Monday, April 24

কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার পেছনে ৩শ' হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ

 


ভারতের কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর ওপর পাথর ছোঁড়া এবং সেনাবাহিনীর কাজে বিঘ্ন ঘটানার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে প্রায় তিন শতাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ২৫০ জন করে সদস্য রয়েছে। এই গ্রুপের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের, অর্থাৎ কোথায় পাথর ছোঁড়া হবে, কিভাবে ছোঁড়া হবে, সেনাবাহিনীকে কিভাবে ছত্রভঙ্গ করতে হবে-বিভিন্ন সময়ে তার নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।  কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং তাদের গ্রুপ অ্যাডমিনকেও চিহ্নিত করেছি। তাদের সবাইকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এতে খুব ভাল সাড়াও পাওয়া গেছে’।কাশ্মীরে সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই যুবকদের রীতিমতো মাসে বেতন দেয় বিচ্ছিন্নবাদীরা। আর পাকিস্তান থেকেই সেই অর্থের জোগান দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এই সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতো।

পুলিশ জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে ৯০ শতাংশেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিক্ষোভকারীদেরও সেই আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায়নি। কারণ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জমায়েত করত এই যুবকরা। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।  পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘সরকারের নীতি অনুযায়ী কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে পাথর নিক্ষেপকারীরাও অনেকটাই নিস্প্রভ হয়ে পড়েছে। গত শনিবার বুদগাঁম জেলায় পুলিশের এনকাউন্টারেও সেভাবে বিক্ষোভকারীদের পাথর নিক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। দুই জঙ্গিকে খতম করার পর মাত্র কিছু বিক্ষোভকারী সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছিল’। কিন্তু অন্য সময়ে প্রায় দশ কিলোমিটার দূর থেকে সংঘর্ষ কবলিত এলাকায় জমায়েত হয়ে বিক্ষোভকারীদের পাথর ছুঁড়তে দেখা গেছে।


No comments:

Post a Comment