Saturday, April 29

জনগনের কাছে দুই দল


 

দেশের প্রধান দুই বড় রাজনৈতিক দল একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে সাংগঠনিক সফর শুরু করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ বছরের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিকভাবে সমাবেশ করছে। তবে মার্চে দলটি বৃহৎভাবে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে। দলের হাইকমান্ডও বেশ কয়েকটি সমাবেশে দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের প্রতি নিদের্শনা দিয়েছেন। দলীয় সভাপতি হয়ে নৌকার পক্ষে ভোটও চেয়েছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, জনগণ নির্ভর একটি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিততে হলে আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের কাছে যাওয়া ছাড়া কোনও বিকল্প চিন্তা নাই। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্যে আওয়ামী লীগকে জনগণের আস্থা ও ভালবাসা দুটোই অর্জন করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি। আব্দুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ ২০তম জাতীয় কাউন্সিলের পর থেকেই বর্তমান কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিসবাহ্ উদ্দিন সিরাজ অ্যাডভোকেট বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনমুখী। আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নিয়মিতভাবে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে। জানা যায়, দলের সিনিয়র নেতাদেরসহ আটজন সাংগঠনিক সম্পাদককে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলকে আগামী নির্বাচনমুখি করার জন্য। তৃণমূলের পছন্দের প্রতিফলন যেন তাদের রিপোর্টে ওঠে আসে এ দিকে বিশেষ নজর দেওয়ারও নির্দেশনা রয়েছে বলে জানা যায়। অন্যদিকে, জনসমর্থন থাকলেও মাঠের রাজনীতির বাইরে চলে যাওয়া বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে ৫১টি টিমের মাধ্যমে সম্প্রতি সাংগঠনিক সফর শুরু করেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি জানিয়েছেন, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে এ টিমগুলো কাজ করবে। দলের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে এ টিমগুলো সাংগঠনিকভাবে সফর করবে। সারাদেশে বিএনপির ৭৫টি রাজনৈতিক জেলায় এই ৫১টি টিমের নেতারাকর্মী সভায় অংশ নেবে। জেলার দায়িত্ব পাওয়া টিমগুলো হচ্ছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও মানিকগঞ্জ, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগর, মির্জা আব্বাস বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগর, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর, ড. আব্দুুল মঈন খান নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর, নজরুল ইসলাম খান রংপুর ও মহানগর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সিলেট মহানগরে কর্মিসভা করবেন। ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ, অধ্যাপক এম এ মান্নান নারায়ণগঞ্জ ও মহানগর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ নীলফামারী ও লালমনিরহাট, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ঝালকাঠী, সেলিমা রহমান নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ, মোহাম্মদ শাহজাহান মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ, মীর মো. নাসিরউদ্দিন চাঁদপুর ও কক্সবাজার, খন্দকার মাহবুব হোসেন ঢাকা, মেজর (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী কুড়িগ্রাম, ইনাম আহমেদ চৌধুরী শেরপুর, আমিনুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ, আব্দুুল আউয়াল মিন্টু কুমিল্লা উত্তর ও ব্রাক্ষণবাড়ীয়া, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সিরাজগঞ্জ ও পাবনা, শামসুজ্জামান দুদু কুমিল্লা দক্ষিণ ও বান্দরবান, আহমেদ আজম খান জামালপুর ও শরীয়তপুর, জয়নাল আবেদীন গাজীপুর, নিতাই রায় চৌধুরী বরগুনা, শওকত মাহমুদকে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মিসভা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান টাঙ্গাইল, মিজানুর রহমান মিনু পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও, আবুল খায়ের ভূঁঁইয়া মাগুরা, জয়নুল আবদিন ফারুক জয়পুরহাট, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ঝিনাইদহ, মনিরুল হক চৌধুরী মেহেরপুর, ফজলুর রহমান নরসিংদী, হাবিবুর রহমান হাবিব পটুয়াখালী, আতাউর রহমান ঢালী ফেনী, নাজমুল হক নান্নু ফরিদপুর, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী খুলনা ও মহানগর, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন মাদারীপুর, মজিবুর রহমান সারোয়ার ভোলা, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যশোর, খায়রুল কবির খোকন নাটোর, হাবিবউন নবী খান সোহেল বগুড়া ও গাইবান্ধা, হারুন অর রশীদ নওগাঁ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন মুন্সিগঞ্জ, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গা, নজরুল ইসলাম মঞ্জু নড়াইল, আসাদুল হাবিব দুলু দিনাজপুর ও সৈয়দপুর, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন সুনামগঞ্জ, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন পিরোজপুর, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহ জেলা, মশিউর রহমান কুষ্টিয়া জেলায় কর্মিসভা করার দায়িত্ব পেয়েছেন

No comments:

Post a Comment