Wednesday, April 26

ডাকাতদের বিরুদ্ধে কথা বলার কি কেউ নেই? সবাই যার যার ফেসবুক আইডি নিয়েই ব্যাস্ত...


 

ডাকাতদের বিরুদ্ধে কথা বলার কি কেউ নেই? সবাই যার যার ফেসবুক আইডি নিয়েই ব্যাস্ত...

লাইকের প্রয়োজন নেই, সম্ভব হলে শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।

 


২৬ পয়সায় কিনে প্রতি জিবি বিক্রি করে ৩৩৭ টাকা। ৩৩৭ টাকায় ১.৫ জিবি নাকি ফাটাফাটি অফার! অথচ এই ১.৫ জিবির ক্রয়মুল্য সর্বোচ্চ ৩৯ পয়সা। এর নাম ব্যবসা নাকি ডাকাতি?

রুখে দাঁড়াও তরুন সমাজ। ছড়িয়ে দাও প্রতিবাদ।




একটি গুরুত্বপূর্ণ হিসাব দেই, মনোযোগ দিয়ে পড়ুন:

ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন মোট ৬ কোটি ৭২ লক্ষ গ্রাহক। যার মধ্যে ৬ কোটি ৩১ লক্ষ গ্রাহকই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সবমিলিয়ে মাত্র ৪১ লক্ষ গ্রাহক আইএসপি, পিএসটিএন বা ওয়াই ম্যাক্স ব্যবহার করেন। তার মানে বাংলাদেশে ব্যবহৃত ইন্টারনেটের বড় অংশ মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমেই ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশে গড়ে প্রতি সেকেণ্ডে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয় ৪০০ জিবি
প্রতি মিনিটে ৪০০*৬০ জিবি
প্রতি ঘন্টায় ৪০০*৬০*৬০ জিবি
বাংলাদেশে প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয় ৪০০*৬০*৬০*২৪= ৩৪৫৬০০০০ জিবি

প্রতি জিবি গড়ে ২০০ টাকা হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহৃত ইন্টারনেটের দাম ৩৪৫৬০০০০*২০০= ৬৯১.২ কোটি টাকা
সরকারের কাছে প্রতি জিবি ২৬ পয়সা হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহৃত ৩৪৫৬০০০০ জিবি ইন্টারনেটের ক্রয়মুল্য ৩৪৫৬০০০০*.২৬= ৮৯.৮৬ লক্ষ টাকা

তার মানে দাঁড়ালো প্রতিদিন ৮৯.৮৬ লক্ষ টাকায় কেনা ইন্টারনেট জনগণের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে ৬৯১.২ কোটি টাকায়। প্রতিদিন ইন্টারনেট খাত থেকে মুনাফা ৬৯১২০০০০০০-৮৯৮৬০০০= ৬৯০.৩ কোটি টাকা

প্রতি বছর ইন্টারনেট খাত থেকে মুনাফা ৬৯০.৩*৩৬৫= ২৫১৯৬০০২৫৬০০০ বা ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

অপারেটরদের কাছ থেকে প্রতি বছর ইন্টারনেটের দাম হিসেবে সরকার পায় ৮৯.৮৬*৩৬৫= ৩২৮ কোটি টাকা মাত্র (প্রায়)

২০১৬-২০১৭ সালে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ছিল ৩ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা। দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ইন্টারনেট খাতের এই টাকা যোগ হলেও জাতীয় বাজেট দাঁড়াতো ৬ লক্ষ কোটি টাকা, প্রায় দুই গুণ। অথচ এই আড়াই লক্ষ কোটি টাকার পুরোটাই নিয়ে গেছে বিদেশী বেনিয়ারা। যেসব রাজনীতিবিদ এবং আমলারা জনগণের এই পকেট কাটার সুযোগ করে দিয়েছেন তারা সর্বোচ্চ কতো পেয়েছেন? ৫০০ কোটি? ১০০০ কোটি? ২০০০ কোটি টাকা? যা ২ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকার তুলনায় সামান্য টাকা।

