Monday, April 24

আজ পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ বা শবে মেরাজ।

 

আজ পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ বা শবে মেরাজ। মেরাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুওয়াত প্রকাশের একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অতঃপর তিনি বোরাক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কাছে এ রাত অতি পবিত্র এবং মহান আল্লাহর অফুরন্ত রহমত-বরকতে সমৃদ্ধ। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, নফল রোজা রাখা ও নফল নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে মুসলমানরা পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ পালন করেন।
এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে (বাদ মাগরিব) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে ২৫ বছরে ২ লক্ষ কোটি টাকার বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ

 


দেশে জ্বালানি খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতের ঝাড়খন্ডে নির্মিতব্য ১৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে ২০১০ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার লিমিটেড, ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওই) স্বাক্ষর হয়েছে। সংস্থাটি থেকে ২৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ ক্রয়ে মোট এক লাখ ৯০ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশে প্রতি বছর বিদ্যুতের চাহিদা ১০ শতাংশ ১৪ শতাংশ হারে বাড়ছে। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১০ - ২০২১ সালের ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যুতের এ বর্ধিত চাহিদা পূরণে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। তাছাড়া, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন জ্বালানি উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কৌশলও নির্ধারণ করছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি দূর করতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে একটি প্রক্রিয়াকরণ কমিটি গঠন করা হয়। এ আইনের আওতায় গঠিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনা ও প্রস্তাবসমূহ কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ ২০১৫ সালে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে। সূত্র জানায়, আদানি পাওয়ার লিমিটেড ভারতের ঝাড়খন্ডে নির্মিতব্য ১৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি একটি কম্প্রিহেনসিভ টেকনো-কমার্শিয়াল প্রস্তাব ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে দাখিল করে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ২০১০ সালে বিদ্যুৎ খাত সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আদানি পাওয়ার লিমিটেড কর্তৃক ভারতের যে কোন উপযুক্ত স্থানে ১৬০০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে ডেডিকেটেড অল্টারনেটিভ কারেন্ট (এসি) সঞ্চালন লাইন নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশে রপ্তানিতব্য বিদ্যুৎ বাংলাদেশে ক্রয়ের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) ও ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত এমওইউ এর অধীনে আদানি পাওয়ার লিমিটেড কর্তৃক ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে বাংলাদেশ সীমানা পর্যন্ত নির্মিতব্য ডেডিকেটেড সঞ্চালন লাইনের ব্যয় অন্তর্ভূক্ত করে ২০১৬ সালে একটি দরপ্রস্তাব দাখিল করে। সূত্র জানায়, বিউবো, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এবং কারিগরি কমিটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুস্পষ্ট মতামত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। বিউবো ২০১৬ সালের মার্চ মাসে বোর্ড সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০১৫ এর আলোকে ট্যারিফ নোগোশিয়েশনের সুপারিশ করে। ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে বগুড়া পর্যন্ত ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইনের আনুমানিক ১৪৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং আনুমানিক ৯০ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে নির্মাণ করতে হবে। কারিগরি কমিটির সুপারিশে আদানি পাওয়ার লিমিটেড কর্তৃক ভারতের ঝাড়খন্ডে ২ী৮০০=১৬০০মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণপূর্বক বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তাবটি কারিগরি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনার আর্থিকভাবে নির্বাচিত বলে মতামত দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। 

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকান ভেরিফাইড পেপাল একাউন্ট নেয়ার সহজ উপায়

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকান ভেরিফাইড পেপাল একাউন্ট নেয়ার সহজ উপায়



পেপাল একাউন্ট যেন সোনার হরিন অনলাইনে যারা কাজ করেন তাদের কাছে। আর ভেরিফাইড একাউন্ট! তাও আবার আমেরিকান? কী লাগবে নাকি আপনার? চলুন জেনে নেয়া যাক সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিটি। এভাবে কাজ করলে অবশ্যই ভেরিফাইড পেপাল একাউন্ট পাবেন। তবে যারা একবার করেছেন, তাদের জন্য নয়। শুধুমাত্র নতুনদের জন্য।

চলুন ধারাবাহিকভাবে বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক:

যা যা লাগবে:

একটি আমেরিকান ঠিকানা
একটি আমেরিকান ব্যাংক একাউন্ট
১. আপনার একটি আমেরিকান ঠিকানা আছে?
না থাকলে সমস্যা নেই। কীভাবে পাবেন সেটা বলে দিচ্ছি। যেকোনো একটি আমেরিকান ওয়েবসাইট থেকে আপনি ঠিকানা পেতে পারেন। অথবা ফেকনেমজেনারেটক ডট কম (FakeNameGenerator.com) নামের একটা ওয়েবসাইট আছে। ওখান থেকেও পেতে পারেন।

