ষে ভোটও চেয়েছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, জনগণ নির্ভর একটি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিততে হলে আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের কাছে যাওয়া ছাড়া কোনও বিকল্প চিন্তা নাই। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্যে আওয়ামী লীগকে জনগণের আস্থা ও ভালবাসা দুটোই অর্জন করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি। আব্দুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ ২০তম জাতীয় কাউন্সিলের পর থেকেই বর্তমান কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিসবাহ্ উদ্দিন সিরাজ অ্যাডভোকেট বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনমুখী। আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নিয়মিতভাবে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে। জানা যায়, দলের সিনিয়র নেতাদেরসহ আটজন সাংগঠনিক সম্পাদককে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলকে আগামী নির্বাচনমুখি করার জন্য। তৃণমূলের পছন্দের প্রতিফলন যেন তাদের রিপোর্টে ওঠে আসে এ দিকে বিশেষ নজর দেওয়ারও নির্দেশনা রয়েছে বলে জানা যায়। অন্যদিকে, জনসমর্থন থাকলেও মাঠের রাজনীতির বাইরে চলে যাওয়া বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে ৫১টি টিমের মাধ্যমে সম্প্রতি সাংগঠনিক সফর শুরু করেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি জানিয়েছেন, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে এ টিমগুলো কাজ করবে। দলের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে এ টিমগুলো সাংগঠনিকভাবে সফর করবে। সারাদেশে বিএনপির ৭৫টি রাজনৈতিক জেলায় এই ৫১টি টিমের নেতারাকর্মী সভায় অংশ নেবে। জেলার দায়িত্ব পাওয়া টিমগুলো হচ্ছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও মানিকগঞ্জ, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগর, মির্জা আব্বাস বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগর, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর, ড. আব্দুুল মঈন খান নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর, নজরুল ইসলাম খান রংপুর ও মহানগর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সিলেট মহানগরে কর্মিসভা করবেন। ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ, অধ্যাপক এম এ মান্নান নারায়ণগঞ্জ ও মহানগর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ নীলফামারী ও লালমনিরহাট, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ঝালকাঠী, সেলিমা রহমান নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ, মোহাম্মদ শাহজাহান মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ, মীর মো. নাসিরউদ্দিন চাঁদপুর ও কক্সবাজার, খন্দকার মাহবুব হোসেন ঢাকা, মেজর (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী কুড়িগ্রাম, ইনাম আহমেদ চৌধুরী শেরপুর, আমিনুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ, আব্দুুল আউয়াল মিন্টু কুমিল্লা উত্তর ও ব্রাক্ষণবাড়ীয়া, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সিরাজগঞ্জ ও পাবনা, শামসুজ্জামান দুদু কুমিল্লা দক্ষিণ ও বান্দরবান, আহমেদ আজম খান জামালপুর ও শরীয়তপুর, জয়নাল আবেদীন গাজীপুর, নিতাই রায় চৌধুরী বরগুনা, শওকত মাহমুদকে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মিসভা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান টাঙ্গাইল, মিজানুর রহমান মিনু পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও, আবুল খায়ের ভূঁঁইয়া মাগুরা, জয়নুল আবদিন ফারুক জয়পুরহাট, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ঝিনাইদহ, মনিরুল হক চৌধুরী মেহেরপুর, ফজলুর রহমান নরসিংদী, হাবিবুর রহমান হাবিব পটুয়াখালী, আতাউর রহমান ঢালী ফেনী, নাজমুল হক নান্নু ফরিদপুর, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী খুলনা ও মহানগর, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন মাদারীপুর, মজিবুর রহমান সারোয়ার ভোলা, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যশোর, খায়রুল কবির খোকন নাটোর, হাবিবউন নবী খান সোহেল বগুড়া ও গাইবান্ধা, হারুন অর রশীদ নওগাঁ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন মুন্সিগঞ্জ, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গা, নজরুল ইসলাম মঞ্জু নড়াইল, আসাদুল হাবিব দুলু দিনাজপুর ও সৈয়দপুর, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন সুনামগঞ্জ, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন পিরোজপুর, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহ জেলা, মশিউর রহমান কুষ্টিয়া জেলায় কর্মিসভা করার দায়িত্ব পেয়েছেন

কঠিন সময় যাচ্ছে শাকিব খানের


 


