Wednesday, April 26

ডাকাতদের বিরুদ্ধে কথা বলার কি কেউ নেই? সবাই যার যার ফেসবুক আইডি নিয়েই ব্যাস্ত...


 

ডাকাতদের বিরুদ্ধে কথা বলার কি কেউ নেই? সবাই যার যার ফেসবুক আইডি নিয়েই ব্যাস্ত...

লাইকের প্রয়োজন নেই, সম্ভব হলে শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।

 


২৬ পয়সায় কিনে প্রতি জিবি বিক্রি করে ৩৩৭ টাকা। ৩৩৭ টাকায় ১.৫ জিবি নাকি ফাটাফাটি অফার! অথচ এই ১.৫ জিবির ক্রয়মুল্য সর্বোচ্চ ৩৯ পয়সা। এর নাম ব্যবসা নাকি ডাকাতি?

রুখে দাঁড়াও তরুন সমাজ। ছড়িয়ে দাও প্রতিবাদ।




একটি গুরুত্বপূর্ণ হিসাব দেই, মনোযোগ দিয়ে পড়ুন:

ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন মোট ৬ কোটি ৭২ লক্ষ গ্রাহক। যার মধ্যে ৬ কোটি ৩১ লক্ষ গ্রাহকই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সবমিলিয়ে মাত্র ৪১ লক্ষ গ্রাহক আইএসপি, পিএসটিএন বা ওয়াই ম্যাক্স ব্যবহার করেন। তার মানে বাংলাদেশে ব্যবহৃত ইন্টারনেটের বড় অংশ মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমেই ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশে গড়ে প্রতি সেকেণ্ডে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয় ৪০০ জিবি
প্রতি মিনিটে ৪০০*৬০ জিবি
প্রতি ঘন্টায় ৪০০*৬০*৬০ জিবি
বাংলাদেশে প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয় ৪০০*৬০*৬০*২৪= ৩৪৫৬০০০০ জিবি

প্রতি জিবি গড়ে ২০০ টাকা হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহৃত ইন্টারনেটের দাম ৩৪৫৬০০০০*২০০= ৬৯১.২ কোটি টাকা
সরকারের কাছে প্রতি জিবি ২৬ পয়সা হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহৃত ৩৪৫৬০০০০ জিবি ইন্টারনেটের ক্রয়মুল্য ৩৪৫৬০০০০*.২৬= ৮৯.৮৬ লক্ষ টাকা

তার মানে দাঁড়ালো প্রতিদিন ৮৯.৮৬ লক্ষ টাকায় কেনা ইন্টারনেট জনগণের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে ৬৯১.২ কোটি টাকায়। প্রতিদিন ইন্টারনেট খাত থেকে মুনাফা ৬৯১২০০০০০০-৮৯৮৬০০০= ৬৯০.৩ কোটি টাকা

প্রতি বছর ইন্টারনেট খাত থেকে মুনাফা ৬৯০.৩*৩৬৫= ২৫১৯৬০০২৫৬০০০ বা ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

অপারেটরদের কাছ থেকে প্রতি বছর ইন্টারনেটের দাম হিসেবে সরকার পায় ৮৯.৮৬*৩৬৫= ৩২৮ কোটি টাকা মাত্র (প্রায়)

২০১৬-২০১৭ সালে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ছিল ৩ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা। দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ইন্টারনেট খাতের এই টাকা যোগ হলেও জাতীয় বাজেট দাঁড়াতো ৬ লক্ষ কোটি টাকা, প্রায় দুই গুণ। অথচ এই আড়াই লক্ষ কোটি টাকার পুরোটাই নিয়ে গেছে বিদেশী বেনিয়ারা। যেসব রাজনীতিবিদ এবং আমলারা জনগণের এই পকেট কাটার সুযোগ করে দিয়েছেন তারা সর্বোচ্চ কতো পেয়েছেন? ৫০০ কোটি? ১০০০ কোটি? ২০০০ কোটি টাকা? যা ২ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকার তুলনায় সামান্য টাকা।

এই মহা ডাকাতি কি বন্ধ হবে না? ইন্টারনেটের দাম কমাও, ডাকাতি বন্ধ করো। আওয়াজ তুলুন, ছড়িয়ে দিন।


২৬ পয়সার প্রতি জিবি ইন্টারনেট গড়ে ২১৭ টাকায় বিক্রির প্রতিবাদের পর মোবাইল কোম্পানীর ডাকাতি নিয়ে সরকারের কিছুটা নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে। সবাই শক্ত প্রতিবাদ করলে প্রতি জিবি এক ধাক্কায় ৫০ টাকার নিচে নামানো সম্ভব। এরপর প্রতি জিবি ১০/২০ টাকায়।

আমি প্রস্তুত। আপনি প্রস্তুত তো?

সরকারের কাছে প্রতি জিবি ২৬ পয়সায় কেনা ইন্টারনেট যদি ৫২ পয়সা বিক্রি করা হয়, যে লভ্যাংশ হয় তাকে বলা হয় ১০০% লাভ। প্রতি জিবি ২১৭ টাকা বিক্রি করায় লভ্যাংশ দাড়ায় ৮৩৫০০% মাত্র। জি, মোবাইল ইন্টারনেটে বেনিয়াদের লভ্যাংশ ৮৩৫০০ পারসেন্ট! পৃথিবীতে এতো লভ্যাংশে ব্যবসার আর কোনো নজির আছে কি?

ভেবে দেখেছেন, প্রতি জিবি ইন্টারনেটের দাম ৫২ পয়সা হলেও কোম্পানীগুলো কেনা দামের ডাবল পাবে? জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা কিভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পকেট কাটা হচ্ছে একবার ভেবে দেখুন।

এই জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের কি কিছুই করার নেই? আমরা কি পারি না ঐক্যবদ্ধভাবে এই জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে?

#হোকপ্রতিবাদ



No comments:

Post a Comment