২. একটি আমেরিকান ব্যাংক একাউন্ট
প্রশ্ন হতে পারে বাংলাদেশে বসে কীভাবে আপনি একটি আমেরিকানা ব্যাংক একাউন্ট পাবেন? এটা কঠিন মনে হলেও আসলে খুবই সোজা। যদি আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট থাকে।

পেওনিয়ার একাউন্ট মানে কি?
পেওনিয়ার একটি সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানি। যাদের সার্ভিস হলো ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড প্রদান করা। আমরা যাকে পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড হিসেবেই জানি।

কীভাবে পেওনিয়ার মাস্টাকার্ড পাবেন?
পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড পাওয়া খুবই সহজ। নিচের নোটটি খেয়াল করুন:

নোট: পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য সাইনআপ করতে পারেন এখান থেকে: পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড ফ্রি সাইন আপ। তাহলে মাস্টারকার্ডের সব সুবিধা পাবেন। সেই সাথে কার্ডে যখন মোট ১০০ ডলার লোড হবে, ২৫ ডলার বোনাস পাবেন।

পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের খরচ কত?
কোনো খরচ নেই। পেওনিয়ার মাস্টাকার্ড ফ্রিতে আপনি পেতে পারেন। আর সেই সাথে বোনাসও পেতে পারেন ২৫ ডলার। কীভাবে? উপরের লিংকে ক্লিক করে সাইনআপ করুন। তাহলেই আপনি ফ্রি পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড + ২৫ ডলার বোনাস পাবেন। কারণ? কারণ আমি পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের অফিসিয়ার আরপিএ।

পেওনিয়ার একাউন্টে সাইনআপ করার ১-৩ দিনের মধ্যে আপনার একাউন্ট একসেপ্ট করবে। একসেপ্ট করার পর আপনি পেওনিয়ার অনলাইন একাউন্টে লগিন করতে পারবেন। লগিন করে সেখানে আপনি একটা আমেরিকান ব্যাংকের ইনফরমেশন পাবেন। কারণ? করণ হলো- প্রতিটি পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের সাথে একটি আমেরিকান ব্যাংক একাউন্ট দেয়া থাকে। ওখানে আমেরিকান ব্যাংকের একাউন্ট নাম্বার, রাউন্টিং নাম্বার সব ইনফরমেশন পাবেন।

পেপাল ভেরিফাইড একাউন্ট
এবার পেপাল ডট কমে আমেরিকান পেপার একাউন্ট ওপেন করুন উপরের এড্রেস দিয়ে। ইমেইল ভেরিফাইড করুন। তারপর “এড এ ব্যাংক একাউন্টে” ক্লিক করে পেওনিয়ার একাউন্টে পাওয়া ব্যাংক একাউন্টটি এখানে যোগ করুন।

তারপর?
তারপর ১-৩ দিনের মধ্যে পেপাল আপনার পেওনিয়ার একাউন্টে দুটি ছোট ছোট পেমেন্ট সেন্ড করবে। ছোট বলছি এই কারণে- দুটি এমাউন্টই এক ডলারের নিচে হবে। খেয়াল করুন: সাথে সাথে পেমেন্ট আসবে না। ১-৩ দিন লাগবে। তবে সাধারণত কয়েকঘণ্টার মধ্যেই এসে পড়ে।

যখন পেওনিয়ারে পেমেন্ট দুটি আসবে, তখন কী করবেন?
তখন পেপালে পুনরায় লগিন করবেন। এড এ ব্যাংক একাউন্ট-এ ক্লিক করে ভেরিফাইড একাউন্ট-এ ক্লিক করবেন। তারপর একটি পেজ ওপেন হবে। সেখানে পেওনিয়ারে পাওয়া এমাউন্ট দুটি দিয়ে সাবমিট করবেন। দেখবেন সাথে সাথে আপনার পেপাল একাউন্ট ভেরিফাইড হয়ে গেছে।

ব্যস! এই তো! এই পেপাল দিয়ে সহজেই আপনি যেকোনো অনলাইন কেনাকাটা করবেত পারবেন। তাছাড়া পেওনিয়ার থেকে পেপালে এবং পেপাল থেকে পেওনিয়ারে ডলার আনতে পারবেন।

সর্বমোট ১০০ ডলার পেওনিয়ারে লোড দিলেই আপনি ২৫ ডলার বোনাস পেয়ে যাবেন। তবে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র উপরের লিংক থেকে একাউন্ট ওপেন করলেই।

আশা করি কারও বুঝতে সমস্যা হয়নি। সমস্যা হলে প্রশ্ন করবেন। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।



 

উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে সংঘাত, সহিংসতা পরিহার করে দেশ গড়ার কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তানপন্থী রাজাকার মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা পাহাড়ি উপজাতি গোষ্ঠীর হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। 