এই মহা ডাকাতি কি বন্ধ হবে না? ইন্টারনেটের দাম কমাও, ডাকাতি বন্ধ করো। আওয়াজ তুলুন, ছড়িয়ে দিন।


২৬ পয়সার প্রতি জিবি ইন্টারনেট গড়ে ২১৭ টাকায় বিক্রির প্রতিবাদের পর মোবাইল কোম্পানীর ডাকাতি নিয়ে সরকারের কিছুটা নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে। সবাই শক্ত প্রতিবাদ করলে প্রতি জিবি এক ধাক্কায় ৫০ টাকার নিচে নামানো সম্ভব। এরপর প্রতি জিবি ১০/২০ টাকায়।

আমি প্রস্তুত। আপনি প্রস্তুত তো?

সরকারের কাছে প্রতি জিবি ২৬ পয়সায় কেনা ইন্টারনেট যদি ৫২ পয়সা বিক্রি করা হয়, যে লভ্যাংশ হয় তাকে বলা হয় ১০০% লাভ। প্রতি জিবি ২১৭ টাকা বিক্রি করায় লভ্যাংশ দাড়ায় ৮৩৫০০% মাত্র। জি, মোবাইল ইন্টারনেটে বেনিয়াদের লভ্যাংশ ৮৩৫০০ পারসেন্ট! পৃথিবীতে এতো লভ্যাংশে ব্যবসার আর কোনো নজির আছে কি?

ভেবে দেখেছেন, প্রতি জিবি ইন্টারনেটের দাম ৫২ পয়সা হলেও কোম্পানীগুলো কেনা দামের ডাবল পাবে? জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা কিভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পকেট কাটা হচ্ছে একবার ভেবে দেখুন।

এই জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের কি কিছুই করার নেই? আমরা কি পারি না ঐক্যবদ্ধভাবে এই জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে?

#হোকপ্রতিবাদ



আসছে ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণ হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর রেপ্লিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

আসছে ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণ হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর রেপ্লিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম রেপ্লিকাটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

উৎক্ষেপণের পর ২০১৮ সালের এপ্রিল নাগাদ এ স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার।

ফ্রান্সের থালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে এ স্যাটেলাইট নির্মাণের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণে ‘স্যাটেলাইট সিস্টেম’ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়।

এ স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।

এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে সরকার আশা করছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার (আইটিইউ) ‘রিকগনিশন অফ এক্সিলেন্স’ পুরস্কারও পেয়েছে।

ঘাতক ওয়াইফাই !!

 


ঘাতক ওয়াইফাই !!
.
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী রাউটার মানুষ, এমনকি গাছপালার বিকাশেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
.
ওয়াই-ফাইয়ের ক্ষতিকর প্রভাব:
.
মনোযোগে সমস্যা
কানে ব্যথা
ঘন ঘন তীব্র মাথা ব্যথা
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি
ঘুমে সমস্যা
যদিও নবতর এই প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা সম্ভব নয়, তাই তারবিহীন ডিভাইস ও ওয়াই-ফাই রাউটার ব্যবহারে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত, যার মাধ্যমে এর ক্ষতিকর প্রভার এবং সাইড ইফেক্ট অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
.
ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে করণীয়
.
ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ওয়াই-ফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন।
রান্নাঘর বা বেডরুমে রাউটার রাখা উচিত নয়।
তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ হ্রাসে বাসায় থাকাকালীন তারযুক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করুন।
ব্যবহার না করলে ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখুন। এতে করে তড়িৎচুম্বকিয় তরঙ্গ বন্ধ রাখা যায়, যা শিশুদের বিকাশের জন্য ক্ষতিকর।

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করছে?


 

যারা গণপরিবহণে যাতায়াত করেন তাদের জন্য.....

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করছে?
স্টুডেন্ট ভাড়া নিচ্ছেনা, উল্টো খারাপ ব্যাবহার করছে?
'মহিলা সিট নাই' বলে মহিলাদের বাসে উঠতে দিচ্ছে না?
'সিটিংবাস' নাম ভাঙ্গিয়ে গাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না?
সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট বাসে দেখা যাচ্ছে না?
অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই?
লেগুনার পিছনে মানুষ ক্যাঙ্গারুর মতো ঝুলছে?
পুরনো লক্কড়ঝক্কড় মুড়িরটিন বাস রাস্তায় নামিয়েছে?