কঠিন সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছেন দেশিয়
চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান।
কিছুদিন আগে স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে
স্বীকৃতি দেওয়া না দেওয়া নিয়ে তুমুল
সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
অবশেষে ‘মেনে নেয়া’ বা ‘মনে নেয়া’
যাই হোক না কেনো শাকিব-অপু
দ্বন্দ্বের সাময়িক অবসান হয়েছে। ঠিক
এর পরপরই নায়ক ফের বিতর্কের মুখে
পড়েছেন একটি গণমাধ্যমে পরিচালক,
প্রযোজক ও শিল্পীদের অসম্মান করে
কথা বলায়। সাক্ষাৎকারে নায়ক
বলেছেন, ‘এখন যেহেতু বেশি সিনেমা
হচ্ছে না, তাই বেকার লোকের সংখ্যাও
একটু বেশি। পরিচালক সমিতির তালিকা
দেখবেন, অনেক পরিচালক। তারা
এফডিসিতে আড্ডাও মারছেন। কিন্তু
কাজ করছেন কতজন? প্রযোজকের
ক্ষেত্রেও দেখবেন একই অবস্থা।
শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তা-ই। অনেক
শিল্পী তো নিবন্ধিত আছেন, কাজ
করছেন কতজন?’ নায়কের এই বক্তব্যে
ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পরিচালক ও
প্রযোজকেরা। গত সোমবার এক লিগ্যাল
নোটিশে শাকিবকে নিয়ে ছবি নির্মাণ
না করতে পরিচালকদের আহ্বান
জানিয়েছে পরিচালকদের এই সমিতি।
এর মহাসচিব বদিউল আলম খোকন
স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়েছে-
‘সম্প্রতি শাকিব খান জাতীয় দৈনিক
পত্রিকা ও মিডিয়ায় চলচ্চিত্র
পরিচালকদের উদ্দেশ্য করে মানহানিকর
বক্তব্য দেয়ায় সমিতির ভাবমূর্তি ও
সম্মান রক্ষার্থে কার্যনির্বাহী
পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার
বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা
হয়েছে। এ বিষয়ে সম্মানজনক সুরাহা না
হওয়া পর্যন্ত তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র
নির্মাণ সংক্রান্ত সব কর্মকান্ড থেকে
বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার পরিচালক সমিতির উকিল
নোটিশ পাবনায় শাকিব অভিনীত
‘রংবাজ’ ছবির সেটে পৌঁছালে এর শুটিং
বন্ধ হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র
পরিচালক সমিতির যুগ্ম-মহাসচিব শাহীন
সুমন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগেই
পাবনায় ‘রংবাজ’ ছবির সেটে পরিচালক
সমিতি থেকে শাকিবকে নিয়ে শুটিং
বন্ধ রাখার নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শাকিব যতক্ষণ পর্যন্ত তার মনগড়া
মন্তব্যের যুক্তিযুক্ত জবাব না দেবে
ততক্ষণ শুটিং বন্ধ রাখতে হবে।’
এদিকে পরিচালক সমিতির এই পদক্ষেপ
প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘সমিতির
মহাসচিব তার ব্যক্তিস্বার্থে
ক্ষমতাবলে সমিতিকে ব্যবহার করছেন।
আমি যা বলেছি এ ধরনের কথা
হরহামেশা সবাই বলে থাকেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে এখন অনেকেই বেকার। এটা
সময়ের কারণে হয়। কাউকে হেয় করার
জন্য আমি কিছুই বলিনি। খোকন আমার
কাছে বছরখানেক আগে সিডিউল
চেয়েছিল। কিন্তু টাইট সিডিউল ও
ব্যস্ততার কারণে তাকে সিডিউল দিতে
পারিনি। এ কারণে বিষয়টিকে তিনি
ব্যক্তিগত শত্রুতা হিসেবে ধরে
নিয়েছেন এবং সমিতির প্রভাব খাটিয়ে
আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন। আমি
বলব, সমিতির এ ধরনের সিদ্ধান্ত বরং
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ক্ষতি করছে।
এমন সিদ্ধান্ত কখনই ইন্ডাস্ট্রির জন্য শুভ
হতে পারে না। আশা করব, পরিচালক
সমিতির নেতারা শিগগিরই তাদের ভুল
বুঝতে পারবেন। কারণ আমি জেনেছি,
বর্তমানে ব্যস্ত পরিচালকদের অনেকেই
সমিতির এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত
পোষণ করেননি।’ কালজয়ী চিত্রনায়ক
প্রয়াত সালমান শাহর প্রসঙ্গ টেনে
শাকিব খান আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৯
জুলাই প্রয়াত নায়ক সালমান শাহর
বিরুদ্ধে যেভাবে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল,
বর্তমানে আমার সঙ্গেও একই কাজ
হচ্ছে।’