প্রতিবেশী কিছু রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে হাজার হাজার উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দেয়া হয়, উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম দেয়া হয়। তারপর পার্বত্য চট্টগ্রামে লক্ষ-লক্ষ নিরীহ মানুষকে রাস্তাঘাট, হাট-বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘরবাড়িতে আগুন জালিয়ে দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করার নিয়ম চালু হলো। ভিটেমাটি, ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য উচ্ছেদ করা শুরু হয়
পরবর্তীতে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী তৎকালীন বিডিআর রা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে রক্ষায় শহীদী আত্মত্যাগ এবং দৃঢ় মনোবল দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনে। 



এখন উপজাতিদের ‘আদিবাসী’ পরিচয় দিয়ে কথিত জাতিসংঘের আইএলও সনদ ১৬৯ স্বাক্ষর করিয়ে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মতো করে বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা জুমল্যান্ড রাষ্ট্র করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
সুলতানা কামালের কেপেনহেগেনভত্তিক সিএইচটি কমিশন, ইউএনডিপি, আইএলও, দেবাশিষ চাকমার কাপেং ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্র এই ষড়যন্ত্রে সাথে সরাসরি জড়িত।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী গত কয়েক বছরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাবের বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত অভিযানে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবন জেলায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের থেকে- একে-৪৭, একে-৫৬, একে-২২, এম-১৬, মার্ক-২ রাইফেল, চায়না রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল, এসএলআর, এসএমজি, বিমান বিধ্বংসী রিমোর্ট কন্টোল বোমা, গ্রেনেড, রাইফেল গ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার এবং উপজাতি সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত এইসব উপজাতি সন্ত্রাসীদের দেয়া একাধিক তথ্য থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ভারত এবং মিয়ানমার উপজাতি সন্ত্রাসীদের দিচ্ছে বিশাল অস্ত্রের ভান্ডার এবং প্রশিক্ষণ।


বাংলাদেশের এক দশমাংশ এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম। পাহাড় অরণ্য সৌন্দর্য্য-মন্ডিত সবুজ সমারোহের প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই পাহাড়ি জনপদে উপজাতি সন্ত্রাসীরা অস্ত্রবাজী, চাঁদাবাজী, সম্ভ্রবহরণ, অপহরণ, খুন, চোরাচালানসহ বিভিন্ন প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। বাংলাদেশের অখ-তা রক্ষায় এবং উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রতিরোধ করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নাই।
মূলত, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী হচ্ছে অত্যন্ত যোগাত্যসম্পন্ন, সৎসাহসী, নির্ভীক এবং কর্তব্যপরায়ণ। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে থাকুক- আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীমহল এবং পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীরা সেটা চায় না। আর এজন্যই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীমহল এবং পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সরকারকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের অখন্ডতার বিষয়ে আমরা কারো সাথে আপোস করবো না। আর এ জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী না কমিয়ে বরং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় নজরদারি বাড়াতে হবে।

হাওরে ১২৭৬ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট, হাঁস মরেছে ৩৮৪৪টি: মৎস্য সচিব

 


হাওরে ভেসে উঠছে মরা মাছ

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে হাওর প্লাবিত হওয়ায় মোট এক হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট হয়েছে এবং তিন হাজার ৮৪৪টি হাঁস মারা গেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান।

রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

সভা শেষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, ‘বন্যায় দুই লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। যেখান থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যেতো। তবে এতে আমাদের খাদ্য ঘাটতি হবে না। কারণ, দেশের অন্য অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন বেশি হয়েছে। এছাড়া আউশ এবং আমন চাষে আমরা কৃষকদের প্রণোদনা দেবো। ফলে দেশে খাদ্যে কোনও ঘাটতি থাকবে না।’
 
 

Vision ad on bangla Tribune
হাওরে ১২৭৬ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট, হাঁস মরেছে ৩৮৪৪টি: মৎস্য সচিব
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট১৪:৫৭, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
13.4K

হাওরে ভেসে উঠছে মরা মাছ

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে হাওর প্লাবিত হওয়ায় মোট এক হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট হয়েছে এবং তিন হাজার ৮৪৪টি হাঁস মারা গেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান।

রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

সভা শেষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, ‘বন্যায় দুই লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। যেখান থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যেতো। তবে এতে আমাদের খাদ্য ঘাটতি হবে না। কারণ, দেশের অন্য অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন বেশি হয়েছে। এছাড়া আউশ এবং আমন চাষে আমরা কৃষকদের প্রণোদনা দেবো। ফলে দেশে খাদ্যে কোনও ঘাটতি থাকবে না।’

হাওরে ভাসছে মরা মাছ

সভা শেষে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, ‘হাওর এলাকায় বিদ্যমান বাঁধগুলো ষাটের দশকের পরিকল্পনায় করা। এবারের বন্য জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয়েছে। এবারের ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নেবো বাঁধগুলো কী পরিমাণ উঁচু করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পগুলো উপজেলা পর্যায় থেকে বাস্তবায়ন করা হবে। যা বাস্তবায়ন করবে উপজেলা প্রশাসন।’