02-9568399 এই সরকারী হেল্পলাইন নম্বরটিতে ফোন করে তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানান।

দীর্ঘদিন যাবৎ গণপরিবহন খাতে যে সীমাহীন নৈরাজ্য চলছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন। সরকার একা কিছুই করতে পারবেনা, আপনারা যদি প্রতিবাদী না হোন! মাননীয় সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী Obaidul Quader Sir কে এমন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং এই খাতে নৈরাজ্য নির্মূলে সাহসী কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

এসএসসির ফল প্রকাশ ৪ মে

 

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৪ মে।
আজ মঙ্গলবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আফরাজুর রহমান  বিষয়টি জানিয়েছেন।
আফরাজুর জানান, ৪ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ওই দিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফল তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। পরে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই ফল পাওয়া যাবে।
পরে মুঠোফোনে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, ৪ মে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফল তুলে দেবেন তিনি। দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসএসসির ফলের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানা যাবে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছর মোট ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। 

রাজীবপুরে জীবন দিয়ে যৌতুকের প্রতিবাদ !

 


বিয়ে হয়েছে মাত্র ছয় মাস আগে। এখনও বিয়ের গন্ধ শরীর জুড়ে। বিয়ের পর থেকে প্রতিটি মুর্হুতেই যৌতুক হিসেবে শ্বশুর বাড়ি থেকে একটা মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার চাপ শুরু করে। মোটরসাইকেলের জন্য উঠতে বসতে স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাত শাহীন মিয়া নামের যৌতুকলেভি স্বামী। গত এক মাসে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়া হয় ভয়ঙ্কর রূপে। কিন্তু দেড় লাখ দিয়ে মোটরসাইকেল কিনে দেয়া নিহত নববধুর অভাবি বাবা মা’র কাছে পাহাড় সমান বিপদ হয়ে দেখা দেয়। এ অবস্থায় মোখলেছা খাতুন (১৯) নামের ওই বধু যৌতুকের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে আজ সোমবার দপুরের দিকে স্বামীর ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার মেম্বারপাড়া গ্রামের ঘটনা এটি। গ্রামবাসিদের কাছ থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন শাহীন মিয়া সকালেই মোটরসাইকেলের জন্য স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে বাড়ির বাইরে চলে যায়। যাওয়ার সময় স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে বলে যায়, ‘আজই বাবার বাড়িতে গিয়ে মোটরসাইকেলের দেড় লাখ টাকা নিয়ে আসতে। আর যদি বাড়ি ফিরে দেখি যে বাবার বাড়িতে যাওনি তাহলে নির্যাতন কাকে বলে টের পাবা। কোনো উপায় না পেয়ে মোখলেছা খাতুন স্বামীর ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।’ এমন তথ্য মেম্বারপাড়া গ্রামের অনেকেই জানিয়েছেন। একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবা ময়েজ উদ্দিন ও মা শুকুর জান বেগম মেয়ের জামাই বাড়িতে ছুটে আসে। এসময় ময়েজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ কামলা দিয়া খাই। তারপরও বিয়ের সময় জামাইর হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করার জন্য। বিয়ের এক মাস পর থেকেই জামাই বায়না ধরে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য। কিন্তু গাড়ি কেনার এত টাকা আমি কই পাই। এরপরও বেওয়াইকে কইছি (জামাইর বাবা) জামাই তো মোটরসাইকেল কিনে চাচ্ছে। আমি একা তো অত টাকা যোগার করবার পামু না। আপনিও কিছু দেন বাকী টাকা আমি দেই। কিন্তু তারা সেটা মানেন না। জামাইর মতো বেওয়াইও দাবি করতে থাকে। এ নিয়া মেয়েকে মারপিটও করে।’ মা শুকর জান বেগম বলেন, ‘মাইয়া আমার অনেক কষ্ট সহ্য কইরা ছিল। বলত আমার শ্বশুর শ্বাশুরিও নির্যাতন করার জন্য ছেলেকে উৎসাহ দিত। তারা আমার মাইয়াকে মাইরাফেলাইছে।’ উল্লেখ্য যে, চার মাস আগে পারিবারিক ভাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। নিহত মোখলেছুা খাতুনের বাবা ময়েজ উদ্দিন। রৌমারী উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামে তাদের বাড়ি। যোতুকলোপি স্বামী শাহীন মিয়ার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। রাজীবপুর উপজেলার মেম্বারপাড়া গ্রামে বসবাস করে। রাজীবপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে এসআই হাবিবুর রহমান জানান, লাশের শরীরে কোন আঘাতের কোন দাগ নেই। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বোঝা যাবে আসলে আত্মহত্যা না হত্যা। আপাতত ইউডি (অস্বাভাবিকমৃত্যু) মামলা করা হয়েছে।