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বন্যকবলিত এলাকার মানুষদের সহায়তায় সোমবার থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। পরবর্তী একশ’ দিনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে মাসে ত্রিশ কেজি চাল এবং নগদ ৫শ’ টাকা দেওয়া হবে। তিনি এ অকাল বন্যায় হাওর এলাকার ৮৬ শতাংশ বোরো ধানই নষ্ট হয়েছে বলেও জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধা পাবেন তিন লাখ ত্রিশ হাজার পরিবার। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ কর্মসূচিতে সরকারের ৩০/৩৫ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন। তবে যারা ত্রাণ নেবেন না তাদের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে চাল ও ১০ টাকা কেজি দরে নায্যমূল্যে চাল বিক্রি অব্যাহত থাকবে।’


Taraman Bibi Bèer Protik



      

Taraman Bibi Bèer Protik : Rediscovering Taraman Bibi was a challenging task after a long spell of 25 years of Liberation War in 19 71 . A researcher Bimal Kanti Dey have taken all the troubles to trace out Taraman Bibi in her home in Rajivpur - Roumari area . Personally , I heard the story of a woman freedom fighter from Sabur Faruki , a college teacher of that area while compiling a news feature on the events of Liberation War in 19 71 . And I gave this information to the researcher Bimal Kanti Dey . He has brought Taraman Bibi into the spotlight of media as well as the state machinery . Congratulations Bimalda .

জাতীয়করণ হচ্ছে আরও ৪২ স্কুল

 
 

নতুন করে আরও ৪২টি মাধ্যমিক স্কুল জাতীয়করণ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিও পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব স্কুল জাতীয়করণ হলে বছরে সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। এদিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আর কোনো মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হবে না বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।সূত্র জানায়, গত ২১ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে ৪২টি স্কুলের জাতীয়করণে অনাপত্তিজ্ঞাপন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। শর্ত থাকে যে, জাতীয়করণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম নির্বাচন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন অনুযায়ী করতে হবে। জাতীয়করণের আদেশ জারির পর অর্থ বিভাগকে অবহিত করতে হবে।
৪২টি স্কুল হলো সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, ধর্মপাশার বাদশাহগঞ্জ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়। ফরিদপুরে চরভদ্রাসন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। খুলনার দিঘলিয়ায় সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গাইবান্ধার ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, পলাশবাড়ী এসএস মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, পানছড়ি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষ্মীছড়ি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও মাটিরাংগা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। সাতক্ষীরা শ্যামনগরে নাকিপুর এইচএসসি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কালিগঞ্জ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। রাঙ্গামাটির কাউখালীর পোয়াপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও বিলাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। নেত্রকোনার বারহাট্টা সিকেপি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্বধলা জেএম পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলমাকান্দা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের বড়গাছী উচ্চ বিদ্যালয় ও নাচোল খম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংগারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও মতলব দক্ষিণের মতলব জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। কক্সবাজারের রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয়, মীরসরাই মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও বাঁশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ফেনীর দাগনভূঞার আতাতুর্ক মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সোনগাজী মো. ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ছাগলনাইয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও ফুলগাজী পাইলট হাই স্কুল। কুমিল্লার দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের বেগনাই বেঘুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বগুড়ার নন্দিগ্রামের নন্দিগ্রাম মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। কুড়িগ্রামের রাজিবপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা এসএস মডেল হাইস্কুল। পঞ্চগড়ের অটোয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। নীলফামারীর সৈয়দপুরের তুলশীরাম মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া এইচজিজিএস স্মৃতি বিদ্যায়তন।

রাজিবপুর ডিগ্রী কলেজ সরকারী হতে হতে যাচ্ছে

 


সরকারীকরণের জন্য চূড়ান্ত হলো ২৮৫ কলেজ সারা দেশের মোট ২৮৫টি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করার জন্য চূড়ান্ত করেছে সরকার। এ জন্য ওই সব কলেজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় এক আদেশে জরুরি ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সচিবের বরাবর রেজিস্ট্রি করা দানপত্র দলিল (ডিড অব গিফট) পাঠাতে নির্দেশ দেয়। সব কটি কলেজের অধ্যক্ষ, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এসব কলেজ সরকারি করতে সম্মতি দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই, সেগুলোতে একটি করে কলেজ সরকারি করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব কলেজের আত্তীকৃত হওয়া শিক্ষকেরা আপাতত অন্য কলেজে বদলি হতে পারবেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি সূত্র জানায়, বর্তমানে সরকারি কলেজ ৩২৭টি। নতুনগুলো হওয়ার পর মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ছয় শতাধিক।

গন্তব্য, কড়ই গাছ, ঘৃণা


 

★গন্তব্য, কড়ই গাছ, ঘৃণা★
.
উঁফ, কেন যে এই হাফ ভাড়া দেওয়ার জন্য
বিআরটিসির রিক্সা গুলায় চড়ি, একে তো
পা রাখার যায়গা থাকে
না, তার ওপর কচ্ছপ গতি ! আজ বোধহয় আর
টিউশনিটাকে বাঁচাতে পারবো না,
তিনদিন পর যাচ্ছি, তবুও লেট করে..!
.
বাস থেকে নেমে পকেটে হাত দিলাম,
কিন্তু একি..! মোবাইলটাই তো নাই ! উঁফ,
চোরটার জন্য খুব মায়া হচ্ছে,
বেচারি এত কষ্ট করে চুরিটা করলো, কিন্তু
তেমন ফায়দা হবে না, মাত্র ৪০০ টাকা
দামের একটা চায়না
বাটনওয়ালা হ্যান্ডসেট, গত মাসের
টিউশনির টাকাটা দিয়ে বাসার নিচের
চায়ের দোকানের মামার কাছে
কিনেছিলাম । কিন্তু আফসোস, ফোনটার
চার্জিং
পিনটাও ভালো না, অটো চার্জার দিয়ে
চার্জ দিতে হয় ।
.
হাটতে হাটতে মেহজাবিন দের বাসার
নিচে চলে এসেছি । ঢুকবো কি ঢুকবো না
করতে করতেই গেইটে একটা
ধাক্কা দিলাম, একি! গেইট খোলা কেন?
আর দারওয়ান কই!?
.
ডানে-বামে তো কাউকেই দেখছি না,
সিড়ি দিয়ে উঠে সোজা দোতলায় চলে
আসলাম । কলিং বেল থাকা
সত্তেও আমি সব সময় দরজায় টোকা দেই,
একদম মৃদু টোকা..! এই আস্তে টোকা দেওয়ার
জন্যই একদিন আধ
ঘন্টা বাইরে দাড়িয়েছিলাম ।
.
আজকেও মনেহয় দাড়িয়ে থাকতে হবে ।
আবার টোকা দিতে যাবো, তখনই আন্টি
দরজা খুলে দিলেন । আমি
স্বভাব সুলোভ আর ভদ্রতার খাতিরে একটা
কৃত্রিম মিষ্টি
হাসি দিলাম । কিন্তু আন্টি আজকে কেমন
যেন গম্ভীর ।
.
-আন্টি ভালো আছেন?
-হ্যা নাহিন, তুমি ভালো আছো? আসলা না
কেন এই কয়দিন?
একসাথেই দুই প্রশ্নের উত্তর কিভাবে
দিবো এটাই ভাবছি, অবশেষে বলে
ফেললাম, -জ্বী আন্টি, জ্বর সেড়ে গেছে ।
-তোমার জ্বর এসেছিল বলোনি কেন? আর
ফোন অফ কেন ছিল কেন?
-আন্টি আমার ফোনে তো চার্জ থাকে না,
তাই ফোন অফ হয়ে যায় ।
-ফোনটা চেঞ্জ করো ।
-জ্বী আন্টি, আজকেই কিনবো !
(এবার তো বাধ্য হয়ে কিনতে হবে)
.
আন্টির সাথে কথা বলে সোজা কাব্যর রুমে
চলে গেলাম ।
.
ও হ্যা, আমার নাম নাহিন । সবে ইন্টার
পাশ করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন
টেস্ট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি
না । কারণ আমি জানি, ওখানে পড়ার জন্য
আমার চেয়ে অনেক বড় মেধাবীরা
ইতিমধ্যে তোরজোড় শুরু করে
দিয়েছে । আমি আগে কখনও টিউশনি
করিনি, এটাই প্রথম, HSC পরীক্ষা দেওয়ার
পর শুরু করেছি । যদিও অনেক অর্থাকষ্টে
ভুগেছি, তবুও এদিকে আমার তেমন নেশা
ছিল
না । কাব্য, আমার ছাত্র, মেহজাবিনের
ভাই, ক্লাস ফোরে পড়ে, গড়পরতা অন্য দশটা
বাচ্চার মতই দুষ্ট, আর
ছাত্র হিসেবেও তেমন খারাপ না, এক অংক
দুবার বুঝিয়ে দিলেই পারে..!
.
যাইহোক, আমি কাব্যকে পড়াতে গেলাম, দু
মিনিটের মধ্যেই কাব্য চলে এলো ।
যথারিতি পড়ানো শুরু করার ৫
কি ৬ মিনিটের মধ্যেই চা বিস্কিট চলে
এলো ! আমি কখনও বিস্কিট খাইনা, ওটা
কাব্যকেই খাওয়াই । কিন্তু
বিপত্তিটা হলো, প্রতিবার আন্টি চা দিয়ে
যায়, কিন্তু আজকে হঠাৎ মেহজাবিন । যদিও
আজকে ওকে রুমে ঢোকার সময় দেখিনি । ওর
চোখ এত ফোলা ফোলা কেন, কান্না
করেছে নাকি...?
.
আচ্ছা, প্রথম দিন থেকেই বলি,
এক বড় ভাই এই টিউশনিটা আমাকে যোগাড়
করে দিয়েছিল । প্রথম দিন এসেই দোটানায়
পরে গিয়েছিলাম
যে, কাব্যরা কয়তলায় থাকে! এটা তো শুনে
আসিনি?! আর এদিকে আমার ফোন নষ্ট,
কারও ফোন নিয়ে যে বড়
ভাইকে ফোন দিবো সেটাও সম্ভব না, কারণ
নাম্বার আমার মুখস্ত না । আবার অন্য
কাউকে বলাও ঠিক হবে না
যে, "আমার SIM টা একটু আপনার ফোনে
তুলবেন?"
.
এদিকে সেদিনও দাড়োয়ান ছিল না, তাই
জিজ্ঞেস করার মত কাউকে না পেয়ে
অযথাই বসেছিলাম, যে কেউ
আসলে তাকে জিজ্ঞেস করবো । হঠাৎ একটা
মেয়ের আগমন,
.
-আপনি কবে থেকে জয়েন করলেন? (মেয়ে)
-জ্বী আজকেই প্রথম !
-কেন, আগের দাড়োয়ানকে না আজকে
সকালেই দেখলাম?
-মানেহ?! আমাকে কি আপনার দাড়োয়ান
মনে হয়?
-আজব তোহ, একটু আগেই না বললেন আজকে
জয়েন করেছেন? আর এখানে বসে আছেন
কেন, কে আপনি,
কাকে চাই?
(একনাগারে এতগুলো প্রশ্ন করে আমার
মাথাটা একদম
হ্যাং করে দিলো)
-আসলে আমি এখানে কাব্য নামের
একজনকে পড়াতে
এসেছি, কিন্তু ওরা কোন ফ্ল্যাটে থাকে
জানিনা !
-ওহ, তাই এখানে এই টুলের ওপর বসে
থাকবেন?
-আর তো বসার জায়গা নেই ।
-উফ, দোতলায় দুইশ তিন নম্বর ফ্ল্যাট ।
.
আর কথা না বলে সোজা সিড়ি ধরলাম,
কিন্তু মনে মনে বললাম একটা ধন্যবাদ
দেওয়া উচিৎ ছিল । নাহ, ওকে
কিসের ধন্যবাদ দিবো, আমাকে দাড়োয়ান
বলেছে, হুহ !
.
প্রথমদিন পড়ানোর শেষে তারপরের দিন,
.
আজকে পড়াতে গিয়ে দেখি ঐ মেয়েটা
দরজা খুলে দিল, আমাকে দেখেই মেয়েটা
মুখ লুকিয়ে কি হাসি, মুডটাই
খারাপ হয়ে গেল । দরজা খুলে দিয়েছে,
কিন্তু সরে দাড়ানোর নাম নেই ! তাই
অগত্যাই রুমে ঢোকার জন্য পা
বাড়ালাম !
.
রুমে ঢুকেই দেখি আন্টিও হাসছে আমাকে
দেখে,
.
-নাহিন তুমি কিছু মনে করোনিতো গতকাল,
মেহজাবিনের
ব্যবহারে? (আন্টি)
.
কি মেয়েরে বাবা, সবকিছু আন্টিকে বলে
দিয়েছে? ওর
দিকে তাকিয়ে দেখি এখনও হাসছে..!
আমার নিরবতা
দেখে আন্টি আবার বললেন,
.
-কিছু মনে করোনা, ও তোমাকে চিনতে
পারেনি ।
-নাহ আন্টি, কিছুই মনে করিনি !
সোজা কাব্যকে পড়াতে গেলাম ।
.
এভাবেই পড়াচ্ছিলাম । মেহেজাবিন মাঝে
মাঝে এসে
দেখতো, কেমন পড়াচ্ছি, আর আমার
ছাত্রকে আলগা
ঝাড়ি দিত ! যে কয়দিন পড়াতে গেছি,
প্রতিদিনই এসে আমার পড়ানোর বারোটা
বাজিয়ে দিতো !
.
এরমধ্যে একদিন যাইনি, তারপরের দিন না
আসার কারণ দর্শানোর পর, আন্টি আমার
ফোন নাম্বার নিল ! কিন্তু
আমি উনাদের নাম্বার নেইনি ! সেদিন
রাতে একটা আননোন নাম্বার থেকে ফোন,
.
-হ্যালো (আমি)
-হুম, আমি মেহেজাবিন
-ও হ্যা, বলুন
-স্যরি
-কেন?
-আসলে সেইদিনের ঘটনাটার জন্য আপনাকে
স্যরি বলা হয় নি
-নাহ, আমি কিছু মনে করিনি, স্বাভাবিক
ভাবেই নিয়েছি ! কিছু বলবেন?
-হুম, নাহ (!) আর শুনুন, আমি আপনার ২ বছরের
জুনিয়র, সো
তুমি করে বলবেন প্লীজ..! বড়রা আপনি করে
বললে.....
.
ধুরর, শালার ফোনটা অফ হয়ে গেল !
.
যাইহোক, এভাবেই পড়াচ্ছিলাম ! মাঝে
মাঝে রাতে ও ফোন দিতো, যদিও আমি
কখনও দিতাম না ! হুম, তুমি করেই
বলতাম ! একদিন বলল ওর নাকি বার্থডে
আগামীকাল ! তাই ইনভাইট করলো ! কিন্তু
তারপরের দিন থেকে তিন দিন আমি
যাইনি ! তারপরেই আজকে গেলাম এবং এখন
চা
হাতে ও দাড়িয়ে আছে,
.
-কি হয়েছে কি আপনার? আপনি এলেন না
কেন এই কদিন?
জানেন, বার্থডে পার্টিতে আমি আপনাকে
কত মিস
করেছি?(মেহেজাবিন)
-স্যরি, আমার জ্বর হয়েছিল (যদিও জ্বর
হয়নি)
বাই দ্য ওয়ে, হ্যাপি বার্থডে !
-জ্বর হয়েছিল বুঝলাম, কিন্তু এর সাথে ফোন
বন্ধথাকার মানে কি? দেখিতো আপনার
ফোনটা? (অধিকার মিশ্রিত গলা)
-আমার ফোনটা চুরি হয়ে গেছে !
-তাহলে অন্য কারও দিয়েও তো একবার কথা
বলতে পারতেন?
-তোমার নাম্বার টা আমার মুখস্ত নেই, আর
ফোনটা আজকে হারিয়েছে !
-তাহলে ফোন অফছিল কেন, আর একটি বারও
ফোন দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না?
.
কি উত্তর দিব ভাবতে ভাবতেই আন্টি চলে
এলো,
.
-নাহিন, তোমার এই মাসের টাকাটা ! আর
হ্যা, আগামী ৩ দিন তোমার আসতে হবে
না, আমরা গ্রামের বাড়ি যাবো, কাব্যর
দাদু খুব অসুস্থ !
-আচ্ছা আন্টি
.
সেদিন পড়ানো শেষ করে আসার সময়
মেহেজাবিন বলল,
.
-আপনি একটু নিচে দাড়াবেন, আমি আসছি..!
কড়ই গাছের
নিচে দাড়াবেন প্লীজ...
.
আমি মাথা দিয়ে হা সুচক স্বীকার করে
বের হলাম ।
.
নিচে নেমে একটু হেটে কড়ই তলায় এসে
দাড়ালাম ! একটু
পরই ও আসলো,
.
-একটা রিক্সা নিন
-কোথায় যাবা?
-রিক্সা নিতে বলেছি নিন
.
রিক্সা নিয়ে উঠে বসলাম, ও
রিক্সাওয়ালাকে বলল কাছের যে কোনো
একটা ফাঁকা জায়গায় নামিয়ে দিতে ।
রিক্সাওয়ালাও ঝোঁপ বুঝে কোঁপ মেরে
একটা পার্কে নামিয়ে দিল । রিক্সা
ভাড়টা মেহেজাবিনই দিল । একটু
হাটার পর একটা বেঞ্চে ও বসতে বলল..!
.
-আপনি জানেন, কেন আমরা গ্রামের বাড়ি
যাচ্ছি?
-হুম, তোমার দাদু অসুস্থ!
-ওটা মিথ্যা কথা, গত জন্মদিনের পার্টিতে
আপনার না
আসার জন্য খুব অসস্থিবোধ হচ্ছিল, আম্মু
এটা বুঝে যায়,
তাই আম্মু আমাকে জিজ্ঞেস করার পর
আমি বলে দিয়েছি, আমি আপনাকে
ভালবাসি..আম্মু আব্বুকে বলে
দিয়েছে এই কথা, তাই গ্রামের বাড়ি
আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাত্র
দেখানোর জন্য..! আম্মু আব্বুকে বলে
ব্যপারটা এমন ভাবে হ্যান্ডেল করেছে,
যাতে আমি কিছু না টের পাই, কিন্তু আমি
লুকিয়ে সবকিছু শুনে ফেলেছি।
(মেহেজাবিন)
-.......
-কিছু বলছেন না কেন? কি ভেবেছেন কি,
আপনি কিছুই বোঝেন না? সব ভালবাসা কি
মুখ দিয়ে বলতে হয়? তুমি করে বললাম, তাই
কি ভালবাসা হয়ে গেল? ভেবেছেন আপনি
না বোঝার
ভান করবেন, আর আমি ওটা মেনে নিবো!?
(মেহেজাবিন)
-....!
-কিছু বলছেন না কেন আপনি?
-কি বলবো?
-আপনার কি কিছুই বলার নাই?
-না
-আমার চোঁখের দিকে তাকান, এইযে,
আপনাকে তাকাতে বলছি, হ্যা তাকিয়ে
থাকেন ! এবার বলুন তো, আমাকে
আপনি ভালবাসেন কিনা?!
-তুমি এবার কোন ক্লাসে?
-ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার
-আবেগ বোঝো?
-দরকার নেই
-তুমি যে এখন ভালবাসার কথা বলছো, ওটা
আবেগ বৈকি অন্য কিছুনা !
-আমি এগুলা শুনতে চাইনা, আপনি আমাকে
বিয়ে করবেন, এবং আজকেই !
-এটা সম্ভব না, আমি বিয়ে করে এখন
তোমাকে কোথায় রাখবো? আর আমি
নিজেও এখনও তেমন বড় হইনি, নিজেই চলতে
পারি না ! আব্বু মারা গেছে, মামারা
চালাচ্ছে আমাকে !
-আমি এত কিছু বুঝি না, আমাকে বিয়ে
করবেন, ব্যস
-আবেগে বিয়ে করা যায়, সংসার না
-আমাকে শোনাচ্ছেন কেন এগুলা?! আমি
এগুলা শুনবো না এখন..!
-আচ্ছা, তুমি এখন বাসায় যাও, আমি তোমার
সাথে পরে দেখা করছি, একটু ভাবতে দাও
আমাকে..!
-কোনো ভাবা ভাবি নাই, আমাকে আজকে
এক্ষুণি বিয়ে করতে হবে..!
-আচ্ছা, আজকেই করবো..! তোমার সাথে
সন্ধ্যায় দেখা করছি, এখন বাসায় যাও..!
-আচ্ছা, আমি বাসায় গিয়ে সব গুছাচ্ছি, যা
করার আজকেই করবেন, কালকে কিন্তু আমরা
চলে যাবো..!
-আচ্ছা যাও এখন
-সন্ধ্যায় কোথায় দেখা করবো?
-কড়ই তলা
.
চলে যাচ্ছে ও, পিছন থেকে একটু ডাক
দিলাম ! দেখলাম একটু ভালভাবে, একটা
মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
.
-সন্ধ্যায় আসছি, তুমিও একদম রেডি হয়ে চলে
আসবা কিন্তু..! স্যরি, চলে আসবেন..!
.
আস্তে আস্তে চলে আসলাম, বাসার নিচের
চায়ের দোকানদার কে ৫০০ টাকা দিলাম !
আরও একটা ফোন
চাইলাম, বললেন পাইলে রেখে দিবেন
আমার জন্য !
বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হলাম, একটু পর বের হয়ে
সেই টিউশনি যোগার করে দেওয়া বড়
ভাইয়ের কাছে গেলাম, বললাম
.
-ভাইয়া, নতুন একটা টিউশনি যোগার করে
দেন, নতুন গন্তব্যের প্রয়োজন ।
.
বড় ভাই বুঝলো কিনা, না বুঝলো, শুধু হা করে
তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে..!
.
Writter :- Tarique Us Zaman Antar

Sunday, April 23

রৌমারীতে বখাটের হামলায় বাবা মা খালা আহত






কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার গোয়াল গ্রামে ইভটিজিংয়ের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা-মা ও খালাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে বখাটেরা। শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে বাবা ও মায়ের অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাবা আবু তালেব (৪৮) ও মা হোসনে আরা বেগম (৪০) এবং খালা তাহমিনা খাতুন (৩৫) কুপিয়ে আহত করে বখাটেরা। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাত ৩টার দিকে ঘরে ঢুকে বখাটেরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে জাদুরচর উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অপরাধে বখাটে লুৎফর রহমান (১৮), রবিউল ইসলাম (১৭), বিপ্লব মিয়া (১৮) ও মাসুদ রানাকে (১৭) আটক করে এলাকাবাসী। পরে বখাটেদের অভিভাবকদের ডেকে স্থানীয়দের উপস্থিতে সালিশ ডাকা হয়। সালিশে তারা অপরাধ স্বীকার করলে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় গোয়াল গ্রামের ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন ও ইছাকুড়ি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম সাদা উপস্থিত ছিলেন। স্কুল ছাত্রীদের অভিভাবক অভিযোগ করে, চার বখাটেকে আটক করে বিচার-সালিশ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে। পরে পরিকল্পিতভাবে গভীর রাতে নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির লোকজনদের কুপিয়ে আহত করার পাশাপাশি ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর, কাগজপত্র তছনছ ও নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে বলে জানান তারা। তবে হামলাকারী মুখোশ পড়ে হামলা চালানোয় তাদের পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার পর শনিবার দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সালু ও এএসপি (সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম সাজেদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আসলে কি ঘটেছিল তা তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যমতে, বখাটেরাই ওই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বখাটেদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।