অ্যাকশান ধাঁচে ‘বস-২’ প্রথম ঝলক


 


কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ এবার আসছেন নতুন সিনেমা নিয়ে। ‘বস-২’ চলচ্চিত্রে অ্যাকশান লুকে দেখা যাবে এই নায়ককে। ছবিটির প্রথম ঝলকে তো তাই দেখা গেলো। অ্যাকশান ধাঁচের ‘বস-২’ ছবির টিজার রোববার প্রকাশ হয়েছে। ৪১ সেকেন্ডের পুরো টিজার জুড়েই জিৎ’কে দেখা গেছে অ্যাকশান ধাঁচে। বাবা যাদব পরিচালিত এ ছবিতে জিৎ এর নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া ও শুভশ্রী। বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া ও জিৎ এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জিতস ফিল্ম ওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে ছবিটি। আসছে রোজার ঈদে ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি পাবে ছবিটি। ২০১৩ সালে কলকাতায় জিৎ ও শুভশ্রী অভিনীত 'বস' ছবিটি মুক্তি পায়। এটি তামিল ছবির রিমেক ছিল। জিৎ, ফারিয়া, শুভশ্রী ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, অমিত হাসান, সীমান্ত প্রমুখ।

Monday, April 24

কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার পেছনে ৩শ' হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ

 


ভারতের কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর ওপর পাথর ছোঁড়া এবং সেনাবাহিনীর কাজে বিঘ্ন ঘটানার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে প্রায় তিন শতাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ২৫০ জন করে সদস্য রয়েছে। এই গ্রুপের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের, অর্থাৎ কোথায় পাথর ছোঁড়া হবে, কিভাবে ছোঁড়া হবে, সেনাবাহিনীকে কিভাবে ছত্রভঙ্গ করতে হবে-বিভিন্ন সময়ে তার নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।  কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং তাদের গ্রুপ অ্যাডমিনকেও চিহ্নিত করেছি। তাদের সবাইকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এতে খুব ভাল সাড়াও পাওয়া গেছে’।কাশ্মীরে সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই যুবকদের রীতিমতো মাসে বেতন দেয় বিচ্ছিন্নবাদীরা। আর পাকিস্তান থেকেই সেই অর্থের জোগান দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এই সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতো।

পুলিশ জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে ৯০ শতাংশেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিক্ষোভকারীদেরও সেই আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায়নি। কারণ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জমায়েত করত এই যুবকরা। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।  পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘সরকারের নীতি অনুযায়ী কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে পাথর নিক্ষেপকারীরাও অনেকটাই নিস্প্রভ হয়ে পড়েছে। গত শনিবার বুদগাঁম জেলায় পুলিশের এনকাউন্টারেও সেভাবে বিক্ষোভকারীদের পাথর নিক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। দুই জঙ্গিকে খতম করার পর মাত্র কিছু বিক্ষোভকারী সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছিল’। কিন্তু অন্য সময়ে প্রায় দশ কিলোমিটার দূর থেকে সংঘর্ষ কবলিত এলাকায় জমায়েত হয়ে বিক্ষোভকারীদের পাথর ছুঁড়তে দেখা গেছে।


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ সাতটি ইউনিটের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।


 


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ সাতটি ইউনিটের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান রোববার দিবাগতs রাতে নতুন সাত কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটওয়ারির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা শাখা সভাপতি আমিমুল ইহছান, সিনিয়র সহসভাপতি শাহ মো. আল-আমীন, সহসভাপতি মো. সদরুল আলম জামিল, মো. হাবিবুর রহমান রুবেল, মো. শামীম ইসলাম খন্দকার ও আব্দুল্লাহ আল ফারুক মিলন, সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান জোবায়ের হিমেল, যুগ্ম সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম বকসি রকি, রাশেদুল ইসলাম কাজল, মো. সারোয়ার হোসেন শাওন, মো. সোহেল রানা, রাব্বি ইসলাম বাঁধন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরমান হোসেন।কমিটি ঘোষণার পর বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক হাসান জবাবের, হিমেল বলেন দেশেনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে আমি আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও পালন করার চেষ্টা করব এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সেই সাথে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের সহ সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চান ।

নামাজ ফরজ হয়েছিল পবিত্র মেরাজের রাতে

 

আরবি শব্দ মেরাজের অর্থ সিঁড়ি, ঊর্ধ্বারোহণ। ব্যাপক অর্থে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে উপনীত হয়ে সেখান থেকে সপ্তাকাশ এবং আরশে আজিম পৌঁছে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলাকেই মেরাজ বলে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ৫২ বছর বয়সে অর্থাৎ নবুওতের ১২তম সনে রজব মাসের ২৬ তারিখ দিনগত রাতে রোজ সোমবার মেরাজের আশ্চর্যতম ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

শবে মেরাজ আখেরি পয়গম্বর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি মোজেজা। আল্লাহর ইচ্ছায় যে সবই সম্ভব সেটিরই মূর্তমান প্রকাশ হলো এই রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেরাজ অর্থাৎ কাবা শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সপ্তম আসমান পর্যন্ত ঘুরে আসার ঘটনা। মেরাজের রাতে নিমেষেই এটি সংঘটিত হয়। শবে মেরাজের ঘটনা সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইলের ১ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেন— ‘মহামহিম পরম পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতেরবেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যাতে আমি তাকে দেখিয়ে দেই, এর চারপাশের নিদর্শনগুলো, যা বরকতময়। ’

হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজ শেষে হজরত উম্মে হানী (রা.)-এর গৃহে নিদ্রায় ছিলেন। এ সময় হজরত জিব্রাইল (আ.) আল্লাহতায়ালার হুকুমে জান্নাত থেকে বোরাক নামের একটি সাওয়ারি আর অসংখ্য ফেরেশতার দল নিয়ে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে হাজির হয়ে সালাম দিয়ে বললেন, হুজুর! আপনার প্রতিপালক আপনাকে স্মরণ করেছেন, এই মুহূর্তেই আপনাকে তথায় গমন করতে হবে। বোরাকে করে আল্লাহর সান্নিধ্যে যাওয়ার সময় রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফের খেজুরবাগান এলাকায় এবং হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মস্থান মাদায়েনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভ্রমণপথে অসংখ্য আশ্চর্য ঘটনা ও কর্মকাণ্ড দেখে আল্লাহর নেয়ামতের শোকরিয়া ও প্রশংসা করেন। ঊর্ধ্বাকাশে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদম, ঈসা, ইয়াহইয়া, ইউসুফ, ইদ্রিস, হারুন ও মূসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। অতঃপর তিনি আল্লাহর কাছে হাজির হন। কোরআনের ভাষায় বলা হয়েছে— অতঃপর তিনি নিকটবর্তী হলেন, তাদের মধ্যে ধনুকের দুই মাথার ব্যবধান রইল অথবা আরও নিকটে। তখন আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি প্রত্যাদেশ করলেন যা করার ছিল। এই রাতেই আল্লাহ উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেন।